ভুটানের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে জয়ী হয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) শীর্ষ নেতা শেরিং তোবগে। এর মাধ্যমে দেশটিতে শেষ হলো ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের (মমেক) সাবেক ছাত্র লোটে শেরিংয়ের শাসনকাল
২০১৮ সালে মে মাসে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ড্রুক নিয়ামরুপ থগপার (ডিএনটি) এই নেতা। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তিনি।
ভুটানের নির্বাচনে দুই পর্যায়ে ভোট হয়। প্রথম পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুটি দল দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ নেয়। গত ২৯ নভেম্বর প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ নেয় পাঁচটি রাজনৈতিক দল। এই ভোটে বাদ পড়ে যায় লোটে শেরিংয়ের দল ডিএনটি। প্রথম দফার নির্বাচনে মাত্র ১৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে দলটি।
পরে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফা অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পার্লামেন্টের ৪৭ আসনের মধ্যে পিডিপি ৩০টি আসনে জয় পায়। অবশিষ্ট ১৭টি আসনে জয় পেয়েছে ভুটান টেন্ড্রেল পার্টি (বিটিপি)।
ভুটানের সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ১৯৯১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত টানা ১২ বছর বাংলাদেশে কাটিয়েছেন। ১৯৯১ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ২৮ তম ব্যাচে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালে এমবিবিএস পাস করার পর বাংলাদেশেই জেনারেল সার্জারি বিষয়ে এফসিপিএস করেন লোটে শেরিং।
এরপর নিজ দেশে ফিরে যোগ দেন সিভিল সার্জন হিসেবে। দীর্ঘদিন চাকরি করার পর ২০১৩ সালের দিকে ডিএনটিতে নাম লেখান তিনি। তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খবরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাড়া পড়ে গিয়েছিল।