ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আতশবাজি পোড়ানো বন্ধে হাজারো মানুষের আবেদন

ইউরোপের দেশটি জার্মানিতে ব্যক্তি পর্যায়ে ফায়ারওয়ার্কস বা আতশবাজি পোড়ানো বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আবেদন করেছেন ২৭ হাজারের বেশি জার্মান। জার্মানির পুলিশ ইউনিয়ন অনলাইন পিটিশনটির আয়োজন করেছে।

নতুন বছর, অর্থাৎ ২০২৫ সালের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আতশবাজি দুর্ঘটনায় হতাহতের পর এমন আবেদন জানান তারা। জার্মানিতে নববর্ষ উদযাপনের সময় আতশবাজি দুর্ঘটনায় এবার অনেকে আহত ও অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর পর বিষয়টি আবারও আলোচনায় আসে।

এ ছাড়া দেশটির বেশ কিছু শহরে জরুরি সহায়তাকারী দলের ওপর পাথর নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। অবশ্য বিষয়টি যে এবারই প্রথম ঘটেছে এমন নয়। পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় রাজধানী বার্লিনের এক কর্মকর্তা আহতও হয়েছেন। আহতের মাত্রা এমন ছিল যে তার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়।

রাজনীতিবিদদের দ্বিমত
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শুক্রবার অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ বলেন, বিষয়টি পরিষ্কার, নতুন নিয়ম দরকার। তিনি আরো বলেন, ‘উদযাপনের জন্য কোনো ধরনের আড়ম্বর করা যেতে পারে সে বিষয়ে আমাদের পরিষ্কার নিয়ম থাকতে হবে এবং যারা নিয়ম মানবে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এটিই সঠিক পথ।’

অন্যদিকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ হয়—এমন কোনো নিয়মের বিপক্ষে মত দিয়েছেন সাবেক বিচারমন্ত্রী মার্কো বুশম্যান।

তিনি বলেন, ‘পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা যথাযথ হবে না। কারণ এটি সামগ্রিক পর্যায়ের শাস্তি হয়ে উঠবে।’এ ছাড়া রাজধানী বার্লিনের মেয়র কাই ভেঙ্গার বৃহস্পতিবার বলেন, এ বিষয়ে নতুন নিয়ম প্রয়োজন। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরোধিতা করেন।

মেয়র বলেন, ‘বার্লিনের বেশির ভাগ মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে নতুন বছর উদযাপন করেছে।

আমরা কেন তাদেরকে ও তাদের পরিবারকে নতুন বছরের আনন্দময় ঐতিহ্যবাহী ফায়ারওয়ার্কস থেকে বিরত রাখব?’পুলিশের সমর্থন
নতুন বছরের আগেই জার্মানির পুলিশ ইউনিয়ন জিডিপি ও জার্মান মেডিক্যাল ইউনিয়ন ব্যক্তিগত পর্যায়ের ফায়ারওয়ার্কস আয়োজনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানায়।

অনলাইন পিটিশনটি শুরু করা পুলিশ ইউনিয়নের যুক্তি, পুলিশ ও জরুরি সহায়তাকারীদের ওপর সহিংসতা ঠেকাতে এই নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে ব্যক্তি পর্যায়ে না করে এমন আয়োজন শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসার জন্যও নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন বলে মত তাদের।

ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সর্বশেষ আমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা গ্রহণযোগ্যতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

আতশবাজি পোড়ানো বন্ধে হাজারো মানুষের আবেদন

আপডেট টাইম : ১২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫
ইউরোপের দেশটি জার্মানিতে ব্যক্তি পর্যায়ে ফায়ারওয়ার্কস বা আতশবাজি পোড়ানো বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আবেদন করেছেন ২৭ হাজারের বেশি জার্মান। জার্মানির পুলিশ ইউনিয়ন অনলাইন পিটিশনটির আয়োজন করেছে।

নতুন বছর, অর্থাৎ ২০২৫ সালের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আতশবাজি দুর্ঘটনায় হতাহতের পর এমন আবেদন জানান তারা। জার্মানিতে নববর্ষ উদযাপনের সময় আতশবাজি দুর্ঘটনায় এবার অনেকে আহত ও অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর পর বিষয়টি আবারও আলোচনায় আসে।

এ ছাড়া দেশটির বেশ কিছু শহরে জরুরি সহায়তাকারী দলের ওপর পাথর নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। অবশ্য বিষয়টি যে এবারই প্রথম ঘটেছে এমন নয়। পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় রাজধানী বার্লিনের এক কর্মকর্তা আহতও হয়েছেন। আহতের মাত্রা এমন ছিল যে তার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়।

রাজনীতিবিদদের দ্বিমত
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শুক্রবার অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ বলেন, বিষয়টি পরিষ্কার, নতুন নিয়ম দরকার। তিনি আরো বলেন, ‘উদযাপনের জন্য কোনো ধরনের আড়ম্বর করা যেতে পারে সে বিষয়ে আমাদের পরিষ্কার নিয়ম থাকতে হবে এবং যারা নিয়ম মানবে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এটিই সঠিক পথ।’

অন্যদিকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ হয়—এমন কোনো নিয়মের বিপক্ষে মত দিয়েছেন সাবেক বিচারমন্ত্রী মার্কো বুশম্যান।

তিনি বলেন, ‘পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা যথাযথ হবে না। কারণ এটি সামগ্রিক পর্যায়ের শাস্তি হয়ে উঠবে।’এ ছাড়া রাজধানী বার্লিনের মেয়র কাই ভেঙ্গার বৃহস্পতিবার বলেন, এ বিষয়ে নতুন নিয়ম প্রয়োজন। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরোধিতা করেন।

মেয়র বলেন, ‘বার্লিনের বেশির ভাগ মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে নতুন বছর উদযাপন করেছে।

আমরা কেন তাদেরকে ও তাদের পরিবারকে নতুন বছরের আনন্দময় ঐতিহ্যবাহী ফায়ারওয়ার্কস থেকে বিরত রাখব?’পুলিশের সমর্থন
নতুন বছরের আগেই জার্মানির পুলিশ ইউনিয়ন জিডিপি ও জার্মান মেডিক্যাল ইউনিয়ন ব্যক্তিগত পর্যায়ের ফায়ারওয়ার্কস আয়োজনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানায়।

অনলাইন পিটিশনটি শুরু করা পুলিশ ইউনিয়নের যুক্তি, পুলিশ ও জরুরি সহায়তাকারীদের ওপর সহিংসতা ঠেকাতে এই নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে ব্যক্তি পর্যায়ে না করে এমন আয়োজন শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসার জন্যও নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন বলে মত তাদের।

ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সর্বশেষ আমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা গ্রহণযোগ্যতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে।’