ঢাকা , সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্প-সমর্থিত মাইক জনসন স্পিকার পদে পুননির্বাচিত

নানা নাটকীয়তার পর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের বর্তমান স্পিকার মাইক জনসন স্বপদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোটাভুটিতে ২১৮ ভোট পেয়ে জয়ী হন তিনি।এই পদে তিনি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন পেয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, স্পিকার পুনর্নির্বাচিত হতে জনসনের ২১৮ জন আইনপ্রণেতার সমর্থন প্রয়োজন ছিল। তবে প্রথম দফার ভোটাভুটিতে তিনি ২১৬ জনের সমর্থন পান। ২১৫ জন আইনপ্রণেতা ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হাকিম জেফরিসকে ভোট দেন। আর অন্য প্রার্থীরা পান ৩ ভোট। রিপাবলিকান পার্টির তিনজন আইনপ্রণেতা জনসনকে ভোট দেননি।

কোনো প্রার্থী প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় ভোটাভুটি দ্বিতীয় দফায় গড়ায়। শেষ হাসি হাসেন জনসন। তিনি রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের দৌলতে প্রয়োজনীয় ২১৮টি ভোট পান। হাকিম পান ২১৫টি ভোট। অন্য প্রার্থীদের ঝুলিতে একটি ভোট জমা পড়ে।

দ্বিতীয় দফার ভোটে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর জনসন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের পাশাপাশি পরবর্তী কংগ্রেসের সদস্য হিসেবে শপথ নেন। প্রতিনিধি পরিষদে লুইজিয়ানার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন জনসন। তিনি ২০২৩ সালের অক্টোবরে স্পিকার নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বিজয়ী ভাষণে জনসন বলেন, গত চার বছর জো বাইডেনের দুর্বল নেতৃত্ব যুক্তরাষ্ট্রকে বিপজ্জনক অবস্থানে নিয়ে গেছে। পরবর্তী কংগ্রেস ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি বাস্তবায়নে চ্যাম্পিয়ন হবে। আমেরিকা ফার্স্ট হলো দেশকে এগিয়ে নিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারমূলক নীতি।

এদিকে স্পিকার পদে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় জনসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, জনসন একজন সেরা স্পিকার হবেন এবং তার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র লাভবান হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ট্রাম্প-সমর্থিত মাইক জনসন স্পিকার পদে পুননির্বাচিত

আপডেট টাইম : ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

নানা নাটকীয়তার পর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের বর্তমান স্পিকার মাইক জনসন স্বপদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোটাভুটিতে ২১৮ ভোট পেয়ে জয়ী হন তিনি।এই পদে তিনি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন পেয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, স্পিকার পুনর্নির্বাচিত হতে জনসনের ২১৮ জন আইনপ্রণেতার সমর্থন প্রয়োজন ছিল। তবে প্রথম দফার ভোটাভুটিতে তিনি ২১৬ জনের সমর্থন পান। ২১৫ জন আইনপ্রণেতা ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হাকিম জেফরিসকে ভোট দেন। আর অন্য প্রার্থীরা পান ৩ ভোট। রিপাবলিকান পার্টির তিনজন আইনপ্রণেতা জনসনকে ভোট দেননি।

কোনো প্রার্থী প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় ভোটাভুটি দ্বিতীয় দফায় গড়ায়। শেষ হাসি হাসেন জনসন। তিনি রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের দৌলতে প্রয়োজনীয় ২১৮টি ভোট পান। হাকিম পান ২১৫টি ভোট। অন্য প্রার্থীদের ঝুলিতে একটি ভোট জমা পড়ে।

দ্বিতীয় দফার ভোটে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর জনসন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের পাশাপাশি পরবর্তী কংগ্রেসের সদস্য হিসেবে শপথ নেন। প্রতিনিধি পরিষদে লুইজিয়ানার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন জনসন। তিনি ২০২৩ সালের অক্টোবরে স্পিকার নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বিজয়ী ভাষণে জনসন বলেন, গত চার বছর জো বাইডেনের দুর্বল নেতৃত্ব যুক্তরাষ্ট্রকে বিপজ্জনক অবস্থানে নিয়ে গেছে। পরবর্তী কংগ্রেস ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি বাস্তবায়নে চ্যাম্পিয়ন হবে। আমেরিকা ফার্স্ট হলো দেশকে এগিয়ে নিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারমূলক নীতি।

এদিকে স্পিকার পদে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় জনসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, জনসন একজন সেরা স্পিকার হবেন এবং তার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র লাভবান হবে।