২. নাক : জনসমক্ষে যখন তখন নাকে হাত দেওয়া যেমন অরুচিকর, তেমনই স্বাস্থ্যগত কারণেও এ কাজ একদম অনুচিত। নাকে যে পরিমাণ ময়লা জমে তা আসলে বাইরের ময়লা থেকে সুরক্ষার স্বার্থেই। গবেষকদের মতে, খালি হাতে নাক খোঁচানোয় ফলে স্টেফাইলোকক্কাস অরিয়াস নামক যে ব্যাকটেরিয়া থাকে তার পরিমাণ ৫১ ভাগ বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ছাড়া অনেকে নাকের লোমও পরিষ্কার করে থাকেন, যা আরও ক্ষতিকর। বাইরের ধুলো বা রোগ জীবাণু যাতে নাক দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য ছাকনি হিসেবে কাজ করে এ লোম।
৩. গাল : মুখ ধোয়া বা মোছা ছাড়া গালে হাত দেওয়া একদমই ঠিক নয়। গালের ত্বক এমনিতেই সংবেদনশীল হয়ে থাকে। ঘন ঘন গালে হাত দিলে স্থানটির ত্বকের লোমকূপ ময়লা বা তেলের কারণে বন্ধ হতে পারে। তাছাড়া ব্রনের অন্যতম কারণ হাতে লেগে থাকা রোগ-জীবাণু।
৪. নিতম্ব : ইচ্ছেয় হোক কিংবা অনিচ্ছেয়.. নিতম্বে হাত অনেকেরই চলে যায়। যার কৃমি হয়েছে তার তো কথাই নেই! তবে বিষয়টি যেমন দৃষ্টিকটু, বিজ্ঞানীরা বলছেন স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও তেমনি ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা, মলদ্বার সংবেদনশীলই শুধু নয়, নানা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াও রয়েছে এ স্থানে। তাই এ জায়গায় হাত দেওয়ার ফলে শরীরের অন্যান্য স্থানেও তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই নিতম্বে চলে গেলেও পরে হাত ভালোভাবে সাবান দিয়ে পরিষ্কারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
৫. চোখ : মানুষের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির প্রতি আমরা অনেকেই যত্মবান নই। কিছু হলেই হাত দিয়ে চোখে এমন ডলা দেই যে খেয়াল থাকে না এর ফলে কি ক্ষতিটাই না হতে পারে। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রয়োজনে চোখে পানি দেওয়া ভালো। তবে হাত দেওয়া একদম ঠিক নয়। কেননা, হাতে থাকতে পারে এমন সব ক্ষতিকর জীবাণু যা চোখের প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। কর্নিয়াও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই খুব বেশি দরকার হলে হাত খুব ভালো করে ধুয়ে তবেই চোখকে স্পর্শ করা উচিত।
৬. মুখ : খাবার বা পানীয় গ্রহণ ছাড়া যারা মুখে হাত দিয়ে থাকেন তাদের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। কেননা, হাতের অদৃশ্য জীবাণু খুব সহজেই শরীরের ভেতর প্রবেশ করার সুযোগ পায়।
৭. নখের ত্বক : আপনি স্বীকার করুন আর নাই করুন, নখে রোগ জীবাণু থাকবেই। তাই কথায় কথায় যারা নখ খোঁটেন কিংবা দাঁত দিয়ে নখ কাটেন তাদের এ অভ্যাস আজই ত্যাগ করা উচিত। সুস্থ থাকতে চাইলে নখ ছোট রাখুন। পাশাপাশি কথায় কথায় দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যেস ত্যাগ করুন।