ঢাকা , রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সন্ধান মিললো সবচেয়ে ছোট ডাইনোসরের

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ লম্বায় মাত্র দুই ইঞ্চি। অথচ এটিকেই বলা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ডাইনোসর! ‘আই টুথ’ নামের এ পাখি মিয়ানমারের বিভিন্ন বনাঞ্চলে দেখা যায়।

আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকাশক নেচার পাবলিশার্স-এর এক নিবন্ধে এমনটাই বলা হয়েছে। জানা যায়, এ পাখির হাড়ের সবচেয়ে বাইরের স্তর অত্যন্ত পাতলা। এমনকি হাড়ের মধ্যের উপকরণও ছিল হড়হড়ে। প্রায় ৯০ শতাংশই ছিল ফাঁপা। এভাবে কম ওজনের কারণে তাদের আকাশে ওড়ার ক্ষমতা অনেক বেশি। হালকা গঠন হলেও এর বিশেষত্ব কিন্তু ডাইনোসরের মতোই।

‘অক্টুলুডেন্টাভিস খঙ্গুরা’ নামের এ ডাইনোসর প্রজাতির প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় ২০১৬ সালে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ১০০ মিলিয়ন বছর ধরে মিয়ানমারে এ পাখি বসবাস করছে। কালের বিবতর্নে এ পাখির প্রজাতিতেও এসেছে নানান পরিবর্তন। এ প্রাণীর আকৃতি এতটাই ছোট যে, গাছের অল্প পরিমাণ রজন পাখিটির মাথায় পড়লেই সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু ঘটে।

এ প্রজাতির নাম ‘অক্টুলুডেন্টাভিস খঙ্গুরা’

এ প্রজাতির নাম ‘অক্টুলুডেন্টাভিস খঙ্গুরা’

লস অ্যাঞ্জেলেসের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের গবেষণার সহ-লেখক প্যালেওন্টোলজিস্ট লুই চিয়াপ্প বলেছিলেন, এটি সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতি। পাখিটির জীবাশ্মের নমুনা গবেষণা করে দেখা যায়- পাখিটিতে রয়েছে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ চোয়াল এবং দাঁত ক্ষুরের মতো ধারালো। তার ওজন এক আউন্সের চেয়ে কম। আপনি চাইলে পাখিটিকে হাতের তালুতে নাচাতে পারবেন।

বেইজিংয়ের চীনা একাডেমি অব ভার্সেট্রেট প্যালিয়ন্টোলজি অ্যান্ড পেলিয়্যান্থ্রপোলজি ইনস্টিটিউট এর বিশেষজ্ঞ জিংমাই ও’কনো ডাইনোসর নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এটি সত্যিই ক্ষুদ্র এবং অদ্ভুত। বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ডাইনোসর হিসেবে নাম লেখালো এটি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

সন্ধান মিললো সবচেয়ে ছোট ডাইনোসরের

আপডেট টাইম : ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ মার্চ ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ লম্বায় মাত্র দুই ইঞ্চি। অথচ এটিকেই বলা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ডাইনোসর! ‘আই টুথ’ নামের এ পাখি মিয়ানমারের বিভিন্ন বনাঞ্চলে দেখা যায়।

আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকাশক নেচার পাবলিশার্স-এর এক নিবন্ধে এমনটাই বলা হয়েছে। জানা যায়, এ পাখির হাড়ের সবচেয়ে বাইরের স্তর অত্যন্ত পাতলা। এমনকি হাড়ের মধ্যের উপকরণও ছিল হড়হড়ে। প্রায় ৯০ শতাংশই ছিল ফাঁপা। এভাবে কম ওজনের কারণে তাদের আকাশে ওড়ার ক্ষমতা অনেক বেশি। হালকা গঠন হলেও এর বিশেষত্ব কিন্তু ডাইনোসরের মতোই।

‘অক্টুলুডেন্টাভিস খঙ্গুরা’ নামের এ ডাইনোসর প্রজাতির প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় ২০১৬ সালে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ১০০ মিলিয়ন বছর ধরে মিয়ানমারে এ পাখি বসবাস করছে। কালের বিবতর্নে এ পাখির প্রজাতিতেও এসেছে নানান পরিবর্তন। এ প্রাণীর আকৃতি এতটাই ছোট যে, গাছের অল্প পরিমাণ রজন পাখিটির মাথায় পড়লেই সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু ঘটে।

এ প্রজাতির নাম ‘অক্টুলুডেন্টাভিস খঙ্গুরা’

এ প্রজাতির নাম ‘অক্টুলুডেন্টাভিস খঙ্গুরা’

লস অ্যাঞ্জেলেসের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের গবেষণার সহ-লেখক প্যালেওন্টোলজিস্ট লুই চিয়াপ্প বলেছিলেন, এটি সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতি। পাখিটির জীবাশ্মের নমুনা গবেষণা করে দেখা যায়- পাখিটিতে রয়েছে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ চোয়াল এবং দাঁত ক্ষুরের মতো ধারালো। তার ওজন এক আউন্সের চেয়ে কম। আপনি চাইলে পাখিটিকে হাতের তালুতে নাচাতে পারবেন।

বেইজিংয়ের চীনা একাডেমি অব ভার্সেট্রেট প্যালিয়ন্টোলজি অ্যান্ড পেলিয়্যান্থ্রপোলজি ইনস্টিটিউট এর বিশেষজ্ঞ জিংমাই ও’কনো ডাইনোসর নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এটি সত্যিই ক্ষুদ্র এবং অদ্ভুত। বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ডাইনোসর হিসেবে নাম লেখালো এটি।