বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রমজানের পর কেজিতে দুইশো টাকা উঠে গিয়েছিল কাঁচা মরিচের দাম। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে সেই দাম কমে ১০০ নিচের চলে এসেছে। আর পেঁয়াজের দাম প্রতিদিনই কেজিতে দুই-এক টাকা করে বাড়ছে। তবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সবজির বাজার। আর স্থিতিশীল আছে চালের দাম।
আজ শুক্রবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাঁচা মরিচের আমদানি ভাল। আর পেঁয়াজ প্রায় শেষের দিকে। তাই মরিচের দাম কমে এলেও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম।
পাইকারি বিক্রেতা আব্দুল খালেক জানান, পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি দর ৫২ থেকে ৫৪ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ২৮ থেকে ৩০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
মোহাম্মদ বাবু বলেন, একসপ্তাহ আগে পেঁয়াজের দাম ছিল ৪২ থেকে ৪৩ টাকা। প্রতিদিন কেজিতে দুই-এক টাকা বেড়ে শুক্রবার (২৭ জুলাই) ৫২ থেকে ৫৪ টাকায় ঠেকেছে।
সোলাইমান মিয়া জানান, দেশি কাঁচা মরিচ গত সপ্তাহেও ১২০ টাকা কেজি ছিল। আজ (শুক্রবার) ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ভারতীয় কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, পটল বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১৮টাকা পাইকারি দরে। লম্বা বেগুন কেজিতে ১০ টাকা, গোল বেগুন ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারিতে লাউ প্রতি পিস ১০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১০ থেকে ২৫ টাকা, বরবটি ২৪ টাকা, দেশি শসা ৩০ ও হাইব্রিড ১২ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি হাইব্রিড করলা ২০ টাকা ও দেশি করলা কেজিতে ৩০ টাকা দাম নেওয়া হচ্ছে।
রসুন তিন দানা কেজিতে ৯০ টাকা, একদানা ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, বড়টা ৬০ টাকা। আদার দাম কেজিতে ১শ টাকা, শুকনা মরিচের দর কেজিতে ১৯০ টাকা।
এদিকে চালের বাজারও স্থিতিশীল রয়েছে। তবে মোটা চালের দাম কিছুটা বেশি।
চালের পাইকারি বিক্রেতা মনসুর আহমদ বলেন, আতব চাল ৬৫ টাকা, নাজিরশাইল ৬০ টাকা ও মিনিকেট ৫৪ টাকা। আর মোটা চাল ৪৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মোটা চালের পুরোটাই প্রায় ভারত থেকে আসে। ভ্যাট বাড়াতে মোটা চালের দামও চার পাঁচ টাকা বেড়েছে বলে জানান তিনি।