ঢাকা , শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৌদিতে এবার স্কুল পড়ুয়া কিশোরীরাও পেলো ‘স্বাধীনতার স্বাদ’! বিপত্তির মুখেও অনড় যুবরাজ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সৌদি আরব। শুধু মধ্যপ্রাচ্যেরই নয়, পৃথিবীজুড়েই রক্ষণশীল দেশ হিসেবে পরিচিত ছিলো এতকাল । তবে ক্রমশ ভাংছে সেই ধারনা। প্রবল আলোচনা আর সমালোচনার মধ্য দিয়েই খুব দ্রুতই বদলে যাচ্ছে প্রেক্ষাপট। দেশটিতে নারীদের কাজ বা চলাফেরার ব্যাপারে খুব কড়াকড়ি ছিলো এতকাল। তবে সম্প্রতি নারীদের ক্ষেত্রে অনেক ‘সহনশীল’ মনোভাব পোষণ করতে দেখা গেছে দেশটির প্রশাসনের। সে লক্ষ্যে চলতি আরবি বছরে নারীদের ৮৭ হাজার ৫৭৫টি বিজনেস লাইসেন্স দিয়েছে সৌদির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

একইসাথে কিছুদিন আগেই সেখানে নারীদের জন্য গাড়ি চলানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি দেশটির একটি স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো মহিলাদের প্রবেশের অনুমতি দেবার পর এদফায় সর্বশেষ সৌদি আরবের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের মোবাইল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

নারী অধিকারের প্রশ্নে রক্ষণশীল সৌদি আরবের কিছু সিদ্ধান্ত আলোড়ন ফেলেছে আন্তর্জাতিক মহলে। ২০১৮ সালের জুনে এই আদেশ যদিও কার্যকর হবার কথা থাকলেও আগাম স্বাধীনতার স্বাদ নিতে শুরু করেছেন বেশিরভাগ সৌদি নারীরা ।

সবাইকে অবাক করে দিয়ে মাত্র কিছুদিন আগেই প্রথমবারের মতো একটি মিউজিক্যাল কনসার্টে স্টেডিয়াম জুড়ে বাঁধভাঙা উল্লাস করতে দেখা যায় সৌদি নারীদের । ইসলামে সর্বপ্রধান দেশ সৌদি আরবে ধর্মীয় নিয়ম ও রক্ষণশীল নীতি এভাবেই ক্রমশ বদলাচ্ছে দেশটিতে ।

আরব নিউজে প্রকাশিত সংবাদসুত্রে, সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন বিন আবদুল্লা আজিজ আল সৌদ দেশে ধর্মীয় আইন শিথিল করার চেষ্টা করছেন বলে জানানো হয়েছে।

চাকুরী ক্ষেত্রে সৌদি নারী

তবে আরব যুবরাজের এই বার্তায় শুরু হয়েছে আলোড়ন। বিশ্ব জুড়ে প্রশ্ন আরব কতটা এই প্রক্রিয়ায় সফল হবে। সাক্ষাৎকারে আরবের যুবরাজ বলেছেন, আমরা ধর্মীয় আইনের বেড়াজাল ছিন্ন করার সময় এসেছে। রক্ষণশীল এই চিন্তাধারা নিয়ে চলতে চাইনা আমরা।

প্রকাশিত সংবাদে সৌদি যুবরাজের উধৃতি দিয়ে বলা হয়, ” সৌদি আরব কড়া ইসলামি শাসনের দেশ। এখানে ধর্মীয় নিয়ম লঙ্ঘন করলেই কড়া শাস্তি পেতে হয়। এই আইনের বলেই সৌদি মহিলাদের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সম্প্রতি দেশের মহিলাদের জন্য আইন শিথিল করা হয়েছে।”

এতদিন কড়া ইসলামিক অনুশাসনে নারীদের আপাদমস্তক পর্দায় ঢেকে রাখার নিয়ম ভেঙ্গে নতুন এই আদেশকে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা ।

