ঢাকা , বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টরন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের প্রশংসায় ডাগ ফোর্ড

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ কানাডার অন্টারিও প্রদেশের প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড টরন্টোতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের বিগত এক বছরের অসামান্য সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার টরন্টোর কুইন্স পার্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। উল্লেখ্য, কানাডার অন্যতম প্রভাবশালী এই প্রিমিয়ারের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাওয়াটরন্টোর মুষ্টিমেয় কনসাল জেনারেলদের একজন বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল।

কনসাল জেনারেল উল্লেখ করেন, টরন্টোয় বাংলাদেশের নতুন কনস্যুলেট জেনারেল খোলার বিষয়টি অন্টারিও, সাসকাচুয়ান, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, ম্যানিটোবা এবং আলবার্টায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন।

কানাডার সঙ্গে পরীক্ষিত ও গভীর সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে কনসাল জেনারেল মুক্তিযুদ্ধের সময় কানাডার সমর্থনকে স্মরণ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার কানাডার সঙ্গে সম্পর্ককে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। তিনি আরও জানান, জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে সামিল হবার লক্ষ্য স্থির করেছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তুরীন বাজার ও দক্ষিণ এশিয়ার ক্রমবর্ধমান বাজার সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে অন্টারিও তথাকানাডা বাংলাদেশে বিপুল বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে।

অন্টারিও প্রিমিয়ার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং কনসাল জেনারেলকে তার সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বিশেষত পরিবেশ বান্ধব পারমাণবিক শক্তি চুল্লি, অর্থনৈতিক অভিবাসন, শিক্ষা এবং হাই-টেক আইটি ভিত্তিক সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন।

প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড জানান, আগামী দিনে অন্টারিওতে আরও ২৫০,০০০ দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন হবে, বাংলাদেশ যার অন্যতম উৎস হতে পারে এবং এই লক্ষ্যে তিনি প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

কনসাল জেনারেল নাঈম আহমেদ যোগ করেন, কনস্যুলেট জেনারেল গত সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশ-কানাডা বিজনেস ফোরাম -২০১৯’ সফলভাবে আয়োজন করেছে এবং এই বিজনেস ফোরামের মাধ্যমে যে গতির সঞ্চার হয়েছে, তা সুসংহত করার জন্য আগামী দিনেও কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।

বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বিশেষত আইসিটি, জাহাজনির্মান, ফার্মাসিউটিক্যালস, বর্জ্য ও পানি ব্যবস্থাপনা, নবায়নযোগ্যশক্তি, ভেটেরিনারি মেডিসিন, মেডিকেল সরঞ্জাম, কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতকে অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র হিসাবে চিহ্নিত করে সহযোগিতা সম্প্রসারনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন। তিনি বর্তমান সরকারের অধীনে যে অসামান্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা প্রত্যক্ষ করতে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলি সুনির্দিষ্ট করার জন্য প্রিমিয়ারকে একটি বাণিজ্য মিশন প্রেরণের জন্য অনুরোধ করেছেন, যার সঙ্গে অন্টারিও প্রিমিয়ার অত্যন্ত সতঃস্ফুর্তভাবে সম্মত হয়েছেন।পড়ুন সভা শেষে কনসাল জেনারেল বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’র ইংরেজি অনুবাদ এবং ঐতিহ্যবাহী ‘নকশী কাথা’ অন্টারিও প্রিমিয়ারকে স্মারক উপহার হিসাবে হস্তান্তর করেন। এ বৈঠকে কনসাল জেনারেলের সঙ্গে কনসাল মানসুরিন চৌধুরী ও কনসাল মনোয়ার মোকাররম উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

টরন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের প্রশংসায় ডাগ ফোর্ড

আপডেট টাইম : ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ কানাডার অন্টারিও প্রদেশের প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড টরন্টোতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের বিগত এক বছরের অসামান্য সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার টরন্টোর কুইন্স পার্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। উল্লেখ্য, কানাডার অন্যতম প্রভাবশালী এই প্রিমিয়ারের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাওয়াটরন্টোর মুষ্টিমেয় কনসাল জেনারেলদের একজন বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল।

কনসাল জেনারেল উল্লেখ করেন, টরন্টোয় বাংলাদেশের নতুন কনস্যুলেট জেনারেল খোলার বিষয়টি অন্টারিও, সাসকাচুয়ান, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, ম্যানিটোবা এবং আলবার্টায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন।

কানাডার সঙ্গে পরীক্ষিত ও গভীর সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে কনসাল জেনারেল মুক্তিযুদ্ধের সময় কানাডার সমর্থনকে স্মরণ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার কানাডার সঙ্গে সম্পর্ককে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। তিনি আরও জানান, জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে সামিল হবার লক্ষ্য স্থির করেছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তুরীন বাজার ও দক্ষিণ এশিয়ার ক্রমবর্ধমান বাজার সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে অন্টারিও তথাকানাডা বাংলাদেশে বিপুল বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে।

অন্টারিও প্রিমিয়ার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং কনসাল জেনারেলকে তার সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বিশেষত পরিবেশ বান্ধব পারমাণবিক শক্তি চুল্লি, অর্থনৈতিক অভিবাসন, শিক্ষা এবং হাই-টেক আইটি ভিত্তিক সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন।

প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড জানান, আগামী দিনে অন্টারিওতে আরও ২৫০,০০০ দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন হবে, বাংলাদেশ যার অন্যতম উৎস হতে পারে এবং এই লক্ষ্যে তিনি প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

কনসাল জেনারেল নাঈম আহমেদ যোগ করেন, কনস্যুলেট জেনারেল গত সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশ-কানাডা বিজনেস ফোরাম -২০১৯’ সফলভাবে আয়োজন করেছে এবং এই বিজনেস ফোরামের মাধ্যমে যে গতির সঞ্চার হয়েছে, তা সুসংহত করার জন্য আগামী দিনেও কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।

বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বিশেষত আইসিটি, জাহাজনির্মান, ফার্মাসিউটিক্যালস, বর্জ্য ও পানি ব্যবস্থাপনা, নবায়নযোগ্যশক্তি, ভেটেরিনারি মেডিসিন, মেডিকেল সরঞ্জাম, কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতকে অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র হিসাবে চিহ্নিত করে সহযোগিতা সম্প্রসারনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন। তিনি বর্তমান সরকারের অধীনে যে অসামান্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা প্রত্যক্ষ করতে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলি সুনির্দিষ্ট করার জন্য প্রিমিয়ারকে একটি বাণিজ্য মিশন প্রেরণের জন্য অনুরোধ করেছেন, যার সঙ্গে অন্টারিও প্রিমিয়ার অত্যন্ত সতঃস্ফুর্তভাবে সম্মত হয়েছেন।পড়ুন সভা শেষে কনসাল জেনারেল বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’র ইংরেজি অনুবাদ এবং ঐতিহ্যবাহী ‘নকশী কাথা’ অন্টারিও প্রিমিয়ারকে স্মারক উপহার হিসাবে হস্তান্তর করেন। এ বৈঠকে কনসাল জেনারেলের সঙ্গে কনসাল মানসুরিন চৌধুরী ও কনসাল মনোয়ার মোকাররম উপস্থিত ছিলেন।