ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা, হাসপাতালে বাড়ছে ভিড়

বৈরী আবহাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে শিশুদের অভিভাবকরাও।

গুগল নিউজে ফলো করুন আরটিভি অনলাইন
তথ্যমতে, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর নিউমোনিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। মাত্র ২৫ দিনে শুধুমাত্র ঢাকার শিশু হাসপাতালেই চিকিৎসা নিয়েছে ৩৮৫ জন। আক্রান্ত শিশুদের বড় একটি অংশ একই মৌসুমে একাধিক বার আক্রান্ত হচ্ছে।

অভিভাবকরা বলছেন, শিশুদের কান্না ও নিজেদের অবর্ণনীয় কষ্টে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জীবন। মাদারীপুরের শিবচর থেকে আসা আলী আহমেদ জানান, ৮ বছরের ছেলে শান্তকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছেন। ছেলেটার তিন-চার দিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। প্রথমে বুঝতে পারিনি। এলাকার ফার্মেসি থেকে ওষুধ খাইয়েছি। কিন্তু অবস্থা খুব খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।

চিকিৎসকরা বলছেন, একই সিজনে একাধিকবার নিউমোনিয়া আক্রান্ত হওয়ায় অনেক শিশুর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে।

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের শিশু মেডিসিন বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিজওয়ানুল আহসান গণমাধ্যমকে জানান, এখানে অন্যান্য সময় যত শিশু রোগী আসতো, শীতের প্রকোপে জানুয়ারির শুরু থেকে তার দ্বিগুণের বেশি আসছে।

রাজধানীর শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পেডিয়েটিক রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে প্রতিদিন হাজারেরও বেশি রোগী আসছে। যাদের বেশির ভাগই ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। শীতের প্রকোপের কারণে এখন শিশুরা নিউমোনিয়া, রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি।

এমন আবহাওয়ায় শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন ও দিন রাতের তাপমাত্রা অনুযায়ী শীতের পোশাক পরানোর পরামর্শ চিকিৎসকদের।

 

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা, হাসপাতালে বাড়ছে ভিড়

আপডেট টাইম : ০৬:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

বৈরী আবহাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে শিশুদের অভিভাবকরাও।

গুগল নিউজে ফলো করুন আরটিভি অনলাইন
তথ্যমতে, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর নিউমোনিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। মাত্র ২৫ দিনে শুধুমাত্র ঢাকার শিশু হাসপাতালেই চিকিৎসা নিয়েছে ৩৮৫ জন। আক্রান্ত শিশুদের বড় একটি অংশ একই মৌসুমে একাধিক বার আক্রান্ত হচ্ছে।

অভিভাবকরা বলছেন, শিশুদের কান্না ও নিজেদের অবর্ণনীয় কষ্টে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জীবন। মাদারীপুরের শিবচর থেকে আসা আলী আহমেদ জানান, ৮ বছরের ছেলে শান্তকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছেন। ছেলেটার তিন-চার দিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। প্রথমে বুঝতে পারিনি। এলাকার ফার্মেসি থেকে ওষুধ খাইয়েছি। কিন্তু অবস্থা খুব খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।

চিকিৎসকরা বলছেন, একই সিজনে একাধিকবার নিউমোনিয়া আক্রান্ত হওয়ায় অনেক শিশুর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে।

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের শিশু মেডিসিন বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিজওয়ানুল আহসান গণমাধ্যমকে জানান, এখানে অন্যান্য সময় যত শিশু রোগী আসতো, শীতের প্রকোপে জানুয়ারির শুরু থেকে তার দ্বিগুণের বেশি আসছে।

রাজধানীর শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পেডিয়েটিক রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে প্রতিদিন হাজারেরও বেশি রোগী আসছে। যাদের বেশির ভাগই ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। শীতের প্রকোপের কারণে এখন শিশুরা নিউমোনিয়া, রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি।

এমন আবহাওয়ায় শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন ও দিন রাতের তাপমাত্রা অনুযায়ী শীতের পোশাক পরানোর পরামর্শ চিকিৎসকদের।