ঢাকা , শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তথ্য ফাঁস হওয়ায় রাষ্ট্রের বড় ক্ষতি হয়েছে

সরকারি ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁসের ঘটনায় রাষ্ট্রের বড় ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

রোববার (৯ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা জানান।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সরকারি ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁসের ঘটনায় রাষ্ট্রের বড় ক্ষতি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তথ্য ফাঁস হওয়া পোর্টালের ন্যূনতম সিকিউরিটি ছিল না। সতর্ক করা সত্ত্বেও আমলে নেননি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা। তাদের গাফলতির কারণেই রাষ্ট্রের বড় ধরনের ক্ষতি হলো।

তিনি আরও বলেন, তথ্য ফাঁসের ঘটনা কোনো হ্যাক নয়; বরং কারিগরি ত্রুটির কারণেই হয়েছে। সাইবার ক্রিমিনালরা কোনো তথ্য নিয়ে গেছে বলে আমরা এখনও প্রমাণ পাইনি। তবে, সরকারের সেই ওয়েবসাইটটিতে কারিগরি দুর্বলতা ছিল। তাই, তথ্যগুলো খুব সহজেই দেখা যাচ্ছিল।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাইবার হামলায় আমাদের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে যায়। এরপরই আমরা সাইবার সিকিউরিটির গুরুত্ব অনুভব করতে পেরেছিলাম। এজন্য আমরা ২৯টি সংকটপূর্ণ প্রতিষ্ঠান শনাক্ত করেছিলাম। যার সংখ্যা এখন ধাপে ধাপে বাড়ছে। ২৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭ নম্বর তালিকায় যে প্রতিষ্ঠানটি ছিল, সেটিই কিন্তু এমন অবস্থায় পড়ল।

কোন মন্ত্রণালয়ের কোন দপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের নাম উল্লেখ করেননি তিনি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

তথ্য ফাঁস হওয়ায় রাষ্ট্রের বড় ক্ষতি হয়েছে

আপডেট টাইম : ০৩:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩

সরকারি ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁসের ঘটনায় রাষ্ট্রের বড় ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

রোববার (৯ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা জানান।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সরকারি ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁসের ঘটনায় রাষ্ট্রের বড় ক্ষতি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তথ্য ফাঁস হওয়া পোর্টালের ন্যূনতম সিকিউরিটি ছিল না। সতর্ক করা সত্ত্বেও আমলে নেননি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা। তাদের গাফলতির কারণেই রাষ্ট্রের বড় ধরনের ক্ষতি হলো।

তিনি আরও বলেন, তথ্য ফাঁসের ঘটনা কোনো হ্যাক নয়; বরং কারিগরি ত্রুটির কারণেই হয়েছে। সাইবার ক্রিমিনালরা কোনো তথ্য নিয়ে গেছে বলে আমরা এখনও প্রমাণ পাইনি। তবে, সরকারের সেই ওয়েবসাইটটিতে কারিগরি দুর্বলতা ছিল। তাই, তথ্যগুলো খুব সহজেই দেখা যাচ্ছিল।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাইবার হামলায় আমাদের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে যায়। এরপরই আমরা সাইবার সিকিউরিটির গুরুত্ব অনুভব করতে পেরেছিলাম। এজন্য আমরা ২৯টি সংকটপূর্ণ প্রতিষ্ঠান শনাক্ত করেছিলাম। যার সংখ্যা এখন ধাপে ধাপে বাড়ছে। ২৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭ নম্বর তালিকায় যে প্রতিষ্ঠানটি ছিল, সেটিই কিন্তু এমন অবস্থায় পড়ল।

কোন মন্ত্রণালয়ের কোন দপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের নাম উল্লেখ করেননি তিনি।