ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেপালে চা উৎপাদন কমার শঙ্কা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নেপালে চা উৎপাদনও হয়েছে ভালো। এর পরও বাগান থেকে চা পাতা তোলা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ সেখানে চলছে শ্রমিক অসন্তোষ। উৎপাদকদের ভাষ্য, শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন চলতি বছর নেপালে পানীয় পণ্যটির সম্মিলিত উৎপাদন ১০ শতাংশ কমতে পারে। এতে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে চা শিল্প।

চলতি মাসের শুরুর দিকে নেপালের পূর্বাঞ্চলের চা শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করেন। পরে তা পুরো নেপালে ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনরত শ্রমিকদের মূল দাবি, কাজ শেষে ন্যায্য মজুরি দিতে হবে। আর সামাজিক নিরাপত্তা স্কিমের আওতায় চা শ্রমিকদের আনতে হবে। এর আগে নেপাল সরকার দেশটির কৃষি ও শিল্প খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত শ্রমিকদের ন্যূনতম দৈনিক মজুরি ৩৮৫ রুপি ঘোষণা করেছে।

তবে দেশটির বেশির ভাগ চা বাগান মালিক শ্রমিকদের এ মজুরি দিতে নারাজ। গত নয় মাসে দেশটির চা বাগান মালিকরা শ্রমিকদের প্রতিদিন ন্যূনতম ২৭৮ রুপি মজুরি পরিশোধ করেছেন। একই সঙ্গে নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা স্কিম চালুর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে দেশটির অধিকাংশ শ্রমিক এখনো এ সেবা পাননি।

নেপালের চা বাগানের মালিকরাও শ্রমিকদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা স্কিম চালু করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এসব কারণে এ দুটি বিষয় সামনে রেখে চা শ্রমিকরা ন্যায্য হিস্যার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন। বাগান থেকে পাতা উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছেন তারা।

ঝাপা টি প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সুরেশ মিত্তাল বলেন, এবার মানসম্পন্ন চা পাতা উৎপাদন হয়েছে। তবে চলমান শ্রমিক আন্দোলনে বাগান থেকে চা পাতা সংগ্রহ বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থা নেপালের চা শিল্পকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। এ কারণে চলতি বছর পানীয় পণ্যটির উৎপাদন ১০ শতাংশ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

নেপালের ন্যাশনাল টি অ্যান্ড কফি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের কর্মকর্তা ইন্দ্র প্রসাদ বলেন, সময়মতো চা পাতা সংগ্রহ করা না হলে উৎপাদিত চায়ের মান পড়ে যায়। তখন দাম পাওয়া যায় না। বর্তমান পরিস্থিতিতে নেপালের চা শিল্প সেই পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

 

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

নেপালে চা উৎপাদন কমার শঙ্কা

আপডেট টাইম : ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নেপালে চা উৎপাদনও হয়েছে ভালো। এর পরও বাগান থেকে চা পাতা তোলা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ সেখানে চলছে শ্রমিক অসন্তোষ। উৎপাদকদের ভাষ্য, শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন চলতি বছর নেপালে পানীয় পণ্যটির সম্মিলিত উৎপাদন ১০ শতাংশ কমতে পারে। এতে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে চা শিল্প।

চলতি মাসের শুরুর দিকে নেপালের পূর্বাঞ্চলের চা শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করেন। পরে তা পুরো নেপালে ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনরত শ্রমিকদের মূল দাবি, কাজ শেষে ন্যায্য মজুরি দিতে হবে। আর সামাজিক নিরাপত্তা স্কিমের আওতায় চা শ্রমিকদের আনতে হবে। এর আগে নেপাল সরকার দেশটির কৃষি ও শিল্প খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত শ্রমিকদের ন্যূনতম দৈনিক মজুরি ৩৮৫ রুপি ঘোষণা করেছে।

তবে দেশটির বেশির ভাগ চা বাগান মালিক শ্রমিকদের এ মজুরি দিতে নারাজ। গত নয় মাসে দেশটির চা বাগান মালিকরা শ্রমিকদের প্রতিদিন ন্যূনতম ২৭৮ রুপি মজুরি পরিশোধ করেছেন। একই সঙ্গে নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা স্কিম চালুর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে দেশটির অধিকাংশ শ্রমিক এখনো এ সেবা পাননি।

নেপালের চা বাগানের মালিকরাও শ্রমিকদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা স্কিম চালু করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এসব কারণে এ দুটি বিষয় সামনে রেখে চা শ্রমিকরা ন্যায্য হিস্যার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন। বাগান থেকে পাতা উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছেন তারা।

ঝাপা টি প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সুরেশ মিত্তাল বলেন, এবার মানসম্পন্ন চা পাতা উৎপাদন হয়েছে। তবে চলমান শ্রমিক আন্দোলনে বাগান থেকে চা পাতা সংগ্রহ বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থা নেপালের চা শিল্পকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। এ কারণে চলতি বছর পানীয় পণ্যটির উৎপাদন ১০ শতাংশ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

নেপালের ন্যাশনাল টি অ্যান্ড কফি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের কর্মকর্তা ইন্দ্র প্রসাদ বলেন, সময়মতো চা পাতা সংগ্রহ করা না হলে উৎপাদিত চায়ের মান পড়ে যায়। তখন দাম পাওয়া যায় না। বর্তমান পরিস্থিতিতে নেপালের চা শিল্প সেই পথে এগিয়ে যাচ্ছে।