বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ডায়াবেটিস সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা, এটি বয়স্কদের রোগ। এমন ধারণা যদি আপনারও থেকে থাকে, তাহলে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
এটা ঠিক যে ডায়াবেটিস বয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। কিন্তু কম বয়সীদেরও যে এ রোগ হয় না, তা নয়। আর তাই সবার উচিত এ রোগটির বিষয়ে সতর্ক থাকা।
ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানা
ডায়াবেটিস প্রতিরোধের কাজ শুরুর আগে ডায়াবেটিস কী সে সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। একবার এ সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা এসে গেলে প্রতিরোধের বিষয়টি সহজ হয়ে যাবে।
খাবারের পরিমাণের প্রতি খেয়াল রাখা
সাধারণত প্রতিদিন যে পরিমাণ খাবার একজন খেয়ে থাকে, ডায়াবেটিস প্রতিরোধের কাজের শুরুতে খাবারের পরিমাণ কমাতে হবে। প্রতিদিন এক কাপ পরিমাণ ফল খাওয়া ব্যক্তিকে অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। অথবা খাবারের শুরুতে এক গ্লাস পানি পান করতে হবে। এ পদ্ধতি অবলম্বন করলে ক্ষুধার পরিমাণ কম হবে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
পরিশ্রম করা
যদি আপনার ব্যায়াম করার অভ্যাস থাকে, তাহলে বিভিন্নভাবে আপনি উপকৃত হচ্ছেন। নিয়মিত ব্যায়ামে আপনার ওজন ঠিক রাখতে সহায়তা করে, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিটের ব্যায়াম রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
সকালের নাশতার গুরুত্ব
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে নিয়মিত সকালের নাশতা করাটা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সকালের নাশতার গুরুত্ব অপরিসীম। সকালের খাবার শুধু যে ক্ষুধা নিবারণ করে তা নয়, সারা দিনের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালরি গ্রহণে সহায়তা করে। এতে করে অতিরিক্ত মুটিয়ে যাওয়ার হাত থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।
বেশি করে সবজি খাওয়া
মাংস স্বাস্থ্যকর খাবার; কিন্তু এটি প্রতিদিন খাওয়া ঠিক নয়। কেননা এটা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। সে কারণে খাবারের তালিকায় মাংস কমিয়ে সবজির পরিমাণ বাড়ানো উচিত। এতে করে আপনার শরীরের একদিকে যেমন পুষ্টির অভাব পূরণ হবে, তেমনি ডায়াবেটিস থেকে রেহাই পাবেন।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা
ডায়াবেটিসের বেশির ভাগ লক্ষণই নীরব ঘাতক। সে কারণে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকার জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় আগেভাগে লক্ষণ ধরা পড়লে, মারাত্মক আকার ধারণ করার আগেই চিকিৎসা করে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।