ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর ছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ হবেনা : বেসিস সভাপতি

বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আমরা ২০২১ সালের আগেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। তবে যদি শিক্ষাকে ডিজিটাল করতে না পারি তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ হবেনা। আর এই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য একদিকে শিক্ষার পাঠক্রম-বিষয়বস্তু বদলাতে হবে, কাগজের বইকে সফটওয়্যারে রূপান্তর করতে হবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটাল করতে হবে এবং শিক্ষকদেরকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ক্লাস নিতে পারতে হবে।
শুক্রবার কিশোরগঞ্জের ডিজিটাল উদ্ভাবনী ও ব্র্যান্ডিং মেলার দ্বিতীয় দিনের সেমিনারে বেসিস সভাপতি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বেসিস এই রূপান্তরে সকল প্রকার সহায়তা করবে। এজন্য যে ধরনের সফটওয়্যারই ডেভলপ করা দরকার বেসিস সদস্যরা সেটাই করে দেবে। আমরা কিছু কাজ করেছি, বাকিটাও করবো।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক আজিমুদ্দিন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে বেসিস সদস্য নেটিজেন আইটি লিমিটেড তাদের স্কুল ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার ও বিজয় ডিজিটালের বিজয় শিশু শিক্ষা সফটওয়্যার উপস্থাপন করে। কিশোরগঞ্জ জেলার সকল উপজেলা থেকে শিক্ষক, অভিভাবক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা সেমিনারে যোগ দেন।
মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপান্তরের পাশাপাশি বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের সামগ্রিক অগ্রগতির চিত্রও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদেরকে যদি ডিজিটাল শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারি তবে ২০৪১ সালের অনেক আগেই উন্নত দেশে পরিণত হতে পারবো।
সভাপতির ভাষণে আজিমুদ্দিন বিশ্বাস বেসিস সভাপতির সাথে একমত পোষণ করেন ও শিক্ষকদেরকে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের আহ্বান জানান।
সেমিনারের আগে বেসিস সভাপতিকে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্কিট হাউজে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। তিনি কিশোরগঞ্জের বিয়াম স্কুল এবং মেলার ৩টি বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠানের স্টলসহ অন্যান্য স্টলগুলো পরিদর্শন করেন। বিয়াম স্কুলটি বিজয় ডিজিটালের ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহার করায় তিনি তাদেরকে ধন্যবাদ জানান। বেসিস সভাপতির সাথে সফরসঙ্গী ছিলেন বেসিস সদস্য দিদারুল আলম।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর ছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ হবেনা : বেসিস সভাপতি

আপডেট টাইম : ০৩:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০১৭
বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আমরা ২০২১ সালের আগেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। তবে যদি শিক্ষাকে ডিজিটাল করতে না পারি তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ হবেনা। আর এই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য একদিকে শিক্ষার পাঠক্রম-বিষয়বস্তু বদলাতে হবে, কাগজের বইকে সফটওয়্যারে রূপান্তর করতে হবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটাল করতে হবে এবং শিক্ষকদেরকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ক্লাস নিতে পারতে হবে।
শুক্রবার কিশোরগঞ্জের ডিজিটাল উদ্ভাবনী ও ব্র্যান্ডিং মেলার দ্বিতীয় দিনের সেমিনারে বেসিস সভাপতি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বেসিস এই রূপান্তরে সকল প্রকার সহায়তা করবে। এজন্য যে ধরনের সফটওয়্যারই ডেভলপ করা দরকার বেসিস সদস্যরা সেটাই করে দেবে। আমরা কিছু কাজ করেছি, বাকিটাও করবো।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক আজিমুদ্দিন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে বেসিস সদস্য নেটিজেন আইটি লিমিটেড তাদের স্কুল ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার ও বিজয় ডিজিটালের বিজয় শিশু শিক্ষা সফটওয়্যার উপস্থাপন করে। কিশোরগঞ্জ জেলার সকল উপজেলা থেকে শিক্ষক, অভিভাবক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা সেমিনারে যোগ দেন।
মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপান্তরের পাশাপাশি বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের সামগ্রিক অগ্রগতির চিত্রও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদেরকে যদি ডিজিটাল শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারি তবে ২০৪১ সালের অনেক আগেই উন্নত দেশে পরিণত হতে পারবো।
সভাপতির ভাষণে আজিমুদ্দিন বিশ্বাস বেসিস সভাপতির সাথে একমত পোষণ করেন ও শিক্ষকদেরকে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের আহ্বান জানান।
সেমিনারের আগে বেসিস সভাপতিকে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্কিট হাউজে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। তিনি কিশোরগঞ্জের বিয়াম স্কুল এবং মেলার ৩টি বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠানের স্টলসহ অন্যান্য স্টলগুলো পরিদর্শন করেন। বিয়াম স্কুলটি বিজয় ডিজিটালের ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহার করায় তিনি তাদেরকে ধন্যবাদ জানান। বেসিস সভাপতির সাথে সফরসঙ্গী ছিলেন বেসিস সদস্য দিদারুল আলম।