ঢাকা , বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্প-পুতিনের ফোনালাপ, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যা আলোচনা হলো

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এ সময় ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ আর না বাড়াতে পুতিনকে পরামর্শ দিয়েছেন বলে তাদের কথোপকথনের বিষয়ে অবগত একটি সূত্র রোববার রয়টার্সকে জানিয়েছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোর ভেতরেই ট্রাম্প ও পুতিন কথা বলেছেন। এর আগে গত বুধবার ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেন।

নির্বাচনের আগে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের সামরিক ও আর্থিক সহায়তার ব্যাপ্তি নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছিলেন। তার দাবি, দায়িত্ব পেলে ২৪ ঘণ্টায় তিনি যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারবেন। তবে তার পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ট্রাম্প ও পুতিনের কথোপকথন সম্পর্কে তারা আগে থেকে অবগত ছিল না। ফলে তাদের দিক থেকে কোনও সমর্থন বা বিরোধিতা প্রকাশ করা হয়নি।

ট্রাম্পের কমিউনিকেশনস ডাইরেক্টর স্টিভেন চিয়াং বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও অন্যান্য বিশ্বনেতাদের মধ্যে ব্যক্তিগত কথোপকথন সম্পর্কে আমরা কোনো মন্তব্য করি না।’

পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপের বিষয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে প্রথম সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যমটির রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডায় নিজের বাসভবন থেকেই পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করেন ট্রাম্প। সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, তাদের কথোপকথনের মূল বিষয় ছিল ইউক্রেন যুদ্ধ।

ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য এবং সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য ট্রাম্প আরও আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে দ্রুত এই সংকট সমাধানে আগ্রহী ট্রাম্প, নির্বাচনের আগেই তা জানা গিয়েছিল। অনেকেই মনে করছেন, জো বাইডেন প্রশাসনের মতো ট্রাম্প কোটি কোটি ডলার দিয়ে ইউক্রেনকে যুদ্ধে সহায়তা করবেন না। বরং তিনি যুদ্ধ থামাতে বেশি আগ্রহী।

তিনি ক্ষমতায় আসার পর গত আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধ বন্ধ হতে পারে বলেও অনেকে আশা প্রকাশ করছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, দ্রুত যুদ্ধ নিরসনের যেকোনো চুক্তির কেন্দ্রে থাকবে রাশিয়া ইতোমধ্যে ইউক্রেনের যেটুকু ভূখণ্ড দখল করেছে, তার দাবি ছেড়ে দেওয়া।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ট্রাম্প-পুতিনের ফোনালাপ, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যা আলোচনা হলো

আপডেট টাইম : ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এ সময় ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ আর না বাড়াতে পুতিনকে পরামর্শ দিয়েছেন বলে তাদের কথোপকথনের বিষয়ে অবগত একটি সূত্র রোববার রয়টার্সকে জানিয়েছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোর ভেতরেই ট্রাম্প ও পুতিন কথা বলেছেন। এর আগে গত বুধবার ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেন।

নির্বাচনের আগে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের সামরিক ও আর্থিক সহায়তার ব্যাপ্তি নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছিলেন। তার দাবি, দায়িত্ব পেলে ২৪ ঘণ্টায় তিনি যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারবেন। তবে তার পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ট্রাম্প ও পুতিনের কথোপকথন সম্পর্কে তারা আগে থেকে অবগত ছিল না। ফলে তাদের দিক থেকে কোনও সমর্থন বা বিরোধিতা প্রকাশ করা হয়নি।

ট্রাম্পের কমিউনিকেশনস ডাইরেক্টর স্টিভেন চিয়াং বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও অন্যান্য বিশ্বনেতাদের মধ্যে ব্যক্তিগত কথোপকথন সম্পর্কে আমরা কোনো মন্তব্য করি না।’

পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপের বিষয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে প্রথম সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যমটির রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডায় নিজের বাসভবন থেকেই পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করেন ট্রাম্প। সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, তাদের কথোপকথনের মূল বিষয় ছিল ইউক্রেন যুদ্ধ।

ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য এবং সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য ট্রাম্প আরও আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে দ্রুত এই সংকট সমাধানে আগ্রহী ট্রাম্প, নির্বাচনের আগেই তা জানা গিয়েছিল। অনেকেই মনে করছেন, জো বাইডেন প্রশাসনের মতো ট্রাম্প কোটি কোটি ডলার দিয়ে ইউক্রেনকে যুদ্ধে সহায়তা করবেন না। বরং তিনি যুদ্ধ থামাতে বেশি আগ্রহী।

তিনি ক্ষমতায় আসার পর গত আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধ বন্ধ হতে পারে বলেও অনেকে আশা প্রকাশ করছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, দ্রুত যুদ্ধ নিরসনের যেকোনো চুক্তির কেন্দ্রে থাকবে রাশিয়া ইতোমধ্যে ইউক্রেনের যেটুকু ভূখণ্ড দখল করেছে, তার দাবি ছেড়ে দেওয়া।