বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কর্মক্ষেত্রে জখম হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু ঘটলে ক্ষতিপূরণ এক লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করা হয়েছে।
এছাড়াও কর্মক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে আহত হলে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে আড়াই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধন) ২০১৮ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: শফিউল আলম এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, শ্রম আইনের বেশকিছু ধারা সংশোধন করা হয়েছে। এ আইনের তিন ধারায় সরকারি চাকুরিজীবীদের মতোই উৎসব ভাতার পদ্ধতি রাখা হয়েছে। আইনের ৪৪ ধারায় বলা হয়েছে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিপদজনক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ করা যাবে কিনা, সে সম্পর্কিত বিধান সংযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি জানান, আইনের ৪৭ ধারায় নারী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে সন্তান প্রসবের ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত কাজে অনুপস্থিত থাকতে পারবেন। ৯৩ ধারায় সাপ্তাহিক ছুটি যৌথ দরকষাকষির ভিত্তিতে উৎসব ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে ভোগ করতে পারবে শ্রমিকরা। সেক্ষেত্রে সাপ্তাহিক ছুটির জন্য কোন ভাতা পাওয়া যাবে না।
শিশুশ্রম সংক্রান্ত কোন বিধানই এ আইনে রাখা হয়নি জানিয়ে- মন্ত্রিপরিষদ বলেন, শিশুদের কোনভাবেই কাজে নিয়োগ দেয়া যাবে না। যদি কোন কারখানার মালিক শিশুদের কাজে নিয়োগ দেন সেক্ষেত্রে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা যাবে বলে আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।
শফিউল আলম বলেন, বলপ্রয়োগ করে মালিককে দাবি মানতে বাধ্য করা যাবে না। যদি শ্রমিকরা এ ধরনের অসদাচরণ করেন তাহলে অনধিক এক বছর কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। আইনে বলা হয়েছে, কোন শ্রমিক একাধিক ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হলে এক মাসের সাজা প্রদান করা যাবে। প্রসূতি নারী শ্রমিককে ছয় সপ্তাহ ছুটি না দিলে উক্ত কারখানা মালিককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা যাবে।