ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার ঢেকিয়া এলাকা থেকে আরিফুল ইসলাম (২৯) নামে এক চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

রোববার (০৬ আগস্ট) হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ডা. আরিফুল ইসলাম মিঠামইন উপজেলার সদর ইউনিয়নের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি হোসেনপুর উপজেলার পৌর এলাকার মডার্ন জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক।

পুলিশ জানায়, যে ঘর থেকে আরিফুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়, সেটির দরজা ভেতর থেকে লাগানো ছিল। তারপর দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে আরিফুলের মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে আরিফুলের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম রাজিব বলেন, ‘রাত পৌনে ২টার দিকে থানা থেকে মোবাইলে ফোন করে জানানো হয়, আমার ছোট ভাই আত্মহত্যা করেছে। আমার ভাই আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে তার স্ত্রী মীরা ও তার ভাইয়েরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। প্রায়ই তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াবিবাদ হতো। ঝগড়া হলেই মীরার বড় ভাই আমাকে ফোন করে জানাত। আজ আর কোনো কিছু জানায়নি।’ এই হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আত্মহত্যা। আরিফুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোরগঞ্জে চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

আপডেট টাইম : ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার ঢেকিয়া এলাকা থেকে আরিফুল ইসলাম (২৯) নামে এক চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

রোববার (০৬ আগস্ট) হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ডা. আরিফুল ইসলাম মিঠামইন উপজেলার সদর ইউনিয়নের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি হোসেনপুর উপজেলার পৌর এলাকার মডার্ন জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক।

পুলিশ জানায়, যে ঘর থেকে আরিফুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়, সেটির দরজা ভেতর থেকে লাগানো ছিল। তারপর দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে আরিফুলের মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে আরিফুলের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম রাজিব বলেন, ‘রাত পৌনে ২টার দিকে থানা থেকে মোবাইলে ফোন করে জানানো হয়, আমার ছোট ভাই আত্মহত্যা করেছে। আমার ভাই আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে তার স্ত্রী মীরা ও তার ভাইয়েরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। প্রায়ই তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াবিবাদ হতো। ঝগড়া হলেই মীরার বড় ভাই আমাকে ফোন করে জানাত। আজ আর কোনো কিছু জানায়নি।’ এই হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আত্মহত্যা। আরিফুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।