সৌদি আরবের নারীদের ভ্রমণ, পড়ালেখা অথবা বিয়ের জন্য পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হতো। বাবা, স্বামী অথবা ছেলে এই অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। সৌদি আরবের নারী অধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ ছিলো এটা নারীর অধিকার নিশ্চিতের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা। এই বাঁধা পেরুতে রক্ষনশীল সৌদি প্রশাসনের বিরুদ্ধে গোপনে ও প্রকাশ্যে অনেক আন্দোলন হয়েছে এতকাল।

বেশ কিছু ক্ষেত্রে নারীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। এখন থেকে সরকারি চাকরি, পড়ালেখা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে নারীদের পরিবারের পুরুষ অভিভাবকের অনুমতির প্রয়োজন হবে না।

দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের স্বাক্ষরিত নতুন ফরমানে বলা হয়েছে, পড়ালেখা, স্বাস্থ্যসেবা ও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে নারীদের আর পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হবে না।

বিশ্বের অন্যতম এই রক্ষণশীল দেশটিতে নারীদের জীবনযাপন করতে হয় পুরুষ অভিভাবকের অধীনে। সেখানে নারীরা গাড়ি চালানোর অনুমতি পায় না। এ ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় পা থেকে মাথা পর্যন্ত কালো কাপড় পরতে হয় নারীদের।

নারী অধিকার বিভিন্ন বিষয়ে মন্ত্রী পরিষদের সাধারণ সচিবালয় কর্তৃক উত্থাপিত ওই প্রস্তাব অনুমোদনের পর সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ২২ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে উত্তীর্ণ করা সৌদি আরবের ২০৩০ সালের লক্ষ্যের মধ্যে একটি।

স্থানীয় ওকাজ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিউম্যান রাইটস কমিশনের সভাপতি বন্দর বিন মোহাম্মদ আল-আইবান এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, সাধারণ নাগরিকদের প্রতি বাদশাহ সালমানের ভালোবাসার নিদর্শন এটি। সৌদি আরবের জনসংখ্যার অর্ধেক নারীরা সমাজের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের অংশীদারিত্বের মূল্যায়ন অত্যন্ত ইতিবাচক।

আরব নিউজকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি আরও বলেন, নতুন এই আদেশে পুরুষতান্ত্রিক অভিভাবকত্ব প্রত্যাহার করা হয়েছে। একজন পুরুষের অভিভাবক দাবি করার আইন সংশোধন করা হলো। এতে করে আর শরীয়া আইন নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না; কারণ আমরা পুরোপুরি সক্ষম বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে ২০১১ সালে সৌদির প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহ দেশটির শূরা কাউন্সিলে সরকারি উপদেষ্টা হিসেবে নারীদের নিয়োগের অনুমতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই প্রবণতা শুরু হয়। সৌদি নারীরা এখন পৌরসভা নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন। এ ছাড়া ছোটখাটো কাজ, আতিথেয়তার কাজ করতে পারেন। ২০১২ সালে সৌদি নারীরা প্রথমবারের মতো অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
সে ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সৌদি আরব সরকার প্রথমবারের মতো মহিলাদের প্রার্থী ও ভোটার হওয়ার সুযোগ করে দেয়। ধাপে ধাপে ধর্মীয় আইন শিথিল করা হবে। এমন বার্তা আগেই দিয়েছিল সৌদি সরকার।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক- প্রথমবারের মতো কনসার্টে অংশ নিলেন সৌদি আরবের নারীরা। জাতীয় দিবসে রক্ষণশীলতার দেয়াল টপকে উপভোগ করলেন কনসার্ট, লোকনৃত্য ও আতশবাজির ঝলকানি। শনিবার সৌদি আরবের ৮৭তম প্রতিষ্ঠাবর্ষিকী উপলক্ষে কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে আয়োজিত এসব অনুষ্ঠান উপভোগ করেন তারা। রয়টার্স বলছে, খেলার মাঠে ঢোকা নারীদের মধ্যে দেখা গেছে বাঁধভাঙা উল্লাস, অনেকের হাতে.

