ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোলারে চলে বুলবুলের গাড়ি

এবার তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ছাড়াই সোলারে চলবে চার চাকার যান। এনামুল হক বুলবুল নামে তরুণ এক উদ্ভাবক চার চাকার এই সোলার যানটির উদ্ভাবন করেছেন। এর আগে সোলার বাইক তৈরি করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন বুলবুল। তার আবিষ্কৃত সোলার বাইক কিশোরগঞ্জে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল মেলায় শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনের পুরস্কার লাভ করে। পরবর্তীতে বিভাগীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত প্রযুক্তি মেলায়ও তিনি শ্রেষ্ঠ তরুণ উদ্ভাবকের কৃতিত্ব অর্জন করেন। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে আরও একটি উদ্ভাবনে সফল হয়েছেন পাকুন্দিয়ার তরুণ এই উদ্ভাবক। এবার তার তৈরি চার চাকার সোলার যানটিও সাড়া ফেলবে বলে মনে করছেন বুলবুল। এরই মধ্যে তার উদ্ভাবিত সোলার গাড়ি দেখতে উৎসুক জনতা ভীড় করছেন। পাকুন্দিয়া পৌরসদরের হাপানিয়া গ্রামের বাসিন্দা এনামুল হক বুলবুলের এমবিআই সৌরবিদ্যুৎ লি. নামে একটি সৌরবিদ্যুৎ সেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় এর বেশ কয়েকটি শাখাও রয়েছে। ২০১০ সালে প্রথম একবার সোলারচালিত চার চাকার যান তৈরি করার চেষ্টা করেন বুলবুল। সে সময় সফল না হলেও দমে যাননি। অবশেষে সাত বছর পর সফলতার দেখা পেলেন বুলবুল। পরীক্ষামূলকভাবে সোলার প্যানেল দিয়ে চার চাকার যান চালিয়ে সফলও হয়েছেন তিনি। নিজের সৌরবিদ্যুৎ সেবা প্রতিষ্ঠান ‘এমবিআই’ এর নামে চার চাকার এই যানটির নাম দিয়েছেন ‘এমবিআই সোলার কার’। বুলবুল জানান, মধ্যবিত্ত পরিবারের কথা চিন্তা করেই চার চাকার এ যানটি তৈরি করা হয়েছে। স্বল্প খরচে নিরাপদে পরিবার পরিজন নিয়ে যাতায়াত করা যাবে এ যান দিয়ে। মোট পাঁচ আসনের এ যানটি ঘন্টায় ৪০-৫০ কি.মি. চলবে। এতে ৮০ ওয়াটের চারটি সোলার প্যানেল ও ১২ ভোল্টের পাঁচটি ব্যাটারি রয়েছে। রয়েছে স্টিয়ারিং। সামনে পিছনে রয়েছে নমনীয় স্প্রিং। যানটি তৈরি করতে তার দেড় লাখ টাকার কিছু বেশি খরচ পড়েছে বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও রয়েছে বিদ্যুতের মাধ্যমে বিকল্প চার্জ করার ব্যবস্থা। এ যানটির সুবিধার কথা তুলে ধরে তরুণ এ উদ্ভাবক বলেন, তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ছাড়া চলবে চার চাকার এই যান। অটোবাইক তিন চাকার হওয়ায় সেটি উল্টে যায়, সেক্ষেত্রে সমগতি সম্পন্ন চার চাকার এ যানটি উল্টে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। সোলার দ্বারা সূর্যের আলোতে চার্জ হওয়ায় যানটি রানিংয়ে থাকলে কিংবা দাঁড়ানো অবস্থায় থাকলেও চার্জ হবে। এছাড়াও অটোবাইকে উল্টো করে বসার আসন রয়েছে, যা এ যানে নেই। কারণ, উল্টো আসনে বসলে অনেকের অস্বস্তি কিংবা মাথা ঘোরায়। এছাড়াও চার চাকার এ যানে সামনে পিছনে স্প্রিং থাকায় যাতায়াতের জন্য এ যানটি আরামদায়ক। বাসাবাড়ির ফ্যান, লাইট ও মোবাইল চার্জ এর ব্যবস্থাও রয়েছে যানটিতে। যানটির আসন সংখ্যা আরও বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা করছেন তিনি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

