ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমে যাচ্ছে শুক্রাণুর সংখ্যা, বিলুপ্তির পথে মানব প্রজন্ম: গবেষণা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  দিন দিন কমে যাচ্ছে পুরুষের শুক্রাণু, এমনকি বিলুপ্ত হতে পারে মানব প্রজন্মও। সম্প্রতি এক গবেষণার পর এমনই তথ্য উঠে এসেছে। প্রায় দুইশোটি গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সারাবিশ্বে পুরুষদের শরীরে যে হারে শুক্রাণুর সংখ্যা বা স্পার্ম রেট কমে যাচ্ছে, সেই হার বজায় থাকলে মানুষ বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।

জানা গেছে, এসব গবেষণা করা হয়েছে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের পুরুষদের ওপর। এতে গবেষকেরা দেখেছেন, ৪০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট। যদিও মানব প্রজন্মের সাম্প্রতিক তথ্য নিয়ে বেশ কিছু গবেষক সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তবে, ফলাফলের উপর আস্থাবান তথ্য সংগ্রহের এই গবেষণা দলের প্রধান ডাক্তার হ্যাগাই লেভিন। তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে কী ঘটবে তা নিয়ে তিনি ‘খুবই উদ্বিগ্ন’।

এ ব্যাপারে লেভিন জানান, ‘আমরা যদি নিজেদের জীবনযাপনের ধরন, পরিবেশ এবং রাসায়নিক ব্যবহারে পরিবর্তন না আনি, তাহলে ভবিষ্যতে কী হবে তা ভেবে আমি উদ্বিগ্ন। ’ একটা সময়ে এটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে, আর তাতে মানব প্রজাতির বিলুপ্তিও দেখা যেতে পারে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, এই তুলনামূলক গবেষণাটি করা হয় ১৯৭৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত। এই সময়কালে করা ১৮৫টি গবেষণার তথ্যের ভিত্তিতে এই গবেষণা কাজটি করে লেভিনের দল।

সূত্র: বিবিসি

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

কমে যাচ্ছে শুক্রাণুর সংখ্যা, বিলুপ্তির পথে মানব প্রজন্ম: গবেষণা

আপডেট টাইম : ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  দিন দিন কমে যাচ্ছে পুরুষের শুক্রাণু, এমনকি বিলুপ্ত হতে পারে মানব প্রজন্মও। সম্প্রতি এক গবেষণার পর এমনই তথ্য উঠে এসেছে। প্রায় দুইশোটি গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সারাবিশ্বে পুরুষদের শরীরে যে হারে শুক্রাণুর সংখ্যা বা স্পার্ম রেট কমে যাচ্ছে, সেই হার বজায় থাকলে মানুষ বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।

জানা গেছে, এসব গবেষণা করা হয়েছে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের পুরুষদের ওপর। এতে গবেষকেরা দেখেছেন, ৪০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট। যদিও মানব প্রজন্মের সাম্প্রতিক তথ্য নিয়ে বেশ কিছু গবেষক সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তবে, ফলাফলের উপর আস্থাবান তথ্য সংগ্রহের এই গবেষণা দলের প্রধান ডাক্তার হ্যাগাই লেভিন। তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে কী ঘটবে তা নিয়ে তিনি ‘খুবই উদ্বিগ্ন’।

এ ব্যাপারে লেভিন জানান, ‘আমরা যদি নিজেদের জীবনযাপনের ধরন, পরিবেশ এবং রাসায়নিক ব্যবহারে পরিবর্তন না আনি, তাহলে ভবিষ্যতে কী হবে তা ভেবে আমি উদ্বিগ্ন। ’ একটা সময়ে এটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে, আর তাতে মানব প্রজাতির বিলুপ্তিও দেখা যেতে পারে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, এই তুলনামূলক গবেষণাটি করা হয় ১৯৭৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত। এই সময়কালে করা ১৮৫টি গবেষণার তথ্যের ভিত্তিতে এই গবেষণা কাজটি করে লেভিনের দল।

সূত্র: বিবিসি