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

সৌদিতে এবার স্কুল পড়ুয়া কিশোরীরাও পেলো ‘স্বাধীনতার স্বাদ’! বিপত্তির মুখেও অনড় যুবরাজ

আপডেট টাইম : ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সৌদি আরব। শুধু মধ্যপ্রাচ্যেরই নয়, পৃথিবীজুড়েই রক্ষণশীল দেশ হিসেবে পরিচিত ছিলো এতকাল । তবে ক্রমশ ভাংছে সেই ধারনা। প্রবল আলোচনা আর সমালোচনার মধ্য দিয়েই খুব দ্রুতই বদলে যাচ্ছে প্রেক্ষাপট। দেশটিতে নারীদের কাজ বা চলাফেরার ব্যাপারে খুব কড়াকড়ি ছিলো এতকাল। তবে সম্প্রতি নারীদের ক্ষেত্রে অনেক ‘সহনশীল’ মনোভাব পোষণ করতে দেখা গেছে দেশটির প্রশাসনের। সে লক্ষ্যে চলতি আরবি বছরে নারীদের ৮৭ হাজার ৫৭৫টি বিজনেস লাইসেন্স দিয়েছে সৌদির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

একইসাথে কিছুদিন আগেই সেখানে নারীদের জন্য গাড়ি চলানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি দেশটির একটি স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো মহিলাদের প্রবেশের অনুমতি দেবার পর এদফায় সর্বশেষ সৌদি আরবের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের মোবাইল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

নারী অধিকারের প্রশ্নে রক্ষণশীল সৌদি আরবের কিছু সিদ্ধান্ত আলোড়ন ফেলেছে আন্তর্জাতিক মহলে। ২০১৮ সালের জুনে এই আদেশ যদিও কার্যকর হবার কথা থাকলেও আগাম স্বাধীনতার স্বাদ নিতে শুরু করেছেন বেশিরভাগ সৌদি নারীরা ।

সবাইকে অবাক করে দিয়ে মাত্র কিছুদিন আগেই প্রথমবারের মতো একটি মিউজিক্যাল কনসার্টে স্টেডিয়াম জুড়ে বাঁধভাঙা উল্লাস করতে দেখা যায় সৌদি নারীদের । ইসলামে সর্বপ্রধান দেশ সৌদি আরবে ধর্মীয় নিয়ম ও রক্ষণশীল নীতি এভাবেই ক্রমশ বদলাচ্ছে দেশটিতে ।

আরব নিউজে প্রকাশিত সংবাদসুত্রে, সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন বিন আবদুল্লা আজিজ আল সৌদ দেশে ধর্মীয় আইন শিথিল করার চেষ্টা করছেন বলে জানানো হয়েছে।

চাকুরী ক্ষেত্রে সৌদি নারী

তবে আরব যুবরাজের এই বার্তায় শুরু হয়েছে আলোড়ন। বিশ্ব জুড়ে প্রশ্ন আরব কতটা এই প্রক্রিয়ায় সফল হবে। সাক্ষাৎকারে আরবের যুবরাজ বলেছেন, আমরা ধর্মীয় আইনের বেড়াজাল ছিন্ন করার সময় এসেছে। রক্ষণশীল এই চিন্তাধারা নিয়ে চলতে চাইনা আমরা।

প্রকাশিত সংবাদে সৌদি যুবরাজের উধৃতি দিয়ে বলা হয়, ” সৌদি আরব কড়া ইসলামি শাসনের দেশ। এখানে ধর্মীয় নিয়ম লঙ্ঘন করলেই কড়া শাস্তি পেতে হয়। এই আইনের বলেই সৌদি মহিলাদের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সম্প্রতি দেশের মহিলাদের জন্য আইন শিথিল করা হয়েছে।”

এতদিন কড়া ইসলামিক অনুশাসনে নারীদের আপাদমস্তক পর্দায় ঢেকে রাখার নিয়ম ভেঙ্গে নতুন এই আদেশকে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা ।

