বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ প্রাচীন কাল হতে এসব ঔষধি গাছ মানুষের বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিভিন্ন বড় ধরনের অসুস্থতায় শরীরকে সুস্থ্য রাখতে আমাদের আশপাশে অবস্থিত বিভিন্ন ঔষধি গাছ মীশাক, অনন্তমূল এর মাধ্যমে সমাধান পেতে পারি। তেমনি একটি হচ্ছে নিম গাছ। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিম গাছের নানা অংশকে ব্যবহার করতে পারেন আপনি। নিমগাছের ঔষধি গুণ তুলনাহীন। রোগ প্রতিকার ও নিরাময়ে নিমের রয়েছে অনন্য ভূমিকা।
আসুন, জেনে নিই, শরীরের যত্ন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিমকে কীভাবে ব্যবহার করা যায়..
দাঁতের যত্নে :
কচি নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ভালো থাকে। নিম পাউডার দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ও মাড়ি থাকে সবল।
আলসার নিরাময়ে :
নিম পাতা ও নিম বীজের রস খেলে আলসার ভাল হয়।
ক্যান্সার প্রতিরোধে :
ক্যান্সার প্রতিরোধে নিমপাতার ভূমিকা অতুলনীয়। বিশেষ করে নিম তেল, বাকল ও পাতার রস ব্যবহারে ক্যান্সার-টিউমার, স্কিন ক্যান্সার প্রভৃতি উপশম হয়।
হৃদরোগ প্রতিকারে :
নিম পাতার রস খেলে হৃদরোগে উপকার পাওয়া যায়। নিম পাতার রস ব্লাডপ্রেশার ও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। নিম রক্ত পাতলা করে, হার্টবিট কমাতেও ভূমিকা রাখে।
জন্ডিস প্রতিকারে :
২৫-৩০ ফোঁটা নিমপাতার রস একটু মধুর সাথে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে জন্ডিস রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বহুমূত্র রোগ নিরাময়ে :
প্রতিদিন সকালে ১ চামচ নিমপাতার রস খালি পেটে ৩ মাস খেলে ডায়বেটিস ভাল হয়। নিম পাতার রস খেলে ইনসুলিন নেয়ার প্রবণতা ৩০-৭০% কমে যায়।
চোখের ব্যথা নিরাময়ে :
চোখে চুলকানি হলে পানিতে দশ মিনিট নিমপাতা সিদ্ধ করে ঠাণ্ডা করে নিয়ে চোখে সেই পানির ঝাপটা দিলে আরামবোধ করবেন।
কৃমি নিরাময়ে :
৩-৪ গ্রাম নিমের ছাল গুঁড়ো করে সামান্য পরিমাণ সৈন্ধব লবণসহ সকালে খালি পেটে এক সপ্তাহ খেলে কৃমির উপদ্রব হতে রক্ষা পাওয়া যায়। নিয়মিত এক সপ্তাহ সেবন করতে হবে।
মাথাধরা সারাতে :
মাথাব্যথা একটি কমন রোগ। তাই যদি নিম তেল নিয়মিত মাখেন মাথা ধরা কমে যাবে।