ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেসবুক কী ভেঙে যাচ্ছে

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ঐতিহাসিক এক মামলায় যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে, প্রতিষ্ঠানটি প্রতিযোগিতা দূর করতে তার প্রতিদ্বন্দ্বি কোম্পানি কিনে নিচ্ছে। নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার করে দিয়েছে যে, ইন্সটাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্রতিষ্ঠান বিক্রির ব্যাপারে তারা কঠোর প্রতিকার চায়। ফলে সামাজিক যোগাযোগ খাতের এই বিশাল প্রতিষ্ঠানটিকে ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে বিবিসি। ফেসবুকের বিরুদ্ধে নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস, অন্য আরো ৪৫ জন কর্মকর্তা মিলে যে মামলা করেছেন।

আদালতের কাছে তারা আবেদন করেছেন যেন ফেসবুকের ওপর এই আদেশ দেওয়া হয় যার মাধ্যমে অবৈধভাবে অধিগ্রহণ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভাজন বা পুনর্গঠন করা হয়’। যার মানে হতে পারে ২০১২ সালে এক বিলিয়ন ডলার মূল্যে কেনা ইন্সটাগ্রাম বা ২০১৪ সালে ১৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যে কেনা হোয়াটসঅ্যাপ বিক্রি করে দিতে বাধ্য করা। এসব প্রতিষ্ঠান কিনে নেওয়ার পর ফেসবুকের শেয়ারের দাম চারগুণের বেশি বাড়ে।

ফেসবুকের এখন মোট মূল্য ৮০০ বিলিয়ন ডলার। ফেসবুকের ব্যাপারে তদন্ত করেছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একটি কমিটি। সেই কমিটির প্রধান ড্যামিয়ান কলিন্স বিবিসিকে বলেছেন, এটা একটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। আমেরিকার কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল ফেসবুকের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়া এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা আলাদা করার ক্ষেত্রে মামলা করা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ফেসবুক কী ভেঙে যাচ্ছে

আপডেট টাইম : ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ঐতিহাসিক এক মামলায় যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে, প্রতিষ্ঠানটি প্রতিযোগিতা দূর করতে তার প্রতিদ্বন্দ্বি কোম্পানি কিনে নিচ্ছে। নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার করে দিয়েছে যে, ইন্সটাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্রতিষ্ঠান বিক্রির ব্যাপারে তারা কঠোর প্রতিকার চায়। ফলে সামাজিক যোগাযোগ খাতের এই বিশাল প্রতিষ্ঠানটিকে ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে বিবিসি। ফেসবুকের বিরুদ্ধে নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস, অন্য আরো ৪৫ জন কর্মকর্তা মিলে যে মামলা করেছেন।

আদালতের কাছে তারা আবেদন করেছেন যেন ফেসবুকের ওপর এই আদেশ দেওয়া হয় যার মাধ্যমে অবৈধভাবে অধিগ্রহণ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভাজন বা পুনর্গঠন করা হয়’। যার মানে হতে পারে ২০১২ সালে এক বিলিয়ন ডলার মূল্যে কেনা ইন্সটাগ্রাম বা ২০১৪ সালে ১৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যে কেনা হোয়াটসঅ্যাপ বিক্রি করে দিতে বাধ্য করা। এসব প্রতিষ্ঠান কিনে নেওয়ার পর ফেসবুকের শেয়ারের দাম চারগুণের বেশি বাড়ে।

ফেসবুকের এখন মোট মূল্য ৮০০ বিলিয়ন ডলার। ফেসবুকের ব্যাপারে তদন্ত করেছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একটি কমিটি। সেই কমিটির প্রধান ড্যামিয়ান কলিন্স বিবিসিকে বলেছেন, এটা একটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। আমেরিকার কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল ফেসবুকের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়া এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা আলাদা করার ক্ষেত্রে মামলা করা।