ঢাকা , বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রেপ্তার ইস্তাম্বুলের মেয়র, বিরাট বিক্ষোভ তুরস্কে

তুরস্কে এরদোয়ানের বিরোধী নেতা ও ইস্তাম্বুলের মেয়রকে গ্রেপ্তারের উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটি। বিক্ষোভে ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীসহ অন্যান্য শহরে।মেয়র ইমামোলুর স্ত্রী যোগ দিয়েছেন বিক্ষোভে। তার দাবি, এরদোয়ান আর খুব বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।

সম্প্রতি দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোলুকে। প্রথমে তাকে আটক করা হয়। পরে গ্রেপ্তার করে তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতের নির্দেশে তাকে মারমারা জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইমামোলুর গ্রেপ্তারের পরেই ইস্তাম্বুলে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। গত পাঁচদিন ধরে তারা রাজপথ দখল করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।

গতকাল রবিবার সেই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন ইমামোলুর স্ত্রী দিলেক কায়া ইমামোলু। হাজার হাজার মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ‘এরদোয়ানের সময় শেষ হয়ে এসেছে। এবার তিনি হারবেন।’

তার বক্তব্য, একরেমকে অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশের জনগণের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে, অবিচার করা হচ্ছে। এর দায়িত্ব এরদোয়ানকে নিতে হবে।

একরেম ইমামোলু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের ঘোরতর বিরোধী। ইস্তাম্বুলে তিনি মেয়র হিসেবে এরদোয়ানের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন। অভিযোগ, সে কারণেই অন্যায়ভাবে তাকে জেলে ভরা হয়েছে।

ইমামোলুর সমর্থকেরা দেশজুড়ে এক প্রতীকী ভোটের ব্যবস্থা করেছিলেন। বিভিন্ন শহরে তারা ব্যালট বাক্স বসিয়েছিলেন। বিরোধী দল সিএইচপি-র সমর্থক নন, এমন মানুষদেরও ওই প্রতীকী ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। সিএইচপি জানিয়েছে, প্রায় দেড় কোটি মানুষ এই ভোটে অংশ নিয়েছিলেন। কোনো কোনো অঞ্চলে এতই ভিড় হয়েছিল যে, ভোটের সময় সাড়ে তিন ঘণ্টা বাড়িয়ে দিতে হয়। দেড় কোটি মানুষের মধ্যে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ ইমামোগলুর সমর্থনে ভোট দিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

২০১৯ সালে ইমামোগলু প্রথম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত বছরে তিনি পুনর্নির্বাচিত হন। প্রতীকী ভোটের ফলাফল জানার পর তিনি জেল থেকেই এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘দেশের মানুষ এরদোয়ানকে একটি বার্তা দিয়েছে। অনেক হয়েছে, আর না।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

গ্রেপ্তার ইস্তাম্বুলের মেয়র, বিরাট বিক্ষোভ তুরস্কে

আপডেট টাইম : ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

তুরস্কে এরদোয়ানের বিরোধী নেতা ও ইস্তাম্বুলের মেয়রকে গ্রেপ্তারের উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটি। বিক্ষোভে ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীসহ অন্যান্য শহরে।মেয়র ইমামোলুর স্ত্রী যোগ দিয়েছেন বিক্ষোভে। তার দাবি, এরদোয়ান আর খুব বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।

সম্প্রতি দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোলুকে। প্রথমে তাকে আটক করা হয়। পরে গ্রেপ্তার করে তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতের নির্দেশে তাকে মারমারা জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইমামোলুর গ্রেপ্তারের পরেই ইস্তাম্বুলে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। গত পাঁচদিন ধরে তারা রাজপথ দখল করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।

গতকাল রবিবার সেই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন ইমামোলুর স্ত্রী দিলেক কায়া ইমামোলু। হাজার হাজার মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ‘এরদোয়ানের সময় শেষ হয়ে এসেছে। এবার তিনি হারবেন।’

তার বক্তব্য, একরেমকে অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশের জনগণের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে, অবিচার করা হচ্ছে। এর দায়িত্ব এরদোয়ানকে নিতে হবে।

একরেম ইমামোলু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের ঘোরতর বিরোধী। ইস্তাম্বুলে তিনি মেয়র হিসেবে এরদোয়ানের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন। অভিযোগ, সে কারণেই অন্যায়ভাবে তাকে জেলে ভরা হয়েছে।

ইমামোলুর সমর্থকেরা দেশজুড়ে এক প্রতীকী ভোটের ব্যবস্থা করেছিলেন। বিভিন্ন শহরে তারা ব্যালট বাক্স বসিয়েছিলেন। বিরোধী দল সিএইচপি-র সমর্থক নন, এমন মানুষদেরও ওই প্রতীকী ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। সিএইচপি জানিয়েছে, প্রায় দেড় কোটি মানুষ এই ভোটে অংশ নিয়েছিলেন। কোনো কোনো অঞ্চলে এতই ভিড় হয়েছিল যে, ভোটের সময় সাড়ে তিন ঘণ্টা বাড়িয়ে দিতে হয়। দেড় কোটি মানুষের মধ্যে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ ইমামোগলুর সমর্থনে ভোট দিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

২০১৯ সালে ইমামোগলু প্রথম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত বছরে তিনি পুনর্নির্বাচিত হন। প্রতীকী ভোটের ফলাফল জানার পর তিনি জেল থেকেই এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘দেশের মানুষ এরদোয়ানকে একটি বার্তা দিয়েছে। অনেক হয়েছে, আর না।’