ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত থেকে সৌরবিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্য পূরণে ভারত থেকে সৌরবিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে দিনে বিদ্যুতের পিক সময় দুটি—দিবাকালীন ও সন্ধ্যাকালীন। এ পিক সময়ের বিদ্যুৎ চাহিদা মূলত তরল জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দিয়ে মেটানো হয়। দেশে সৌরভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জমির সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচও বেশি। প্রতিবেশী দেশ ভারতে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কম।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, দেশে গত ১০ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় দ্বিগুণে। যদিও এ সময় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে তেমন কোনো সাফল্য অর্জিত হয়নি। এই ১০ বছরে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত থেকে যোগ হয়েছে মাত্র ৩৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, যার ২৮৬ মেগাওয়াটই এসেছে সোলার হোম সিস্টেম থেকে।

নীতিমালায় ২০১৫ সালের মধ্যে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের পরিকল্পনা নেয়া হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে তা ১০ শতাংশে উন্নীত হওয়ার কথা। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার কথা।

২০১৬ সালে জাপানি দাতা সংস্থা জাইকার বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনার খসড়ায় দেখানো হয়, দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত থেকে মোট ৩ হাজার ৬৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। এর মধ্যে শুধু সৌরশক্তি কাজে লাগিয়েই ২ হাজার ৬৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। এছাড়া বায়ুবিদ্যুৎ থেকে ৬৩৭ ও বায়োগ্যাস থেকে ২৮৫ মেগাওয়াট উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

ভারত থেকে সৌরবিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ

আপডেট টাইম : ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্য পূরণে ভারত থেকে সৌরবিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে দিনে বিদ্যুতের পিক সময় দুটি—দিবাকালীন ও সন্ধ্যাকালীন। এ পিক সময়ের বিদ্যুৎ চাহিদা মূলত তরল জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দিয়ে মেটানো হয়। দেশে সৌরভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জমির সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচও বেশি। প্রতিবেশী দেশ ভারতে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কম।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, দেশে গত ১০ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় দ্বিগুণে। যদিও এ সময় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে তেমন কোনো সাফল্য অর্জিত হয়নি। এই ১০ বছরে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত থেকে যোগ হয়েছে মাত্র ৩৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, যার ২৮৬ মেগাওয়াটই এসেছে সোলার হোম সিস্টেম থেকে।

নীতিমালায় ২০১৫ সালের মধ্যে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের পরিকল্পনা নেয়া হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে তা ১০ শতাংশে উন্নীত হওয়ার কথা। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার কথা।

২০১৬ সালে জাপানি দাতা সংস্থা জাইকার বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনার খসড়ায় দেখানো হয়, দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত থেকে মোট ৩ হাজার ৬৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। এর মধ্যে শুধু সৌরশক্তি কাজে লাগিয়েই ২ হাজার ৬৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। এছাড়া বায়ুবিদ্যুৎ থেকে ৬৩৭ ও বায়োগ্যাস থেকে ২৮৫ মেগাওয়াট উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে।