পোশাক খাতের চলমান সংকট কাটাতে ‘আরএমজি সাসটেইনেবল সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিল’ (আরএসসি) প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ব্রান্ড, ট্রেড ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এ নিয়ে সব পক্ষই সম্মত হয়েছে।
২ ও ৩ সেপ্টেম্বর দুই দিনব্যাপী আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ঐকমত্যে পৌঁছেছে সব পক্ষই। ফলে অ্যাকর্ড চলে যাওয়ার পরও এই কাউন্সিল পোশাক কারখানাগুলো পরিদর্শন, প্রতিকার, প্রশিক্ষণ এবং নিরাপত্তা-অভিযোগ প্রক্রিয়া দেখভাল করবে। মঙ্গলবার সমঝোতা বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে এ বৈঠক ও প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রিফিংয়ে যৌথ ইশতেহার ঘোষণা করেন আরবিসি’র জেনারেল সেক্রেটারি জেডএম কামরুল আনাম। বক্তব্য দেন বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক।
যৌথ ইশতেহারে বলা হয়েছে, অ্যাকর্ডের স্টিয়ারিং কমিটির প্রতিনিধিরা এর আগে ৮ মে স্বাক্ষরিত স্মারক অনুসারে এই আরএসসি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় দু’দিনের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অংশ নেয়া পক্ষগুলো ২০২০ সালের মের মধ্যে অ্যাকর্ড এবং এর কার্যাবলির একটি সাবলীল হস্তান্তর নিশ্চিত করতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে।
আরএসসি প্রথমবার নেয়া একটি জাতীয় উদ্যোগ, যা দেশীয় শিল্প, ব্রান্ড এবং ট্রেড ইউনিয়নকে একত্রিত করে একটি সমন্বিত কমপ্লায়েন্সের মানদণ্ড নিশ্চিত করবে। এর মাধ্যমে অদ্যাবধি অর্জিত সাফল্যকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। পর্যায়ক্রমে এই আরএসসি শিল্প সম্পর্ক, কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশগত বিষয়কে নিজেদের কার্যপরিধির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করবে।
ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়, পক্ষগুলো সম্মত হয়েছে যে, তারা আরএসসি’র সংঘ স্মারক/ সংঘবিধি এবং অ্যাকর্ডের দায়িত্ব হস্তান্তর চুক্তি একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে একসঙ্গে প্রস্তুত করবে। বিজিএমইএ এবং অ্যাকর্ড গঠনমূলক আলোচনা অব্যাহত রাখতে এবং পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশ নিরাপদ রাখার উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে ড. রুবানা হক জানান, আরএসসি’র খসড়া অক্টোবরের শেষদিকে শেয়ার করা হবে। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়া ২৫ নভেম্বরের মধ্যে খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেন, আজ (মঙ্গলবার) বিজিএমইএ’র জন্য খুশির দিন। আমরা ত্রিপাক্ষিক আলোচনা করেছি। কোনো রকম ঝামেলার মধ্যে না গিয়ে সমঝোতায় উপনীত হয়েছি। এক্ষেত্রে আমাদের মাথায় রাখতে হয়েছে সবাইকে একই সুরে, একইভাবে কাজ করতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সব সিদ্ধান্ত নেব।