ঢাকা , শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
টাকার পাহাড় গড়েছেন তারা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা: সেলিমা রহমান ভারতে থাকার বৈধ মেয়াদ শেষ, কী ঘটবে শেখ হাসিনার ভাগ্যে ভারতে ‘এক দেশ এক ভোট’ কি সত্যিই হবে পুলিশের কাজ পুলিশকে দিয়েই করাতে হবে, আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না জাতিসংঘ অধিবেশন নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে ড. ইউনূসের বৈশ্বিক-আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জরুরি: বাইডেন ইলিশের দাম কমছে না কেন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন

শ্রমিক নেওয়া বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি মালয়েশিয়া

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি মালয়েশিয়া সরকার। এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশকেও জানানো হয়নি কোনো তথ্য।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) তার কার্যালয়ে এক প্রেস বিফ্রিং-এ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে মালয়েশিয়ার শ্রমিক রপ্তানি বন্ধের খবর প্রচার হবার পর আমি একটি নোট ভারবাল পাঠিয়েছি। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে এ সম্পর্কে জানতে চাইবে। মন্ত্রী জানান, আমরা জনশক্তি পাঠাতে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। তবে মালয়েশিয়া ১০টি জনশক্তি এজেন্সিকে তাদের দেশে অনুমতি দিয়েছে।

এদিকে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে মালয়েশিয়া প্রচলিত নিয়মে বাংলাদেশ থেকে আর জনশক্তি নেবে না বলে সংবাদ প্রকাশ হয়। কিন্তু নতুন পদ্ধতি কী হবে তাও স্পষ্ট নয়৷ আর যারা এরইমধ্যে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক হিসেবে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছে তাদেরই বা কি হবে?

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটা বুঝতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে৷ কারণ এনিয়ে ২১ আগস্ট বাংলাদেশকে চিঠি দেয়া হলেও ঈদের ছুটি ও বন্ধের কারণে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পরবর্তী অবস্থা জানতে যোগাযোগ এখনো করা হয়নি৷ তবে সেপ্টেম্বরে এনিয়ে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বেঠক আছে বলে জানা গেছে৷

মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে এসপিপিএ (অনলাইন সিস্টেম) পদ্ধতিতে জনশক্তি নেয়৷ তারা তাদের চিঠিতে বলেছে ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই পদ্ধতিতে দেশটি বাংলাদেশ থেকে আর জনশক্তি নেবেনা৷ কিন্তু তারা কোথাও বলেনি যে তারা ভিসা দেয়া বন্ধ করে দেবে৷ তারা এখনকার পদ্ধতির পরিবর্তে একটি ইউনিফর্ম সিস্টেম ডেভেলেপ করবে৷

এরইমধ্যে একটি বড় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে৷ কারণ প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিকের ভিসা হয়েছে৷ আরো ৪০ হাজারের মত শ্রমিকের মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে৷ তাদের কী হবে? তারা কি যেতে পারবেন, না তাদের পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়৷

২০১৬ সালে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর জন্য ১০টি রিক্রুটিং এজেন্টকে এককভাবে ক্ষমতা দেয়া হয়৷ তারা অনলাইন ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে (এসপিপিএ) লোক পাঠায়৷ এই সিস্টেমের নাম দেয়া হয় জি টু জি প্লাস৷ ১০টি বাদে অন্যকোনো রিক্রুটিং প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়৷ এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ থেকে প্রায় দুই লাখ শ্রমিক গেছে মালয়েশিয়ায়৷ আরো পাইপ লাইনে আছে এক লাখের মত৷

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

টাকার পাহাড় গড়েছেন তারা

শ্রমিক নেওয়া বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি মালয়েশিয়া

আপডেট টাইম : ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি মালয়েশিয়া সরকার। এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশকেও জানানো হয়নি কোনো তথ্য।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) তার কার্যালয়ে এক প্রেস বিফ্রিং-এ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে মালয়েশিয়ার শ্রমিক রপ্তানি বন্ধের খবর প্রচার হবার পর আমি একটি নোট ভারবাল পাঠিয়েছি। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে এ সম্পর্কে জানতে চাইবে। মন্ত্রী জানান, আমরা জনশক্তি পাঠাতে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। তবে মালয়েশিয়া ১০টি জনশক্তি এজেন্সিকে তাদের দেশে অনুমতি দিয়েছে।

এদিকে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে মালয়েশিয়া প্রচলিত নিয়মে বাংলাদেশ থেকে আর জনশক্তি নেবে না বলে সংবাদ প্রকাশ হয়। কিন্তু নতুন পদ্ধতি কী হবে তাও স্পষ্ট নয়৷ আর যারা এরইমধ্যে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক হিসেবে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছে তাদেরই বা কি হবে?

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটা বুঝতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে৷ কারণ এনিয়ে ২১ আগস্ট বাংলাদেশকে চিঠি দেয়া হলেও ঈদের ছুটি ও বন্ধের কারণে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পরবর্তী অবস্থা জানতে যোগাযোগ এখনো করা হয়নি৷ তবে সেপ্টেম্বরে এনিয়ে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বেঠক আছে বলে জানা গেছে৷

মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে এসপিপিএ (অনলাইন সিস্টেম) পদ্ধতিতে জনশক্তি নেয়৷ তারা তাদের চিঠিতে বলেছে ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই পদ্ধতিতে দেশটি বাংলাদেশ থেকে আর জনশক্তি নেবেনা৷ কিন্তু তারা কোথাও বলেনি যে তারা ভিসা দেয়া বন্ধ করে দেবে৷ তারা এখনকার পদ্ধতির পরিবর্তে একটি ইউনিফর্ম সিস্টেম ডেভেলেপ করবে৷

এরইমধ্যে একটি বড় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে৷ কারণ প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিকের ভিসা হয়েছে৷ আরো ৪০ হাজারের মত শ্রমিকের মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে৷ তাদের কী হবে? তারা কি যেতে পারবেন, না তাদের পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়৷

২০১৬ সালে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর জন্য ১০টি রিক্রুটিং এজেন্টকে এককভাবে ক্ষমতা দেয়া হয়৷ তারা অনলাইন ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে (এসপিপিএ) লোক পাঠায়৷ এই সিস্টেমের নাম দেয়া হয় জি টু জি প্লাস৷ ১০টি বাদে অন্যকোনো রিক্রুটিং প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়৷ এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ থেকে প্রায় দুই লাখ শ্রমিক গেছে মালয়েশিয়ায়৷ আরো পাইপ লাইনে আছে এক লাখের মত৷