শুধু সুস্বাস্থ্যের জন্য নয়, বরং শারীরিক সৌন্দর্য ধরে রাখতেও অনেকেই নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান। ওজন কমানোর জন্য অনেকেই ডায়েট করে থাকেন। তবে ডায়েট সম্পর্কে আমাদের কিছু ভুল ধারণা আছে।
ডায়েটের জন্য অকার্যকরী, এরকম অনেক নিয়মই আমরা মেনে চলি। অকার্যকরী এই নিয়মগুলো ওজন কমাতে কোন ভূমিকাই রাখে না।
ওজন কমানো সম্পর্কিত প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা পূর্বপশ্চিম পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
১. শর্করাকে বিদায় নয়
অনেকেই আছেন, যারা ওজন কমাতে ভাত ও আলু খাওয়া এড়িয়ে চলেন, নিজেদের খাদ্য তালিকা থেকেও শর্করা একেবারেই বাদ দিয়ে দেন। শর্করা বাদ দিতে চাইলে চিনি বাদ দেওয়া যেতে পারে। তবে কিছু পরিমাণে শর্করা আপনার গ্রহণ করা উচিত। আমাদের শরীরের জন্য শর্করার একটি অপরিহার্য উপাদান।
২. একবেলা না খেয়ে থাকবেন না
অনেকেই সকালে বা রাতে কোন খাবার গ্রহণ করেননা। একবেলা খাবার না খেলেই বরং পেটের মেদ বৃদ্ধি পায়। কারণ অনেক বেশি ক্ষুধা থাকায় পরের বেলায় মানুষ বেশি করে খাবার গ্রহণ করে। তাই ওজন কমাতে এক বেলা না খেয়ে থাকা কোন সমাধান নয়।
৩. পানি দেহের ক্ষতিকর পদার্থগুলো বের করে দেয়
অনেকেই মনে করেন, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে ওজন কমবে। পানি সরাসরিভাবে আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে না।শুধু দেহের ক্ষতিকর টক্সিনগুলো বের করে দেয়। আর দেহের জন্য ক্ষতিকর এই টক্সিনগুলোই ওজন বাড়ানোর জন্য পরোক্ষভাবে দায়ী।
৪. ব্যায়াম করলে ডায়েট করতে হবে না
ব্যায়াম করলে ইচ্ছামত ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে, অনেকেরই এই ভুল ধারণাটি আছে। ব্যায়াম আপনার চর্বি পোড়াতে সাহায্য করবে। কিন্তু ওজন কমাতে হলে আপনার খাদ্য তালিকায় কম ক্যালরিযুক্ত খাবার রাখতে হবে।
৫. ওজন কমানোর ওষুধ খাওয়া
অনেকেরই বিশ্বাস, পিল বা ওষুধ খেলে দ্রুত ওজন কমে। ওজন কমানোর পিল আপনার ওজন দ্রুতই কমিয়ে দিবে। কিন্তু আপনার শরীরে এটি দীর্ঘমেয়াদী খারাপ প্রভাব ফেলবে, যা পরবর্তীতে আপনার দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
৬. ফলের রস পান
শরীর জন্য ফলের রস অনেক উপকারী।তাজা ফল বা সবজিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, মিনারেল থাকে, যা লিভার সুস্থ রাখে এবং দেহের মেটাবোলিজমের হার বৃদ্ধি করে।ফলের রস মধ্যে থাকা উপাদানগুলো সরাসরি নয় বরং পরোক্ষভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে।