ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশিদের ই-ভিসা দেবে থাইল্যান্ড

থাইল্যান্ড ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশিদের ই-ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে থাই সরকার। আগামী বছরের প্রথমদিকে এ সুবিধা পেতে পারেন বাংলাদেশি ভ্রমণকারীরা।

থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার শাখার মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত হরায়ুত পংপ্রাপান্ত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ব্যাংককে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফাইয়াজ মুরশিদ কাজীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠককালে এ কথা জানান।

ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ই-ভিসা চালু হলে বাংলাদেশি সাধারণ পাসপোর্টধারীরা অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে থাইল্যান্ডের ভিসা নিতে পারবেন। থাইল্যান্ড ইতোমধ্যে তাদের ৬৯টি দূতাবাসের মাধ্যমে এ সুবিধা দেওয়া শুরু করেছে।

থাইল্যান্ডের কনস্যুলার শাখার মহাপরিচালক হরায়ুত পংপ্রাপান্ত বলেছেন, আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে দুই দেশের সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সুবিধা চালু করা হবে। গত এপ্রিলে ব্যাংককে স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চুক্তি আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি গত ২০১৮ সাল থেকে কার্যকর রয়েছে।

কনস্যুলার শাখার মহাপরিচালক থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আগ্রহী বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ঢাকা থেকে ভিসা নেওয়ার সময় ডেসটিনেশন থাইল্যান্ড ভিসা (ডিটিভি) নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পরিচর্যাকারীর ভিসাসহ এ ভিসা পাঁচ বছর মেয়াদী এবং প্রতি ভ্রমণ ছয় মাস মেয়াদী। এক্ষেত্রে থাই ইমিগ্রেশন কর্তৃক বাংলাদেশ দূতাবাস ব্যাংককের সুপারিশপত্র প্রয়োজন হবে না বলে মহাপরিচালক উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রদূত হরায়ুত পংপ্রাপান্ত উল্লেখ করেন, ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আবেদনকারীদের মধ্যে নকল বা মিথ্যা ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। এক্ষেত্রে তিনি আবেদনকারীদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন। যদি তারা কোনো এজেন্টের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করেন, সেক্ষেত্রে এজেন্ট সঠিক ডকুমেন্ট জমা দিচ্ছে কি না, সেদিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ করেন।

তিনি বলেন যে, এ ধরনের প্রবণতা বজায় থাকলে থাই কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের কালো তালিকাভুক্ত করতে বাধ্য হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বাংলাদেশিদের ই-ভিসা দেবে থাইল্যান্ড

আপডেট টাইম : ০৪:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

থাইল্যান্ড ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশিদের ই-ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে থাই সরকার। আগামী বছরের প্রথমদিকে এ সুবিধা পেতে পারেন বাংলাদেশি ভ্রমণকারীরা।

থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার শাখার মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত হরায়ুত পংপ্রাপান্ত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ব্যাংককে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফাইয়াজ মুরশিদ কাজীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠককালে এ কথা জানান।

ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ই-ভিসা চালু হলে বাংলাদেশি সাধারণ পাসপোর্টধারীরা অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে থাইল্যান্ডের ভিসা নিতে পারবেন। থাইল্যান্ড ইতোমধ্যে তাদের ৬৯টি দূতাবাসের মাধ্যমে এ সুবিধা দেওয়া শুরু করেছে।

থাইল্যান্ডের কনস্যুলার শাখার মহাপরিচালক হরায়ুত পংপ্রাপান্ত বলেছেন, আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে দুই দেশের সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সুবিধা চালু করা হবে। গত এপ্রিলে ব্যাংককে স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চুক্তি আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি গত ২০১৮ সাল থেকে কার্যকর রয়েছে।

কনস্যুলার শাখার মহাপরিচালক থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আগ্রহী বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ঢাকা থেকে ভিসা নেওয়ার সময় ডেসটিনেশন থাইল্যান্ড ভিসা (ডিটিভি) নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পরিচর্যাকারীর ভিসাসহ এ ভিসা পাঁচ বছর মেয়াদী এবং প্রতি ভ্রমণ ছয় মাস মেয়াদী। এক্ষেত্রে থাই ইমিগ্রেশন কর্তৃক বাংলাদেশ দূতাবাস ব্যাংককের সুপারিশপত্র প্রয়োজন হবে না বলে মহাপরিচালক উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রদূত হরায়ুত পংপ্রাপান্ত উল্লেখ করেন, ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আবেদনকারীদের মধ্যে নকল বা মিথ্যা ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। এক্ষেত্রে তিনি আবেদনকারীদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন। যদি তারা কোনো এজেন্টের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করেন, সেক্ষেত্রে এজেন্ট সঠিক ডকুমেন্ট জমা দিচ্ছে কি না, সেদিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ করেন।

তিনি বলেন যে, এ ধরনের প্রবণতা বজায় থাকলে থাই কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের কালো তালিকাভুক্ত করতে বাধ্য হবে।