বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নানাবিধ রোগের পিছেন একটা কারণ অনেকাংশেই দায়ি থাকে। তা হল অ্যাসিড এবং অ্যালকেলাইনে ব্যালেন্স। আমাদের শরীরে এই দুই উপাদানের ভারসাম্য বিগ্নিত হলেই নানা ধরনের ছোট-বড় রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। সেই সঙ্গে আকারণে ক্লান্তিও খুব বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, হজম ক্ষমতা একেবারে নষ্ট হয়ে যাওয়াক পাশপাশি ওজনও বাড়তে শুরু করে। তাই তো সুস্থভাবে, দীর্ঘদিন বাঁচতে প্রতি মুহূর্তে শরীরে অ্যাসিড এবং অ্যালকালাইন ব্যালেন্স ঠিক রাখাটা জরুরি। আর এই কাজটি করতে এই ঘরোয়া পানীয়টি খুব সাহায্য করতে পারে। আর এটি বানানোও বেশ সহজ। পুরুষদের থেকে মহিলাদের বেশি সময় ঘুমের প্রয়োজন পরে কেন? জানেন কি কোন খাবার খেলে বাড়ে ব্লাড প্রেসারের সম্ভাবনা? বোয়িং ৭৭৭ উড়ানের সবথেকে কম বয়সী এই মহিলা পাইলটের গল্প শুনলে অবাক হয়ে যাবেন!
পানীয়টি বানাতে যে যে উপকরণ লাগবে: ১. শসা- ১ টা ২. লেবু- ১ টা ৩. মিন্ট পাতা- এক মুঠো ৪. আদা- ছোট্ট একটা পিস।
পানীয়টি বানানোর পদ্ধতি: প্রথমে শসাটা ছোট ছোট টুকরো করে নিন। তারপর লেবুটা চার টুকরো করুন। এবার আদাটা কেটে নিয়ে সবকটি উপকরণ এক জগ জলে মিশিয়ে নিন। সঙ্গে পরিমাণ মতো মিন্ট পাতাও দিয়ে দিন। সবকটি উপাদন মিশে যাওয়ার পর মিশ্রনটি সারা রাত রেখে দিন।
কখন খেতে হবে: সকালে ঘুম থাকে ওটার পর খালি পেটে এই পানীয়টি খলে শরীরে অ্যাসিড এবং অ্যালকালাইনের ভারসাম্য় বজায় থাকবে।
মিশ্রনটি বানানোর সঙ্গে সঙ্গে খেতে নেই কেন? এই ওষুধটি বানাতে যে উপকরণগুলি ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলি জলে যত ভিজবে, তত ভাল কাজে আসবে। তাই তো মিশ্রনটিতে সারা রাত রাখে দেওয়ার পর খাওয়ার পরামর্শ দেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা।
সকালে না খেয়ে কি দিনের যে কোনও সময়ে এটি খাওয়া যায়? সারা দিন ধরেই খেতে পারেন। কোনও ক্ষতি নেই। আর যখন পানীয়টি শেষ হয়ে যাবে তখন উপাদানগুলি ফেলে দেবেন না কিন্তু। বরং বোতলটায় পুনরায় জল ভরে সেই জল খেতে থাকবেন। এমনটা করলে আরও বেশি উপকার পাবেন।
পানীয়টি কীভাবে শরীরকে ভাল রাখে: অ্যাসিডকে কে মারতে পারে? অ্যালকালাইন। আর শসা একটি অ্যালকালাইন ফুড, লেবুও তাই। সেই কারণেই তো এই দুটি খেলে শরীরে অ্যাসিডের উপদ্রব অনেকাংশেই কমে যায়।
মিন্ট পাতা কী কাজে লাগে: হজম ক্ষমতার উন্নতিতে দারুনভাবে সাহায্য করে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি। আর আদায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ, যা নানাদিক থেকে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।