বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ উপমহাদেশের বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক সমরেশ মজুমদার তার একটি উক্তিতে বলেছিলেন “চাকুরী তো সবাই করে কেউ কেউ স্বপ্নটাকে আকঁড়ে ধরে রাখে”। পৃথিবীতে হাজারো সফল মানুষ আছেন যারা নিজেদের স্বপ্ন পূরণের জন্য দুঃখ, কষ্ট,যন্ত্রনা, আলোচনা-সমালোচনা, অপমান সব কিছু নিরবে সহ্য করেছেন। জীবনের তাগিতে হয়তো বিভিন্ন চাকুরী ও পেশার সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন। পরিবারের চাপে ও সামাজিক স্টেটাস রক্ষার্থে হয়তো বা চাকুরীর সাথে আলিঙ্গন করেছেন। কিন্তুু ছোট বেলা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই স্বপ্ন থেকে কখনো সরে দাঁড়ান নি।
শত শত বাধা- বিপত্তি পেরিয়ে এগিয়ে গেছেন নিজের লক্ষ্য পূরণে। নিজের ভেতরের স্বপ্নটাকে আঁকড়ে ধরেছেন শক্তভাবে। তারা জানতো মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় হয়। স্বপ্নই তাদেরকে সাফল্যের পথে নিয়ে যায়। আঁকড়ে ধরা স্বপ্নটাই তাদেরকে পৃথিবীতে স্মরণীয় করে রাখবে।
ঠিক এমনই একজন স্বপ্ন আঁকড়ে ধরা মানুষের কথা বলবো। যিনি ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন বড় হয়ে তিনি মানুষের কল্যাণে,মানবতার কল্যাণে, সাধারন ও খেটে-খাওয়া পরিশ্রমী মানুষের জন্য কাজ করবেন। তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবেন ও দু:খ, কষ্টগুলো ভাগাভাগি করে নিবেন। তিনি হতে চেয়েছিলেন একজন সৎ ও স্বচ্ছ জনপ্রতিনিধি। তাই তো তিনি জীবনের প্রয়োজনে শিক্ষকতার মত মহান পেশার সাথে সম্পৃক্ত হলেও তিনি অন্তরে জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্নটাকে লালন করছেন। শুধু তাই নয় মানুষের সাথে অান্তরিকতার সম্পর্ক গড়ে তোলাই তার নিরন্তর প্রচেষ্টা। তার চিন্তা -চেতনা,ধ্যান-ধারনা মানুষকে ঘিরে। তিনি ছিলেন রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ছাএ। তাই রাষ্ট্র ও জনগন নিয়ে তার কৌতুহল একটু বেশি। দেশ ও মানুষের প্রতি তার প্রচন্ড রকম ভালবাসা কাজ করে। রাষ্ট্র বিজ্ঞান পড়তে গিয়েই মূলত তার জনগনের কাছাকাছি যাওয়ার স্বপ্নটা ঘনীভূত হয়।
ছোট বেলার স্বপ্নটাকে পূরণ করার জন্য এলাকাবাসীর সহযোগীতায় সিন্ধান্ত নেন জনপ্রতিনিধি হওয়ার। তিনি ২০১১ সালের সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার চরগিরিশ ইউপি চেয়ারম্যান পদপার্থী হিসেবে অংশ গ্রহন করে বিপুল ভোটে জয়ী হন। তার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে চরগিরিশ ইউনিয়ন কে তিনি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। সাদামাটা ও হাস্যোজ্জল মাটির মানুষ হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার যমুনা পূর্ব চরাঞ্চলের ৮নং চরগিরিশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম জিয়াউল হক মাষ্টারের কাজকর্মে মুগ্ধ চরগিরিশ ইউনিয়নের বাসিন্দারা। বিগত সময় থেকে চলতি সময় পর্যন্ত তার শাসন আমলে চরগিরিশ ইউনিয়নের হামলা মামলা ও হাঙ্গামার কোন স্থান ছিল না চেয়ারম্যানের সঠিক তদারকিতে।
২০১১ সালে এস এম জিয়াউল হক( মাষ্টার) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দিয়ে প্রমান করেছেন ইচ্ছে থাকলে ভাল কাজ করা সম্ভব। তিনি পরিচ্ছন্ন জীবন যাপনের মধ্যে নিজেকে মানব সেবায় বিলিয়ে দিয়ে একজন সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে প্রতিবাদী মানুষ হওয়ার বাসনা নিয়ে এগিয়ে চলছে নিজ এলাকায়। তিনি প্রমাণ করেছেন,”মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য”