ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

পলক-মহিউদ্দিনের নির্দেশে ইন্টারনেট শাটডাউন: তদন্ত প্রতিবেদন

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৮ জুলাই প্রথম দফায় সারা দেশে ইন্টারনেট শাটডাউন করা হয়েছিল তৎকালীন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদের নির্দেশনায়। আর মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালকের নির্দেশে।

মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের নির্দেশনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে এ তথ্য পেয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন একাধিকবার দেশব্যাপী মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউন হয়। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। সারা দেশে মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউনের কারণ ও সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নির্দেশক্রমে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত কমিটি প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৫-১৬ জুলাই সময়কালে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এবং ৫ আগস্ট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রশাসনিক অনুমোদন ব্যতিরেকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মৌখিক নির্দেশক্রমে বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়। অন্যদিকে ১৭ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত এবং ৫ আগস্ট মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায় যে, ওই সময়ে ডাটা সেন্টারে আগুন লাগার সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো সম্পর্ক ছিল না। ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে ডাটা সেন্টারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সম্পৃক্ত করে প্রচারণার মাধ্যমে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাতির সঙ্গে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেছেন। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চলমান।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

পলক-মহিউদ্দিনের নির্দেশে ইন্টারনেট শাটডাউন: তদন্ত প্রতিবেদন

আপডেট টাইম : ০৫:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৮ জুলাই প্রথম দফায় সারা দেশে ইন্টারনেট শাটডাউন করা হয়েছিল তৎকালীন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদের নির্দেশনায়। আর মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালকের নির্দেশে।

মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের নির্দেশনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে এ তথ্য পেয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন একাধিকবার দেশব্যাপী মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউন হয়। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। সারা দেশে মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউনের কারণ ও সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নির্দেশক্রমে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত কমিটি প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৫-১৬ জুলাই সময়কালে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এবং ৫ আগস্ট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রশাসনিক অনুমোদন ব্যতিরেকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মৌখিক নির্দেশক্রমে বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়। অন্যদিকে ১৭ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত এবং ৫ আগস্ট মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায় যে, ওই সময়ে ডাটা সেন্টারে আগুন লাগার সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো সম্পর্ক ছিল না। ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে ডাটা সেন্টারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সম্পৃক্ত করে প্রচারণার মাধ্যমে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাতির সঙ্গে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেছেন। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চলমান।’