ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিকুনগুনিয়ার ব্যথা থেকে বাঁচতে যা করবেন

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এটি এডিস মশার (এডিস এজিপ্টি ও এডিস অ্যালব্টিকাস ) কামড়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। সম্প্রতি এই রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় এর প্রার্দুভাব বেশি। এই রোগের প্রধান উপসর্গ হলো প্রচণ্ড জ্বর। এটি ১০৪ থেকে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে। পাশাপাশি শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা থাকে। বিশেষ করে হাত ও পায়ের জয়েন্টগুলোতে ব্যথা হয়।

এই জ্বরের তীব্রতা তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যে কমে গেলেও ব্যথায় কষ্ট পান আক্রান্ত রোগীরা। এই ব্যথা দেড় থেকে দুই মাস পর্য়ন্ত স্থায়ী হতে পারে। বিশেষ করে প্রবীণ ব্যক্তিরা জ্বর পরবর্তী আথ্রাইটিস বা জয়েন্টের প্রদাহজনিত সমস্যায় ভুগেন। একই সঙ্গে হাত ও পায়ের অনেক জয়েন্টে ব্যথা হওয়ায় এই অবস্থাকে মেডিকেল পরিভাষায় পলিআথ্রাইটিস বলা হয়। এ ক্ষেত্রে রোগীর হাত ও পায়ের আক্রান্ত জয়েন্টগুলো ফুলে যায়, নাড়াতে কষ্ট হয়,সকালে ঘুম থেকে উঠতে অনেক কষ্ট হয়। এই ধরনের উপসর্গ আরো কয়েক ধরনের আথ্রাইটিসে দেখা যায়। যেমন – রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস, জুভেনাইল আথ্রাইটিস, অস্টিওআথ্রাইটিস ইত্যাদি। তবে এ ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগের ইতিহাস, ক্লিনিক্যাল এক্সামিনেশন, প্রয়োজনীয় প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করে থাকেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

চিকুনগুনিয়ার ব্যথা থেকে বাঁচতে যা করবেন

আপডেট টাইম : ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এটি এডিস মশার (এডিস এজিপ্টি ও এডিস অ্যালব্টিকাস ) কামড়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। সম্প্রতি এই রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় এর প্রার্দুভাব বেশি। এই রোগের প্রধান উপসর্গ হলো প্রচণ্ড জ্বর। এটি ১০৪ থেকে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে। পাশাপাশি শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা থাকে। বিশেষ করে হাত ও পায়ের জয়েন্টগুলোতে ব্যথা হয়।

এই জ্বরের তীব্রতা তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যে কমে গেলেও ব্যথায় কষ্ট পান আক্রান্ত রোগীরা। এই ব্যথা দেড় থেকে দুই মাস পর্য়ন্ত স্থায়ী হতে পারে। বিশেষ করে প্রবীণ ব্যক্তিরা জ্বর পরবর্তী আথ্রাইটিস বা জয়েন্টের প্রদাহজনিত সমস্যায় ভুগেন। একই সঙ্গে হাত ও পায়ের অনেক জয়েন্টে ব্যথা হওয়ায় এই অবস্থাকে মেডিকেল পরিভাষায় পলিআথ্রাইটিস বলা হয়। এ ক্ষেত্রে রোগীর হাত ও পায়ের আক্রান্ত জয়েন্টগুলো ফুলে যায়, নাড়াতে কষ্ট হয়,সকালে ঘুম থেকে উঠতে অনেক কষ্ট হয়। এই ধরনের উপসর্গ আরো কয়েক ধরনের আথ্রাইটিসে দেখা যায়। যেমন – রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস, জুভেনাইল আথ্রাইটিস, অস্টিওআথ্রাইটিস ইত্যাদি। তবে এ ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগের ইতিহাস, ক্লিনিক্যাল এক্সামিনেশন, প্রয়োজনীয় প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করে থাকেন।