বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রঙিন ফলমূল ও সবজিতে পুষ্টির উপাদান বেশি থাকে বলে বিশ্বাস করা হয়। আর বিশেষ কোনো রঙের খাবারে থাকে বিশেষ উপাদান। লাল রঙের খাবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, উপকারী ফ্যাট এবং প্রোটিনে ভরপুর।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট : লাল রঙের খাবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আন্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ, যার রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহনাশক ক্ষমতা। এটি রক্ত বহন ও সংযোগস্থল সুরক্ষায় সাহায্য করে। এ ছাড়া লাল খাবারে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ‘লাইকোপেইন’ যা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে পরিচিত।
পটাসিয়ামে ভরপুর : হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে লাল খাবার বেশ উপকারী। কারণ এই ধরনের খাবার পটাশিয়ামে পূর্ণ থাকে।
ভিটামিনের ভালো উৎস : লাল রঙের খাবার ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’তে ভরপুর, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়, হৃদরোগ এমনকি আর্থ্রাইটিস রোগের ঝুঁকি কমায়। এই সকল ভিটামিন স্বাস্থ্যকর ত্বক, চুল এবং নখের জন্য গুরুত্বপুর্ণ। লাল খাবারে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
ইলেক্ট্রোলাইটে ভরপুর : শরীরের অত্যাবশ্যকীয় কাজ করার জন্য দেহ কোষকে সক্রিয় থাকতে হয়। আর এই কোষকে সক্রিয় রাখতে ইলেক্ট্রোলাইট গুরুত্বপুর্ণ। লাল খাবার পটাশিয়াম, সোডিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামে ভালো উৎস। এসব উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
ফ্লাভোনয়েডস : শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টয়ের প্রভাব বাড়াতে ফ্লাভোনয়েডস’ সাহায্য করে। লাল খাবারে ‘কুয়ার্সিটিন’ নামক ফ্লাভোনয়েড পাওয়া যায়। এটি অ্যালার্জি এবং অ্যাজমার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত লাল খাবারগুলো- টমেটো, চেরি, লাল-আপেল, কাঁচাপেঁয়াজ, স্ট্রবেরি, ডালিম, পাম, লাল-মরিচ, লাল-ক্যাপ্সিকাম, লাল-মটরশুঁটি, তরমুজ এবং লাল-বাঁধাকপি খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে দেহে উপরের উপাদানগুলোর অভাব পূর্ণ হবে।