বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বয়স ৩০-এর কোটা পার করলেই ত্বকে দেখা দিতে থাকে মলিনভাব। তবে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন শুষ্ক ও নির্জিব ত্বক থেকে রক্ষা করতে পারে। খাবার থেকে পাওয়া পুষ্টি শরীর যেমন শক্তি যোগায় তেমনি আমাদের রাখে সতেজ। কিছু খাবারের পুষ্টিগুণ ত্বক রাখতে পারে সজীব। পুষ্টিবিজ্ঞানে প্রতিষ্ঠিত এ রকম কয়েকটি খাবারের নাম এখানে উল্লেখ করা হলো যা খেলে শুষ্ক ও মলিন ত্বক করবে উজ্জ্বল।
কাঠবাদাম : কাঠবাদামে উল্ল্যেখযোগ্য পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে যা কোষের মেম্ব্রেইন বা ঝিল্লির ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এতে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা ত্বকে পুষ্টি ও আর্দ্রতা যোগায়। তাই ত্বক ভালো রাখতে প্রতিদিন একমুঠ কাঠবাদাম খান।
চিয়া বীজ : এটা ওমেগা-সিক্স সমৃদ্ধ যা বয়সের ছাপ কমিয়ে ত্বক পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে।
কমলা : ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এ ফল ত্বকের বলিরেখা পড়ার গতি ধীর করতে অত্যাবশ্যক উপাদান হিসেবে কাজ করে। যারা নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন- কমলা খায় তাদের তুলনামূলক কম বলিরেখা পড়ে।
রসুন : রসুন সালফারের ভালো উৎস, যা কোষে পুষ্টি ও খনিজ সরবারহ করতে অত্যাবশ্যক উপাদান হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া এটা ক্ষতিগ্রস্ত কোষের ক্ষয় পূরণ ও নিরাময় করতে সাহায্য করে।
টমেটো : সূর্যের কারণে হওয়া ত্বকের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে টমেটো সাহায্য করে। টমেটোর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপেনে ত্বক সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
পালংশাক : চামড়া ওঠার সমস্যা থাকলে বুঝতে হবে আপনার ভিটামিন ই’য়ের ঘাটতি রয়েছে। সবুজ, পাতাবহুল সবজি যেমন পালংয়ে প্রচুর ভিটামিন এ’ থাকে যা শুষ্ক ত্বক নমনীয় রাখতে সাহায্য করে।
শিম : কিডনি বিন বা শিমে খনিজ উপাদান জিংক পাওয়া যায় যা ত্বক সুস্থ ও পুনর্গঠিত করতে সাহায্য করে। এটা কোষ বিভাজন ও প্রোটিনের সংশ্লেষণ হতে সাহায্য করে।
কলা : কলা ভিটামিন সি ও বি-সিক্সয়ের ভালো উৎস, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই ফল ত্বক প্রাকৃতিকভাবে আর্দ্র রাখতে এবং ত্বকের শুষ্কতা দূর করে।