বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ প্রতিটি মা-বাবাই চায়, তাদের একটি পরিপূর্ণ সন্তান জন্ম হোক, যার কোনো ত্রুটি থাকবে না। তাইতো গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মাকেই অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে। নইলে তাদের একটু ভুল সারাজীবনের কান্না হতে পারে। সামান্য অসতর্কতাই প্রতিবন্ধী শিশু জন্ম দেয়ার কারণ হতে পারে।
প্রতিবন্ধী শিশু মূলত জেনেটিক কারণে জন্মায়। এছাড়াও কিছু কারণে ত্রুটিপূর্ণ সন্তান জন্মাতে পারে।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। সেখানে প্রতিবন্ধী শিশু জন্মানোর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে বলা হয়, গঠনগত কারণে অনেক সময় শিশু হাত-পা ছাড়া জন্ম নেয়। এছাড়াও ফাংশনাল ত্রুটির কারণে বুদ্ধি কম থাকা, সেই সঙ্গে কানে কম শোনা ও চোখে কম দেখার সমস্যা দেখা দেয়।
যাদের প্রতিবন্ধী বলা হয়
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) প্রকাশিত “International classification of impairment, Disability and Handicap (ICIDH)” শীর্ষক প্রকাশনায় বিকলাঙ্গ ও প্রতিবন্ধী সমস্যাকে ৩ শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে, যথা- ১. দুর্বলতা (Impairment), ২. অক্ষমতা (Disability ), ৩. প্রতিবন্ধী (Handicap)।
বিজ্ঞান যা বলে
গর্ভাবস্থায় প্রত্যেক নারীকে হতে হয় অনেক বেশি সচেতন। এই সময়ের একটু ভুল সারাজীবনের কান্না হতে পারে। সামান্য অসতর্কতাই জন্ম দিতে পারে প্রতিবন্ধী সন্তানের। তাই একটু সতর্ক হলে এবং কিছু নিয়মনীতি মেনে চললেই এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
চিকিৎসকদের মতামত
অনেক শিশুই শারীরিক ও মানসিক ত্রুটি নিয়ে জন্মায়, প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মায়, এটি কেন হয়?
>> জন্মগত ত্রুটি বিভিন্নভাবে হতে পারে। একটি ত্রুটি গঠনগত কারণে হয়; এটি দেখা যায়। এই সমস্যায় হয়তো শিশুর হাত বা পা থাকে না। আরেকটিকে বলা হয় ফাংশনাল ত্রুটি, এক্ষেত্রে হয়তো শিশুর বুদ্ধি ঠিকমতো হয় না; সে কানে শুনতে পায় না বা চোখে দেখতে পারে না। অপরটি হলো মেটাবলিক ত্রুটি, সেটা স্বাভাবিকভাবে বোঝা যায় না; কিছু আচরণ দিয়ে বোঝা যায়। যেমন, কনজেনটাল হাইপোথারোয়েডিজম। সারা পৃথিবীতেই চারহাজারেরও বেশি শিশু জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মায়। আমাদের দেশেও এই সমস্যা রয়েছে।
ত্রুটিপূর্ণ সন্তান হওয়ার পেছনে পরিবেশগত কী কারণ জড়িত?
>> কাজের পরিবেশ অনেক জড়িত। যারা ব্যাটারি ফেক্টরিতে কাজ করে তাদের এই সমস্যা হতে পারে। নারীর মধ্যে যারা পার্লারে কাজ করে তারা ব্লিচ করার জন্য যেসব জিনিস ব্যবহার করে এর ফলে সমস্যা হতে পারে। আমরা যে পানি পান করি, এরমধ্যে অনেক সময় প্রেসটিসাইজড, হারবিসাইজড থাকে, সেগুলো সমস্যা তৈরি করে। এছাড়া খাবারের মধ্যে প্রিজারভেটিভ দেয়া থাকে এসবের কারণেও সমস্যা হয়।
একটা শিশু জন্মের প্রথম তিনমাসের মধ্যে তার সব অঙ্গ-প্রতঙ্গ তৈরি হয়ে যায়। তখন যা কিছু খাওয়া হয় সবই মায়ের কাছ থেকে বাচ্চার শরীরে যেতে পারে। এর প্রভাবেই শিশু সুস্থ হবে না অসুস্থ হবে- তা অনেকটাই বোঝা যায়। অনেক সময় দেখা যায় মা হয়তো ধূমপান করে না কিন্তু বাবা করে, এক্ষেত্রে মা পরোক্ষ ধূমপায়ী হয়ে যায়।
অনেকেই নানারকম নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে সেই বিষয়গুলোও কী সন্তানের ক্ষতি করে?
>> শিশুর জন্মগত ত্রুটি হওয়ার পেছনে নেশা একটি বিষয়। নেশা অনেক ক্ষতি করে। এর প্রভাব হয়তো আমরা এখন বুঝব না। আরো ১০ বছর পরে বুঝতে পারব যে আমাদের সমাজের কতখানি ক্ষতি এই নেশার জন্য হয়ে গেছে।
আমরা জানি, ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চা হওয়ার পেছনে কিছু ভাইরাসও দায়ী। সেক্ষেত্রে টিকা বা ভ্যাকসিনের কী ভূমিকা আছে? একজন সন্তানসম্ভবা মা না বুঝে অনেক ওষুধ খেয়ে ফেলতে পারে, এতে কী ধরনের সমস্যা হয়?
>> রুবেলা ভাইরাসের কারণে সমস্যা হয়।