বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ সন্ধ্যা বা রাত এমনকি দিনের বেলাতেও মশার উপদ্রব এখন অনেক বেশি। মশার মাধ্যমে নানা ধরনের রোগজীবাণুর সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। স্প্রে, কয়েল বা অ্যারোসোল ব্যবহারে সাময়িকভাবে মশার উপদ্রব কম হলেও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে মশা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করাই উত্তম।
লেবু ও লবঙ্গ : লেবু দুই খণ্ড করে তার ভেতরের অংশে কয়েকটি লবঙ্গ গেঁথে দিন। ঘরের এক কোনায় রেখে দিলে মশার উপদ্রব কমে যাবে। জানালার গ্রিলে রেখে দিলে ঘরে মশাও ঢুকবে কম।
নিম তেল : সমপরিমাণ নিমের তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। তেলের গন্ধে মশা কাছে আসবে না। সেইসঙ্গে ত্বকের অ্যালার্জি, ইনফেকশনজনিত নানা সমস্যাও দূর হবে।
পুদিনা পাতা : একটি ছোট গ্লাসে অল্প পরিমাণ পানি নিয়ে তাতে ডালসহ কয়েকটি পুদিনা পাতা রেখে দিন। ৩ দিন পর পর পানি বদলে দিতে হবে। পুদিনার গন্ধে মশা ছাড়াও বিভিন্ন পোকামাকড় দূরে থাকে।
হলুদ আলো : ঘরের বৈদ্যুতিক আলো হলুদ সেলোফেনে জড়িয়ে দিন। মশা হলুদ আলো থেকে দূরে থাকে। মশারা সব আলোতে আকৃষ্ট হয় না। এলইডি লাইট, হলুদ ‘বাগ লাইট’, বা সোডিয়াম লাইট এক্ষেত্রে উপকারী।
নারিকেলের আঁশ : নারিকেলের আঁশ শুকিয়ে টুকরা করে একটি কাঠের পাত্রে রেখে জ্বলন্ত ম্যাচের কাঠি ধরুন। ৫-৬ মিনিটের মধ্যেই মশা দূর হবে।
ফ্যান চালু রাখা : মশা এমনিতেই হালকা। অন্যদিকে একটি ফ্যানের স্পিড ঘণ্টায় প্রায় দুই মাইল। মশাদের ওড়ার গতিবেগের চেয়ে ফ্যানের ঘোরার গতি অনেক বেশি হওয়ায় সহজেই মশাদের ব্লেডের কাছে টেনে নেয়।