সৌদি আরবের নারীদের ভ্রমণ, পড়ালেখা অথবা বিয়ের জন্য পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হতো। বাবা, স্বামী অথবা ছেলে এই অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। সৌদি আরবের নারী অধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ ছিলো এটা নারীর অধিকার নিশ্চিতের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা। এই বাঁধা পেরুতে রক্ষনশীল সৌদি প্রশাসনের বিরুদ্ধে গোপনে ও প্রকাশ্যে অনেক আন্দোলন হয়েছে এতকাল।

বেশ কিছু ক্ষেত্রে নারীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। এখন থেকে সরকারি চাকরি, পড়ালেখা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে নারীদের পরিবারের পুরুষ অভিভাবকের অনুমতির প্রয়োজন হবে না।

দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের স্বাক্ষরিত নতুন ফরমানে বলা হয়েছে, পড়ালেখা, স্বাস্থ্যসেবা ও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে নারীদের আর পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হবে না।

বিশ্বের অন্যতম এই রক্ষণশীল দেশটিতে নারীদের জীবনযাপন করতে হয় পুরুষ অভিভাবকের অধীনে। সেখানে নারীরা গাড়ি চালানোর অনুমতি পায় না। এ ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় পা থেকে মাথা পর্যন্ত কালো কাপড় পরতে হয় নারীদের।

নারী অধিকার বিভিন্ন বিষয়ে মন্ত্রী পরিষদের সাধারণ সচিবালয় কর্তৃক উত্থাপিত ওই প্রস্তাব অনুমোদনের পর সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ২২ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে উত্তীর্ণ করা সৌদি আরবের ২০৩০ সালের লক্ষ্যের মধ্যে একটি।

স্থানীয় ওকাজ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিউম্যান রাইটস কমিশনের সভাপতি বন্দর বিন মোহাম্মদ আল-আইবান এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, সাধারণ নাগরিকদের প্রতি বাদশাহ সালমানের ভালোবাসার নিদর্শন এটি। সৌদি আরবের জনসংখ্যার অর্ধেক নারীরা সমাজের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের অংশীদারিত্বের মূল্যায়ন অত্যন্ত ইতিবাচক।

আরব নিউজকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি আরও বলেন, নতুন এই আদেশে পুরুষতান্ত্রিক অভিভাবকত্ব প্রত্যাহার করা হয়েছে। একজন পুরুষের অভিভাবক দাবি করার আইন সংশোধন করা হলো। এতে করে আর শরীয়া আইন নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না; কারণ আমরা পুরোপুরি সক্ষম বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে ২০১১ সালে সৌদির প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহ দেশটির শূরা কাউন্সিলে সরকারি উপদেষ্টা হিসেবে নারীদের নিয়োগের অনুমতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই প্রবণতা শুরু হয়। সৌদি নারীরা এখন পৌরসভা নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন। এ ছাড়া ছোটখাটো কাজ, আতিথেয়তার কাজ করতে পারেন। ২০১২ সালে সৌদি নারীরা প্রথমবারের মতো অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
সে ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সৌদি আরব সরকার প্রথমবারের মতো মহিলাদের প্রার্থী ও ভোটার হওয়ার সুযোগ করে দেয়। ধাপে ধাপে ধর্মীয় আইন শিথিল করা হবে। এমন বার্তা আগেই দিয়েছিল সৌদি সরকার।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক- প্রথমবারের মতো কনসার্টে অংশ নিলেন সৌদি আরবের নারীরা। জাতীয় দিবসে রক্ষণশীলতার দেয়াল টপকে উপভোগ করলেন কনসার্ট, লোকনৃত্য ও আতশবাজির ঝলকানি। শনিবার সৌদি আরবের ৮৭তম প্রতিষ্ঠাবর্ষিকী উপলক্ষে কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে আয়োজিত এসব অনুষ্ঠান উপভোগ করেন তারা। রয়টার্স বলছে, খেলার মাঠে ঢোকা নারীদের মধ্যে দেখা গেছে বাঁধভাঙা উল্লাস, অনেকের হাতে.