ঢাকা , রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হেপাটাসইটিস রোগী আক্রান্ত আপনা-আপনি ভালো হয়ে যায়

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আমরা সবাই জানি হেপাটাসইটিস–বি ভাইরাসজনিত জন্ডিস (Hepatitis B Virus Jaundice)। সাধারণত যৌন সংগমের মাধ্যমে হেপাটাসইটিস–বি ভাইরাস দ্বারা এ রোগটি হয়। প্রধানত যকৃতের ওপর এর ক্ষতিকারক দিকটি সবচেয়ে বেশি। ফলে জন্ডিস দেখা দেয়। রোগের সুপ্তিকাল ৬ সপ্তাহ থেকে ৬ মাস। বেশিভাগ রোগীই আপনা-আপনি ভালো হয়ে যায়।

তবে ৫-১৫ শতাংশ রোগী ভালো হয় না। এদের শরীরে ভাইরাসটি থেকে যায় এবং রোগ ছড়াতে পারে। অনেকদিন রোগে ভোগার পর রোগীর সিরোসিস এবং ক্যান্সারের মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে।

সাধারণত হেপাটাসইটিস –বি ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর রক্ত, মুখের লাল, যোনিরস এবং বীর্যে এই ভাইরাস থাকে।

কতদিন পর্যন্ত  রোগটি ছড়ায়

রোগের সুপ্তিকাল অর্থাৎ জন্ডিস দেখা দেবার ১ মাস আগে থেকে রোগ থাকাকালীন সময়ে এ রোগটি ছড়ায়। রোগ ভালো হয়ে গেলেও ৫-১৫ শতাংশ রোগীর কাছ থেকে এ ভাইরাসটি দীঘদিন যাবৎ ছড়াতে পারে।

হেপাটাসইটিস –বি কিভাবে ছড়ায়

রত্তের মাধ্যমে সংক্রামিত সিরিঞ্জ এবং সূচের মাধ্যমে

মায়ের শরীর থেকে নবজাতকের রক্তে বা শরীরে যৌন মিলনে মাধ্যমে

রোগের লক্ষণ

অন্যান্য ভাইরাল হেপাটিইটিসের লক্ষণের মতো হেপাটাসইটিস–বি ভাইরাসের লক্ষণ হয়ে থাকে। যেমন: জন্ডিস, দুর্বল লাগা, পেট ব্যথা করা, খাবার হজম না হওয়া, রুচির অভাব ইত্যাদি। এ সময় যকৃত বড় হয়ে যায়, ফুলে যায়, ব্যথা করে। প্রস্রাব হলুদ রংয়ের হয়। গায়ের চামড়া এবং চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায়।

প্রতিরোধ

হেপাটাসইটিস–বি টিকা দিয়ে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

রক্ত গ্রহণ করার পূর্বে পরীক্ষা করে দেখা প্রযোজন, হেপাটাসইটিস–বি ভাইরাস আছে কিনা।

পরীক্ষা না করে রক্ত দেয়া এবং নেয়া উচিত না।

এ ক্ষেত্রে জরুরিভাবে হেপাটাসইটিস– বি এর ইম্মুনোগ্লোবিউলিন টিকা দেয়া জরুরি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

হেপাটাসইটিস রোগী আক্রান্ত আপনা-আপনি ভালো হয়ে যায়

আপডেট টাইম : ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আমরা সবাই জানি হেপাটাসইটিস–বি ভাইরাসজনিত জন্ডিস (Hepatitis B Virus Jaundice)। সাধারণত যৌন সংগমের মাধ্যমে হেপাটাসইটিস–বি ভাইরাস দ্বারা এ রোগটি হয়। প্রধানত যকৃতের ওপর এর ক্ষতিকারক দিকটি সবচেয়ে বেশি। ফলে জন্ডিস দেখা দেয়। রোগের সুপ্তিকাল ৬ সপ্তাহ থেকে ৬ মাস। বেশিভাগ রোগীই আপনা-আপনি ভালো হয়ে যায়।

তবে ৫-১৫ শতাংশ রোগী ভালো হয় না। এদের শরীরে ভাইরাসটি থেকে যায় এবং রোগ ছড়াতে পারে। অনেকদিন রোগে ভোগার পর রোগীর সিরোসিস এবং ক্যান্সারের মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে।

সাধারণত হেপাটাসইটিস –বি ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর রক্ত, মুখের লাল, যোনিরস এবং বীর্যে এই ভাইরাস থাকে।

কতদিন পর্যন্ত  রোগটি ছড়ায়

রোগের সুপ্তিকাল অর্থাৎ জন্ডিস দেখা দেবার ১ মাস আগে থেকে রোগ থাকাকালীন সময়ে এ রোগটি ছড়ায়। রোগ ভালো হয়ে গেলেও ৫-১৫ শতাংশ রোগীর কাছ থেকে এ ভাইরাসটি দীঘদিন যাবৎ ছড়াতে পারে।

হেপাটাসইটিস –বি কিভাবে ছড়ায়

রত্তের মাধ্যমে সংক্রামিত সিরিঞ্জ এবং সূচের মাধ্যমে

মায়ের শরীর থেকে নবজাতকের রক্তে বা শরীরে যৌন মিলনে মাধ্যমে

রোগের লক্ষণ

অন্যান্য ভাইরাল হেপাটিইটিসের লক্ষণের মতো হেপাটাসইটিস–বি ভাইরাসের লক্ষণ হয়ে থাকে। যেমন: জন্ডিস, দুর্বল লাগা, পেট ব্যথা করা, খাবার হজম না হওয়া, রুচির অভাব ইত্যাদি। এ সময় যকৃত বড় হয়ে যায়, ফুলে যায়, ব্যথা করে। প্রস্রাব হলুদ রংয়ের হয়। গায়ের চামড়া এবং চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায়।

প্রতিরোধ

হেপাটাসইটিস–বি টিকা দিয়ে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

রক্ত গ্রহণ করার পূর্বে পরীক্ষা করে দেখা প্রযোজন, হেপাটাসইটিস–বি ভাইরাস আছে কিনা।

পরীক্ষা না করে রক্ত দেয়া এবং নেয়া উচিত না।

এ ক্ষেত্রে জরুরিভাবে হেপাটাসইটিস– বি এর ইম্মুনোগ্লোবিউলিন টিকা দেয়া জরুরি।