ঢাকা , রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুস নয় শিশুকে দিন টাটকা ফলের রস

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ অভিভাবকরা শিশুর পুষ্টির চাহিদা মেটাতে জুস পান করান। অনেক সময় শিশুর বায়না মেটাতে জুস ধরিয়ে দেওয়া হয়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রক্রিয়াকৃত ফ্রুট জুস শিশুদের জন্য মোটেই স্বাস্থ্যকর নয় বরং টাটকা ফলের রস উপাদেয়। টাটকা ফলের জুসে নানা রকমের ফাইবার ও ভিটামিন থাকে, যা প্রক্রিয়াজাত জুসে অনুপস্থিত।

‘জার্নাল অব দ্য আমেরিকান কলেজ অ নিউট্রিশন’-এর জুলাই সংখ্যায় এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাটকা ফলের রসে অনেক সময় ফাইবারের অভাব থাকলেও ফাইটোকেমিক্যাল থাকে প্রচুর। এতে চিনি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটও থাকে কম বরং বেশি পরিমাণে থাকে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন ‘সি’। তাই বোতল কিংবা প্যাকেটজাত জুস থেকে অনেক গুণ ভালো।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অনেকেই বলেন আস্ত ফল চিবিয়ে খাওয়ার মতো উপকার ফলের রসে পাওয়া যায় না। কিন্তু এ কথা ঠিক নয়। ফল খেলে ফাইবার মেলে। এটুকুই বাড়তি পাওনা। বাকি সবটাই থাকে ফলের রসে। তাই বাচ্চার ডায়েটে ফলের রস না রাখা মানে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করা। জুস কখনোই ফলের রসের উপযোগী হতে পারে না।

গত কয়েক দশক ধরে বিশ্বে বাচ্চাদের ফলের রস খাওয়ানোর পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে। একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের শিশুরা এখনো নিয়মিত ফল খায়। ফলে তারা অন্য দেশের শিশুদের তুলনায় অনেক বেশি পুষ্ট এবং স্বাস্থ্যবান। রোগেও ভোগে কম। প্রতিবেদনে এমটাই তথ্য উঠে এসেছে।

প্রায়ই অভিযোগ ওঠে যে, খ্যাতনামা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত জুসে আদতে ফলের অস্তিত্ব নেই বরং এতে থাকে নানাবিধ রাসায়নিক, রং এবং সুগন্ধি, যা কি না শিশুর স্বাস্থ্যহানিকর। অন্যদিকে অনেকে মনে করেন, ফলের রসের চেয়ে আস্ত ফল শিশুকে খাওয়ানো ভালো। যদিও শিশুরা ফলের চেয়ে এর রস খেতেই বেশি পছন্দ করে। কিন্তু ফল আর ফলের রসের পুষ্টিগুণ এক নয়। পুষ্টির বিচারে রসের চেয়ে ফলে ভিটামিন ও অন্যান্য উপকারী উপাদানের অস্তিত্ব বেশি। ফলের খোসায় সূর্যের আলো পড়লে নানা রং তৈরি হয়। এই রঙিন খোসায় প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন ও ফ্ল্যাভনয়েড থাকে, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ফল থেকে রস তৈরি করলে পুষ্টি উপাদান থেকে আমরা বঞ্চিত হই।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জুস নয় শিশুকে দিন টাটকা ফলের রস

আপডেট টাইম : ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ মার্চ ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ অভিভাবকরা শিশুর পুষ্টির চাহিদা মেটাতে জুস পান করান। অনেক সময় শিশুর বায়না মেটাতে জুস ধরিয়ে দেওয়া হয়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রক্রিয়াকৃত ফ্রুট জুস শিশুদের জন্য মোটেই স্বাস্থ্যকর নয় বরং টাটকা ফলের রস উপাদেয়। টাটকা ফলের জুসে নানা রকমের ফাইবার ও ভিটামিন থাকে, যা প্রক্রিয়াজাত জুসে অনুপস্থিত।

‘জার্নাল অব দ্য আমেরিকান কলেজ অ নিউট্রিশন’-এর জুলাই সংখ্যায় এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাটকা ফলের রসে অনেক সময় ফাইবারের অভাব থাকলেও ফাইটোকেমিক্যাল থাকে প্রচুর। এতে চিনি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটও থাকে কম বরং বেশি পরিমাণে থাকে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন ‘সি’। তাই বোতল কিংবা প্যাকেটজাত জুস থেকে অনেক গুণ ভালো।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অনেকেই বলেন আস্ত ফল চিবিয়ে খাওয়ার মতো উপকার ফলের রসে পাওয়া যায় না। কিন্তু এ কথা ঠিক নয়। ফল খেলে ফাইবার মেলে। এটুকুই বাড়তি পাওনা। বাকি সবটাই থাকে ফলের রসে। তাই বাচ্চার ডায়েটে ফলের রস না রাখা মানে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করা। জুস কখনোই ফলের রসের উপযোগী হতে পারে না।

গত কয়েক দশক ধরে বিশ্বে বাচ্চাদের ফলের রস খাওয়ানোর পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে। একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের শিশুরা এখনো নিয়মিত ফল খায়। ফলে তারা অন্য দেশের শিশুদের তুলনায় অনেক বেশি পুষ্ট এবং স্বাস্থ্যবান। রোগেও ভোগে কম। প্রতিবেদনে এমটাই তথ্য উঠে এসেছে।

প্রায়ই অভিযোগ ওঠে যে, খ্যাতনামা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত জুসে আদতে ফলের অস্তিত্ব নেই বরং এতে থাকে নানাবিধ রাসায়নিক, রং এবং সুগন্ধি, যা কি না শিশুর স্বাস্থ্যহানিকর। অন্যদিকে অনেকে মনে করেন, ফলের রসের চেয়ে আস্ত ফল শিশুকে খাওয়ানো ভালো। যদিও শিশুরা ফলের চেয়ে এর রস খেতেই বেশি পছন্দ করে। কিন্তু ফল আর ফলের রসের পুষ্টিগুণ এক নয়। পুষ্টির বিচারে রসের চেয়ে ফলে ভিটামিন ও অন্যান্য উপকারী উপাদানের অস্তিত্ব বেশি। ফলের খোসায় সূর্যের আলো পড়লে নানা রং তৈরি হয়। এই রঙিন খোসায় প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন ও ফ্ল্যাভনয়েড থাকে, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ফল থেকে রস তৈরি করলে পুষ্টি উপাদান থেকে আমরা বঞ্চিত হই।