ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ‘হাসিনাবিরোধী আন্দোলন সম্পর্কে ভারত জানলেও হস্তক্ষেপ করতে পারেনি

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক পরামর্শক কমিটিকে বলেছেন, গতবছর ৫ আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সহিংসভাবে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে থেকেই সেখানে তার (শেখ হাসিনা) বিরুদ্ধে যে জনঅসন্তোষ তৈরি হচ্ছিল, সে বিষয়ে অবগত ছিল ভারত।

তবে তখন ভারতের পক্ষে তেমন কিছু করা সম্ভব হয়নি, কারণ শেখ হাসিনার ওপর তাদের যথেষ্ট প্রভাব ছিল না-তাকে শুধু পরামর্শ দেওয়া যেত বলে সংসদ সদস্যদের জানিয়েছেন জয়শঙ্কর।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জয়শঙ্কর ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভারতের মতো আরও কয়েকটি প্রধান স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পক্ষ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অস্থির পরিস্থিতি সম্পর্কে আগে থেকেই জানত।

এ প্রসঙ্গে তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভল্কার তুর্কের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়টি টেনে আনেন; যেখানে বলা হয়েছিল-শেখ হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের সময় নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে শান্তিরক্ষা মিশনে নিষিদ্ধ করা হতে পারে-এমন সতর্কবার্তা জাতিসংঘ আগে থেকেই দিয়েছিল বলে জানান তিনি।

ভারতের পররাষ্ট্র নীতির ওপর খোলামেলা আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্যরা ড. জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে প্রতিবেশী দেশগুলোর পরিস্থিতি-বিশেষ করে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান ছিল আলোচনার প্রধান বিষয়।

ড. ইউনুস ক্ষমতা গ্রহণের পর ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বর্তমানে তিনি চীন সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ সফরে চট্টগ্রাম ও ঢাকার সঙ্গে চীনের বিভিন্ন গন্তব্যের মধ্যে বিমান সংযোগ বৃদ্ধিসহ একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে। জয়শঙ্কর বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক নিয়েও আলোকপাত করেন। তিনি বলেন চীন প্রতিপক্ষ নয়, তবে প্রতিযোগী।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ‘হাসিনাবিরোধী আন্দোলন সম্পর্কে ভারত জানলেও হস্তক্ষেপ করতে পারেনি

আপডেট টাইম : ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক পরামর্শক কমিটিকে বলেছেন, গতবছর ৫ আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সহিংসভাবে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে থেকেই সেখানে তার (শেখ হাসিনা) বিরুদ্ধে যে জনঅসন্তোষ তৈরি হচ্ছিল, সে বিষয়ে অবগত ছিল ভারত।

তবে তখন ভারতের পক্ষে তেমন কিছু করা সম্ভব হয়নি, কারণ শেখ হাসিনার ওপর তাদের যথেষ্ট প্রভাব ছিল না-তাকে শুধু পরামর্শ দেওয়া যেত বলে সংসদ সদস্যদের জানিয়েছেন জয়শঙ্কর।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জয়শঙ্কর ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভারতের মতো আরও কয়েকটি প্রধান স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পক্ষ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অস্থির পরিস্থিতি সম্পর্কে আগে থেকেই জানত।

এ প্রসঙ্গে তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভল্কার তুর্কের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়টি টেনে আনেন; যেখানে বলা হয়েছিল-শেখ হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের সময় নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে শান্তিরক্ষা মিশনে নিষিদ্ধ করা হতে পারে-এমন সতর্কবার্তা জাতিসংঘ আগে থেকেই দিয়েছিল বলে জানান তিনি।

ভারতের পররাষ্ট্র নীতির ওপর খোলামেলা আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্যরা ড. জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে প্রতিবেশী দেশগুলোর পরিস্থিতি-বিশেষ করে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান ছিল আলোচনার প্রধান বিষয়।

ড. ইউনুস ক্ষমতা গ্রহণের পর ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বর্তমানে তিনি চীন সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ সফরে চট্টগ্রাম ও ঢাকার সঙ্গে চীনের বিভিন্ন গন্তব্যের মধ্যে বিমান সংযোগ বৃদ্ধিসহ একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে। জয়শঙ্কর বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক নিয়েও আলোকপাত করেন। তিনি বলেন চীন প্রতিপক্ষ নয়, তবে প্রতিযোগী।