বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ নিউইয়র্কের খ্যাতিমান চিকিৎসক ও সমাজ উন্নয়নকর্মী ডা. ফেরদৌস খন্দকারের লেখা ‘ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ আপনারই হাতে’ বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠান হয়ে গেল।
রোববার জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন কমিউনিটির সর্বস্তরের বিশিষ্টজন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন লেখক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্টসহ অনেকে।
বিকালে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি শুরু হয় ডায়াবেটিসের উপর একটি সেমিনার দিয়ে।
ডা. ফেরদৌস খন্দকারের সঞ্চালনায় এই সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা. সাবরিনা হক এবং পুষ্টিবিদ সৈয়দা নিলুফার নাহিদ। এরপর উপস্থিত সুধীজনদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়।
সেমিনার শেষে বইটির মোড়ক খোলা হয়। এ সময় লেখক ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী শহিদ হাসান, বিশিষ্ট চিকিৎসক ফজলুল ইউসুফ, মুক্তিযোদ্ধা ও ফার্মাসিস্ট খোরশেদ আনোয়ার, মুক্তিযোদ্ধা ও শিল্পী তাজুল ইমাম, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ভিসা ও পাসপোর্ট উইংয়ের প্রধান মো. শামীম হোসেন, ডা. আতাউল ওসমানি, অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী এবং ডা. আব্দুল বাতেন।
শামীম আল আমিনের সঞ্চালনায় এ সময় কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা নিজেদের মতামত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
ডা. ফেরদৌস খন্দকার বলেন, ডায়াবেটিস একটি জীবনব্যাপী রোগ। কারো যদি ডায়াবেটিস হয়, তাহলে গোটা জীবনই রোগটিকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হয়। এজন্যে অনেক ক্ষেত্রেই বদলে ফেলতে হয় পুরো জীবন ব্যবস্থাকেই। ডায়াবেটিস মোকাবেলায় তাই জীবনব্যাপী সমাধানের দরকার হয়।
গত এক দশকে ডায়াবেটিস রোগটি অনেকটা মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে। এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, ডায়াবেটিস নেই এমন পরিবার পাওয়াই কঠিন। আর পর্যাপ্ত শিক্ষা ও সচেতনতাই পারে রোগটি প্রতিরোধ করতে। তবে কারো যদি ডায়াবেটিস হয়েই যায়, তাহলে শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনযাপন করতে হবে।
তিনি জানান সেই লক্ষ্য নিয়েই বইটি লেখা হয়েছে। শিল্পী তাজুল ইমাম বইটির প্রচ্ছদ করেছেন। চাররঙা এই বইটি মুদ্রিত হয়েছে চীন থেকে। ডাক্তারবাড়ী ডট কম থেকে প্রকাশিত এটি লেখকের দ্বিতীয় বই।
কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা এ সময় বলেন, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যে লেখা বইটি সবারই কাজে দেবে। সাধারণ মানুষের জন্যে সহজ ভাষায় বইটি লেখার জন্যে ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে ধন্যবাদ জানান তারা।
এ সময় ডা. ফেরদৌস খন্দকারের দুই ছেলে আকিব খন্দকার ও নকিব খন্দকার বাবাকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানের পরের পর্বে নতুন ধারার একটি টেলিভিশনের লোগো উন্মোচন করা হয়। ডা. ফেরদৌস খন্দকারের উদ্যোগে ডাক্তারবাড়ী থেকে ডি টিভি নামে টেলিভিশনটি শিগগিরি আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক শামীম আল আমিন টেলিভিশনটির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন।
অনুষ্ঠানে শামীম আল আমিন জানান, এটি হবে জীবনধারা সম্পর্কিত টিভি। যা কেবল মানুষের সাফল্যের গল্প বলবে। ইতিবাচক, মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগায়, আনন্দ দেয় এমন বিষয়গুলো নিয়ে দর্শকদের সামনে আসব আমরা। লাইফস্টাইল বিষয়ক টিভিটি সবার ভালো লাগবে বলেই আমার বিশ্বাস।
জুনের মাঝামাঝি টেলিভিশনটি আত্মপ্রকাশ করবে। যার শ্লোগান রাখা হয়েছে, ‘আলোয় ভরা প্রাণ’।