ড্রোনের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের কাজটি সফলভাবে করার পর, এখন চিন্তা মানুষবাহী ড্রোনের। নেভাডা ইনস্টিটিউট ফর অটোনমাস সিস্টেম ড্রোননির্মাণ প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে কাজ শেষ করেছে মানুষবাহী ড্রোনে। এবার শুধু ওড়ার অপেক্ষা।
এরই মধ্যে পরীক্ষামূলক ড্রোনটির উড্ডয়ন সম্পন্নকরার অনুমতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষ। এমনটাই জানিয়েছে বিবিসি। তবে পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের সময় এতে যাত্রীথাকবেন কি-না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের এরিয়াল রোবোটিক ল্যাবের পরিচালক ড. মিরকো কোভাক বলেন, যাত্রীপরিবহনকারী ড্রোন এখন বড় একটি সম্ভাবনার জায়গা। তবে এর জন্য সেটি যে কার্যকার ভূমিকা রাখবে তা প্রমাণ করতে হবে। এ বছরেরকনজিউমার ইলেকট্রনিকস শো অনুষ্ঠানে ড্রোনটির নির্মাতা চীনা প্রতিষ্ঠান ইহাং একটি নমুনা প্রদর্শন করে। এ সময় ড্রোনটির নানা সম্ভাবনার নানাদিক তুলে ধরা হয়।
‘ইএইচইএনজি১৮৪’ নামের ড্রোনটি ১.২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২০০ কেজির এ স্বয়ংক্রিয় প্রটোটাইপ রয়েছে। এ ছাড়াও ড্রোনটিতে আটটিপ্রপেলার রয়েছে। এটি ঘণ্টায় ৬০ মাইল গতিতে চলতে সক্ষম। আর সে একজন যাত্রীকে ২৩ মিনিট পরিবহন করতে পারবে। যাত্রীরা তাদের সামনেথাকা টাচস্ক্রিনের সহায়তায় তাদের গন্তব্য ঠিক করে দেবে। আর ড্রোনটির নিজস্ব কম্পিউটার ব্যবস্থা যাত্রাপথ বেছে নেবে।
এতে যাত্রীদের জন্যকোনো ওভার-রাইড ফাংশন নেই। ফলে জরুরি ক্ষেত্রে যাত্রীরা এর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবেন না। আর যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়লে ড্রোনটি নিকটস্থ কোনোফাঁকা জায়গায় অবতরণ করবে। এ ড্রোনটির দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ইউরো থেকে ২ লাখ ইউরোর মধ্যে রাখা হতে পারে।