সোলারে চলে বুলবুলের গাড়ি

আপডেট টাইম : ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০১৭

এবার তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ছাড়াই সোলারে চলবে চার চাকার যান। এনামুল হক বুলবুল নামে তরুণ এক উদ্ভাবক চার চাকার এই সোলার যানটির উদ্ভাবন করেছেন। এর আগে সোলার বাইক তৈরি করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন বুলবুল। তার আবিষ্কৃত সোলার বাইক কিশোরগঞ্জে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল মেলায় শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনের পুরস্কার লাভ করে। পরবর্তীতে বিভাগীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত প্রযুক্তি মেলায়ও তিনি শ্রেষ্ঠ তরুণ উদ্ভাবকের কৃতিত্ব অর্জন করেন। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে আরও একটি উদ্ভাবনে সফল হয়েছেন পাকুন্দিয়ার তরুণ এই উদ্ভাবক। এবার তার তৈরি চার চাকার সোলার যানটিও সাড়া ফেলবে বলে মনে করছেন বুলবুল। এরই মধ্যে তার উদ্ভাবিত সোলার গাড়ি দেখতে উৎসুক জনতা ভীড় করছেন। পাকুন্দিয়া পৌরসদরের হাপানিয়া গ্রামের বাসিন্দা এনামুল হক বুলবুলের এমবিআই সৌরবিদ্যুৎ লি. নামে একটি সৌরবিদ্যুৎ সেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় এর বেশ কয়েকটি শাখাও রয়েছে। ২০১০ সালে প্রথম একবার সোলারচালিত চার চাকার যান তৈরি করার চেষ্টা করেন বুলবুল। সে সময় সফল না হলেও দমে যাননি। অবশেষে সাত বছর পর সফলতার দেখা পেলেন বুলবুল। পরীক্ষামূলকভাবে সোলার প্যানেল দিয়ে চার চাকার যান চালিয়ে সফলও হয়েছেন তিনি। নিজের সৌরবিদ্যুৎ সেবা প্রতিষ্ঠান ‘এমবিআই’ এর নামে চার চাকার এই যানটির নাম দিয়েছেন ‘এমবিআই সোলার কার’। বুলবুল জানান, মধ্যবিত্ত পরিবারের কথা চিন্তা করেই চার চাকার এ যানটি তৈরি করা হয়েছে। স্বল্প খরচে নিরাপদে পরিবার পরিজন নিয়ে যাতায়াত করা যাবে এ যান দিয়ে। মোট পাঁচ আসনের এ যানটি ঘন্টায় ৪০-৫০ কি.মি. চলবে। এতে ৮০ ওয়াটের চারটি সোলার প্যানেল ও ১২ ভোল্টের পাঁচটি ব্যাটারি রয়েছে। রয়েছে স্টিয়ারিং। সামনে পিছনে রয়েছে নমনীয় স্প্রিং। যানটি তৈরি করতে তার দেড় লাখ টাকার কিছু বেশি খরচ পড়েছে বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও রয়েছে বিদ্যুতের মাধ্যমে বিকল্প চার্জ করার ব্যবস্থা। এ যানটির সুবিধার কথা তুলে ধরে তরুণ এ উদ্ভাবক বলেন, তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ছাড়া চলবে চার চাকার এই যান। অটোবাইক তিন চাকার হওয়ায় সেটি উল্টে যায়, সেক্ষেত্রে সমগতি সম্পন্ন চার চাকার এ যানটি উল্টে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। সোলার দ্বারা সূর্যের আলোতে চার্জ হওয়ায় যানটি রানিংয়ে থাকলে কিংবা দাঁড়ানো অবস্থায় থাকলেও চার্জ হবে। এছাড়াও অটোবাইকে উল্টো করে বসার আসন রয়েছে, যা এ যানে নেই। কারণ, উল্টো আসনে বসলে অনেকের অস্বস্তি কিংবা মাথা ঘোরায়। এছাড়াও চার চাকার এ যানে সামনে পিছনে স্প্রিং থাকায় যাতায়াতের জন্য এ যানটি আরামদায়ক। বাসাবাড়ির ফ্যান, লাইট ও মোবাইল চার্জ এর ব্যবস্থাও রয়েছে যানটিতে। যানটির আসন সংখ্যা আরও বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা করছেন তিনি।