ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মারা গেছেন ৩৩০ কেজি ওজনের নুরুল হাসান

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা ৩৩০ কেজি ওজনের নুরুল হাসান মারা গেছেন। সোমবার লাহোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সার্জারির মাধ্যমে ওজন কমাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন পাকিস্তানের সবচেয়ে ওজনের এই ব্যক্তি।

ডেইলি পাকিস্তান বলছে, নুরুল হাসান কয়েক সপ্তাহ আগে লাহোরের শালিমার হাসপাতালে একটি সার্জারি করিয়েছিলেন। পরে হঠাৎ শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটে।

হাসপাতালের চিকিৎসক মুয়াজ বলেন, ‘হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটি সমস্যার কারণে প্রাণ হারিয়ছেন নুরুল হাসান।’

অন্যদিকে, নুরুল হাসানের পরিবার বলছে, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাবেদ বাজওয়ার নির্দেশে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন তিনি।

চিকিৎসার ব্যয় বহন করার সক্ষমতা না থাকায় দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন নুরুল হাসান। পরে পাঞ্জাব থেকে লাহোরের ওই হাসপাতালে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়। পাক সেনাপ্রধান বাজওয়া তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিলেন।

শরীরের ওজন কমিয়ে আনতে নুরুল হাসানের কয়েক দফা সফল সার্জারি করা হয়। আর কয়েক মাসের মধ্যেই স্বাভাবিক ওজনে চলে আসার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু তার আগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন পাকিস্তানের সবচেয়ে ওজনের এই ব্যক্তি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মারা গেছেন ৩৩০ কেজি ওজনের নুরুল হাসান

আপডেট টাইম : ০৭:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা ৩৩০ কেজি ওজনের নুরুল হাসান মারা গেছেন। সোমবার লাহোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সার্জারির মাধ্যমে ওজন কমাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন পাকিস্তানের সবচেয়ে ওজনের এই ব্যক্তি।

ডেইলি পাকিস্তান বলছে, নুরুল হাসান কয়েক সপ্তাহ আগে লাহোরের শালিমার হাসপাতালে একটি সার্জারি করিয়েছিলেন। পরে হঠাৎ শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটে।

হাসপাতালের চিকিৎসক মুয়াজ বলেন, ‘হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটি সমস্যার কারণে প্রাণ হারিয়ছেন নুরুল হাসান।’

অন্যদিকে, নুরুল হাসানের পরিবার বলছে, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাবেদ বাজওয়ার নির্দেশে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন তিনি।

চিকিৎসার ব্যয় বহন করার সক্ষমতা না থাকায় দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন নুরুল হাসান। পরে পাঞ্জাব থেকে লাহোরের ওই হাসপাতালে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়। পাক সেনাপ্রধান বাজওয়া তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিলেন।

শরীরের ওজন কমিয়ে আনতে নুরুল হাসানের কয়েক দফা সফল সার্জারি করা হয়। আর কয়েক মাসের মধ্যেই স্বাভাবিক ওজনে চলে আসার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু তার আগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন পাকিস্তানের সবচেয়ে ওজনের এই ব্যক্তি।