ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাময়িক ভাবে বাসায় যাওয়ার ‘ছাড়পত্র’ পেয়েছেন খালেদা জিয়া

টানা ৫ মাস এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে ‘সাময়িকভাবে’ বাসায় যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছেন খালেদা জিয়া।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন এ কথা জানান। তিনি বলেন, ম্যাডামকে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিষয়টি ভোরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন; বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) বাসায় নেয়ার ব্যাপারে বোর্ডের চিকিৎসকরা আলোচনা করছেন। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি স্থিতিশীল জানিয়ে ডা. রফিক বলেন, বোর্ড এও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, গুলশানের বাসায় ম্যাডামের চিকিৎসা দেবেন মেডিকেল বোর্ড। সেখানে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

গত ৯ আগস্ট শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে এভারকেয়ার হাসপাতাল ভর্তি হন খালেদা জিয়া। টানা ৫ মাস ২ দিন ধরে তিনি এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী আথ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ প্রভৃতি রোগে ভুগছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাহী আদেশে দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা স্থগিত করার পর খালেদা জিয়া মুক্তি পেলেও বিদেশে তার চিকিৎসা করা যাচ্ছে না।

বিদেশে যাবেন না, এমন শর্তে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান বিএনপি নেত্রী। সরকার বলছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী এখন বিদেশে যেতে চাইলে খালেদা জিয়াকে কারাগারে গিয়ে আবেদন করতে হবে।

খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে সপ্তমবার বর্ধিত মুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২৪ সেপ্টেম্বর। এর আগেই তার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়।

এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি অষ্টমবারের মতো বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাজা স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ানো হয়।

মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শর্ত দুটি হলো : খালেদা জিয়া আগের মতোই ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময় তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি হন। গত বছর ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

কারাগার থেকে অসুস্থতা নিয়ে মুক্তির পর এই পর্যন্ত খালেদা জিয়া পাঁচ দফা এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

সাময়িক ভাবে বাসায় যাওয়ার ‘ছাড়পত্র’ পেয়েছেন খালেদা জিয়া

আপডেট টাইম : ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

টানা ৫ মাস এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে ‘সাময়িকভাবে’ বাসায় যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছেন খালেদা জিয়া।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন এ কথা জানান। তিনি বলেন, ম্যাডামকে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিষয়টি ভোরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন; বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) বাসায় নেয়ার ব্যাপারে বোর্ডের চিকিৎসকরা আলোচনা করছেন। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি স্থিতিশীল জানিয়ে ডা. রফিক বলেন, বোর্ড এও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, গুলশানের বাসায় ম্যাডামের চিকিৎসা দেবেন মেডিকেল বোর্ড। সেখানে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

গত ৯ আগস্ট শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে এভারকেয়ার হাসপাতাল ভর্তি হন খালেদা জিয়া। টানা ৫ মাস ২ দিন ধরে তিনি এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী আথ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ প্রভৃতি রোগে ভুগছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাহী আদেশে দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা স্থগিত করার পর খালেদা জিয়া মুক্তি পেলেও বিদেশে তার চিকিৎসা করা যাচ্ছে না।

বিদেশে যাবেন না, এমন শর্তে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান বিএনপি নেত্রী। সরকার বলছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী এখন বিদেশে যেতে চাইলে খালেদা জিয়াকে কারাগারে গিয়ে আবেদন করতে হবে।

খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে সপ্তমবার বর্ধিত মুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২৪ সেপ্টেম্বর। এর আগেই তার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়।

এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি অষ্টমবারের মতো বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাজা স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ানো হয়।

মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শর্ত দুটি হলো : খালেদা জিয়া আগের মতোই ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময় তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি হন। গত বছর ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

কারাগার থেকে অসুস্থতা নিয়ে মুক্তির পর এই পর্যন্ত খালেদা জিয়া পাঁচ দফা এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।