ঢাকা , বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের মামলা

ইসরাইলের সামরিক বাহিনীকে সহায়তা দেওয়া কমাতে আর তা না হলে অভিযুক্ত ইউনিটগুলোর সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পাঁচজন ফিলিস্তিনি। সেই সঙ্গে গাজা উপক্যতায় চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও করেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এই মামলাটি করা হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদসংস্থাআলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী পাঁচ ফিলিস্তিনি এই মামলাটি করেন। যুক্তরাষ্ট্রের গত শতকের ৯০-এর দশকের ‘লেহি আইনের’ আওতায় মামলাটি করা হয়েছে। মামলায় বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতনের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে ওই পাঁচ ফিলিস্তিনি বলেছেন, ‘লেহি আইন পররাষ্ট্র দপ্তর চাইলে প্রয়োগ করতে পারত। কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে নজিরবিহীনভাবে ইসরাইলের (মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন) যেভাবে বেড়েছে, তা ভয়ংকর।’

এদিকে একজন বাদী গাজায় বসবাস করছেন। তিনি বর্তমানে শিক্ষকতা করছেন। তার ছদ্মনাম আমাল গাজা। ওই নারী এক বিবৃতিতে জানান, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি এখন পর্যন্ত সাতবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরাইলি হামলায় ইতোমধ্যে তার পরিবারের ২০ সদস্য নিহত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমার দুঃখ-কষ্ট ও আমার পরিবারের অকল্পনীয় ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে, যদি যুক্তরাষ্ট্র চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ইসরাইলের ইউনিটগুলোর কাছে সামরিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে।’তবে এ মামলা প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা আলজাজিরার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আলজাজিরার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারা বিচারাধীন মামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করে না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের মামলা

আপডেট টাইম : ২ ঘন্টা আগে

ইসরাইলের সামরিক বাহিনীকে সহায়তা দেওয়া কমাতে আর তা না হলে অভিযুক্ত ইউনিটগুলোর সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পাঁচজন ফিলিস্তিনি। সেই সঙ্গে গাজা উপক্যতায় চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও করেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এই মামলাটি করা হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদসংস্থাআলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী পাঁচ ফিলিস্তিনি এই মামলাটি করেন। যুক্তরাষ্ট্রের গত শতকের ৯০-এর দশকের ‘লেহি আইনের’ আওতায় মামলাটি করা হয়েছে। মামলায় বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতনের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে ওই পাঁচ ফিলিস্তিনি বলেছেন, ‘লেহি আইন পররাষ্ট্র দপ্তর চাইলে প্রয়োগ করতে পারত। কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে নজিরবিহীনভাবে ইসরাইলের (মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন) যেভাবে বেড়েছে, তা ভয়ংকর।’

এদিকে একজন বাদী গাজায় বসবাস করছেন। তিনি বর্তমানে শিক্ষকতা করছেন। তার ছদ্মনাম আমাল গাজা। ওই নারী এক বিবৃতিতে জানান, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি এখন পর্যন্ত সাতবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরাইলি হামলায় ইতোমধ্যে তার পরিবারের ২০ সদস্য নিহত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমার দুঃখ-কষ্ট ও আমার পরিবারের অকল্পনীয় ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে, যদি যুক্তরাষ্ট্র চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ইসরাইলের ইউনিটগুলোর কাছে সামরিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে।’তবে এ মামলা প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা আলজাজিরার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আলজাজিরার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারা বিচারাধীন মামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করে না।