দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। ১৪ দিন পর এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।
এর আগে, গত ১৮ এপ্রিল ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বরিশালে একজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হলো। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ১৪ জন নারী ও ১৩ জন পুরুষ।
শুক্রবার (৩ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু নিয়ে ৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৩জন, ঢাকা শহরের বাইরে ৪জন এবং বরিশালের হাসপাতালে ১ জন ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর দেশে ডেঙ্গু নিয়ে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ২৪৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৩৮৭ জন ও নারী ৮৭০ জন। গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালে জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ২০২৩ সালে সারা দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার আটজন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মানুষ মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন। যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে, ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারা দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এ ছাড়া ২০২২ সালে মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।