ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হিজাব ছাড়া ছবি পোস্ট, আট নারী গ্রেপ্তার

অনলাইনে হিজাববিহীন ছবি পোস্ট করায় ইরানের আট নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এলহাম আরব নামের একজন জনপ্রিয় মডেল রয়েছেন।

ইরানি ওই মডেল তার সোনালি খোলা চুল এবং বিয়ের পোশাক পরা ছবি পোস্ট করে ইনস্টাগ্রামে বেশ জনপ্রিয়। এই অপরাধে তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়।

তেহরানের প্রসিকিউটর জেনারেল আব্বাস জাফারি দৌলতাবাদি সোমবার আদালতে ওই মডেলকে ‘পশ্চিমা সংস্কৃতি বাছবিচারহীনভাবে প্রচার’ করেছেন বলে অভিযুক্ত করেন।

ফ্যাশন ব্যবসায়ে আসাটাই তার জন্য অমঙ্গল হয়েছে- এমন আক্ষেপ করে এলহাম আরব বলেন, “সব লোকই সৌন্দর্য ও সুনাম পছন্দ করে। এবং তা দেখানো পছন্দ করে। কিন্তু এটি জানা গুরুত্বপূর্ণ, দেখানোর জন্য তাদের কতটুকু মূল্য দিতে হয়। একজন ইরানি চলচ্চিত্র তারকাকে তেমন কিছু হারাতে হয় না। কিন্তু একজন মডেলকে নিশ্চিত তার সম্মান হারাতে হয়।”

এলহামের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অন্য সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ফেসবুক পেজ ও ব্যবসায়িক ওয়েবসাইটের কারণে। ‘অপারেশন স্পাইডার টু’ নামে একটি স্ট্রিং অপারেশনের মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মূলত ইনস্টাগ্রামে যারা অশালীন ছবি পোস্ট করে তাদেরই টার্গেট করা হয়েছে।

ইরানের কর্তৃপক্ষ বলছে, মুসলিমদের ‘সম্মান’ রক্ষা, জাতীয় ও ইসলামি পরিচয় রক্ষা, অনলাইনে ‘অশালীন’ কন্টেন্টমুক্ত করাই তাদের উদ্দেশ্য।

ইরান কর্তৃপক্ষ জানায়, এখন পর্যন্ত স্ট্রিং অপারেশনে ১৭০ জন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৮ জন মডেল এবং ৫৯ জন ফটোগ্রাফার ও মেকআপ শিল্পী, ৫১ জন ফ্যাশন সেলুন ম্যানেজার রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে তরুণদের নৈতিক অবক্ষয় এবং বিপথে পরিচালিত করার অভিযোগ তোলা হয়েছে।

দৌলতাবাদি বলেন, “আমাদের অবশ্যই অনলাইনের শত্রুদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। এই ব্যাপারে আমাদের কার্যক্রম চলবে।”

১৯৭৯ সাল থেকে ইরানি নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। সূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্ট ও ডেইলি মেইল।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

হিজাব ছাড়া ছবি পোস্ট, আট নারী গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ০৬:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মে ২০১৬

অনলাইনে হিজাববিহীন ছবি পোস্ট করায় ইরানের আট নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এলহাম আরব নামের একজন জনপ্রিয় মডেল রয়েছেন।

ইরানি ওই মডেল তার সোনালি খোলা চুল এবং বিয়ের পোশাক পরা ছবি পোস্ট করে ইনস্টাগ্রামে বেশ জনপ্রিয়। এই অপরাধে তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়।

তেহরানের প্রসিকিউটর জেনারেল আব্বাস জাফারি দৌলতাবাদি সোমবার আদালতে ওই মডেলকে ‘পশ্চিমা সংস্কৃতি বাছবিচারহীনভাবে প্রচার’ করেছেন বলে অভিযুক্ত করেন।

ফ্যাশন ব্যবসায়ে আসাটাই তার জন্য অমঙ্গল হয়েছে- এমন আক্ষেপ করে এলহাম আরব বলেন, “সব লোকই সৌন্দর্য ও সুনাম পছন্দ করে। এবং তা দেখানো পছন্দ করে। কিন্তু এটি জানা গুরুত্বপূর্ণ, দেখানোর জন্য তাদের কতটুকু মূল্য দিতে হয়। একজন ইরানি চলচ্চিত্র তারকাকে তেমন কিছু হারাতে হয় না। কিন্তু একজন মডেলকে নিশ্চিত তার সম্মান হারাতে হয়।”

এলহামের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অন্য সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ফেসবুক পেজ ও ব্যবসায়িক ওয়েবসাইটের কারণে। ‘অপারেশন স্পাইডার টু’ নামে একটি স্ট্রিং অপারেশনের মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মূলত ইনস্টাগ্রামে যারা অশালীন ছবি পোস্ট করে তাদেরই টার্গেট করা হয়েছে।

ইরানের কর্তৃপক্ষ বলছে, মুসলিমদের ‘সম্মান’ রক্ষা, জাতীয় ও ইসলামি পরিচয় রক্ষা, অনলাইনে ‘অশালীন’ কন্টেন্টমুক্ত করাই তাদের উদ্দেশ্য।

ইরান কর্তৃপক্ষ জানায়, এখন পর্যন্ত স্ট্রিং অপারেশনে ১৭০ জন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৮ জন মডেল এবং ৫৯ জন ফটোগ্রাফার ও মেকআপ শিল্পী, ৫১ জন ফ্যাশন সেলুন ম্যানেজার রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে তরুণদের নৈতিক অবক্ষয় এবং বিপথে পরিচালিত করার অভিযোগ তোলা হয়েছে।

দৌলতাবাদি বলেন, “আমাদের অবশ্যই অনলাইনের শত্রুদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। এই ব্যাপারে আমাদের কার্যক্রম চলবে।”

১৯৭৯ সাল থেকে ইরানি নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। সূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্ট ও ডেইলি মেইল।