ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

সূচক নির্মাণ এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে: ড. সেলিম জাহান

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ সূচক নির্মাণ এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউএনডিপির দারিদ্র্য বিমোচন বিভাগের সাবেক পরিচালক ড. সেলিম জাহান। তিনি বলেন, সূচকের বিষয়ে যদি খোলাখুলি বলি তাহলে বলব- সূচক নির্মাণ এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর হেন জিনিস নেই, যার উপর সূচক নেই।

রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে টেকসই উন্নয়ন: ধারণা, পরিমাপ ও নীতিমালা শীর্ষক লোক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম (এফইজেবি) তার ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এফইজেবি’র চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম চৌধুরী।

পরিসংখ্যানবিদদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি- তাদের কাছে কিছু সংখ্যা দিয়ে দিলেই তারা মনে করেন, সেখান থেকে একটা সূচক বের করা যায়। যে কারণে বিশ্বে পুলিশের সূচকও আছে। সংখ্যা পেলেই, উপাত্ত পেলেই সূচক তৈরি করা একটা প্রবণতা আছে।

অনুষ্ঠানে ড. সেলিম জাহান বলেন, আপনি যদি একটা সূচক তৈরি করেন। তার মধ্যে যদি ৫৪টি নির্দেশিকা থাকে। তাহলে তো সেটা নিয়ে কিছুই বলা যাবে না। এখন খুব সাধারণভাবে যদি ধরেন সবজির একটা স্বাদ আছে। আবার ফলের আলাদা একটা স্বাদ আছে। এখন সবজি আর ফলের মিক্সড দিলে এমন একটা জিনিস হবে সেখানে সালাদের স্বাদ পাওয়া যাবে না সেখানে ফলের স্বাদ পাওয়া যাবে। তাই তথ্য-উপাত্ত থাকলেই আমরা একটা সূচক তৈরি করব, সেটা কিন্তু ঠিক না। একটা সূচকের পেছনে তান্ত্রিক দিক থাকবে।

এ সময় পরিবেশের নানা বিষয়ে সূচকের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবেশের সমস্যাগুলো এত জটিল, সেখানে একটা সূচকের মাধ্যমে বলা যাবে না কোন্ দেশকে পরিমাণ করছি। কোন্ দেশের নির্ণয়গুলোকে পা”্ছ।ি এটা ঠিক হবে না। সুতরাং আমি বলব পরিবেশের নানারকম মাতৃকতা আছে। সেই মাতৃকতা থেকে যদি আমরা একেকটা নির্দেশকা নেই তাহলে বলতে পারব একেকটা জায়গায় আমরা কি রকম করেছি।

ড. সেলিম জাহান বলেন, বর্তমান সময়ে আমার প্লাস্টিক খুব বেশি ব্যবহার করি। ব্যবহারের পরও এটা কিন্তু থেকে যায়। প্রতি মিনিটে ৩০ ট্রাকের মতো প্লাস্টিক বিশ্বের সমুদ্র সীমায় প্রবেশ করে। তার মানে এই মহাসাগরগুলোকে আমরা কি পরিমাণ দূষিত করছি।

নদীগুলোর কথা যদি বলি- আমাদের দেশের নদীর নাব্যতা হচ্ছে উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে। সেখানে বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ দেয়া হয় পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে। ফলে যখন জোয়ার আসে এবং বাঁধে ঠেকে যায় তখন বন্যা হয়। সুতরাং এই যে পরিকল্পনাগুলো। বাঁধ যে নাব্যতার সঙ্গে সমন্বয় করে দিতে হবে। আমাদের ভৌত অবকাঠামোর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে, সেটা কিন্তু আমরা ভুলে যাচ্ছি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

সূচক নির্মাণ এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে: ড. সেলিম জাহান

আপডেট টাইম : ১২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ সূচক নির্মাণ এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউএনডিপির দারিদ্র্য বিমোচন বিভাগের সাবেক পরিচালক ড. সেলিম জাহান। তিনি বলেন, সূচকের বিষয়ে যদি খোলাখুলি বলি তাহলে বলব- সূচক নির্মাণ এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর হেন জিনিস নেই, যার উপর সূচক নেই।

রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে টেকসই উন্নয়ন: ধারণা, পরিমাপ ও নীতিমালা শীর্ষক লোক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম (এফইজেবি) তার ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এফইজেবি’র চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম চৌধুরী।

পরিসংখ্যানবিদদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি- তাদের কাছে কিছু সংখ্যা দিয়ে দিলেই তারা মনে করেন, সেখান থেকে একটা সূচক বের করা যায়। যে কারণে বিশ্বে পুলিশের সূচকও আছে। সংখ্যা পেলেই, উপাত্ত পেলেই সূচক তৈরি করা একটা প্রবণতা আছে।

অনুষ্ঠানে ড. সেলিম জাহান বলেন, আপনি যদি একটা সূচক তৈরি করেন। তার মধ্যে যদি ৫৪টি নির্দেশিকা থাকে। তাহলে তো সেটা নিয়ে কিছুই বলা যাবে না। এখন খুব সাধারণভাবে যদি ধরেন সবজির একটা স্বাদ আছে। আবার ফলের আলাদা একটা স্বাদ আছে। এখন সবজি আর ফলের মিক্সড দিলে এমন একটা জিনিস হবে সেখানে সালাদের স্বাদ পাওয়া যাবে না সেখানে ফলের স্বাদ পাওয়া যাবে। তাই তথ্য-উপাত্ত থাকলেই আমরা একটা সূচক তৈরি করব, সেটা কিন্তু ঠিক না। একটা সূচকের পেছনে তান্ত্রিক দিক থাকবে।

এ সময় পরিবেশের নানা বিষয়ে সূচকের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবেশের সমস্যাগুলো এত জটিল, সেখানে একটা সূচকের মাধ্যমে বলা যাবে না কোন্ দেশকে পরিমাণ করছি। কোন্ দেশের নির্ণয়গুলোকে পা”্ছ।ি এটা ঠিক হবে না। সুতরাং আমি বলব পরিবেশের নানারকম মাতৃকতা আছে। সেই মাতৃকতা থেকে যদি আমরা একেকটা নির্দেশকা নেই তাহলে বলতে পারব একেকটা জায়গায় আমরা কি রকম করেছি।

ড. সেলিম জাহান বলেন, বর্তমান সময়ে আমার প্লাস্টিক খুব বেশি ব্যবহার করি। ব্যবহারের পরও এটা কিন্তু থেকে যায়। প্রতি মিনিটে ৩০ ট্রাকের মতো প্লাস্টিক বিশ্বের সমুদ্র সীমায় প্রবেশ করে। তার মানে এই মহাসাগরগুলোকে আমরা কি পরিমাণ দূষিত করছি।

নদীগুলোর কথা যদি বলি- আমাদের দেশের নদীর নাব্যতা হচ্ছে উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে। সেখানে বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ দেয়া হয় পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে। ফলে যখন জোয়ার আসে এবং বাঁধে ঠেকে যায় তখন বন্যা হয়। সুতরাং এই যে পরিকল্পনাগুলো। বাঁধ যে নাব্যতার সঙ্গে সমন্বয় করে দিতে হবে। আমাদের ভৌত অবকাঠামোর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে, সেটা কিন্তু আমরা ভুলে যাচ্ছি।