ঢাকা , রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংক্রমণের এই সময়ে ভাজা-পোড়া খেলে যত ক্ষতি

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি খাবারের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।

এখন বাইরের খাবার ও অতিরিক্ত ভাজা-পোড়া না খাওয়া ভালো। এসব খাবার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়।

এখনও যেহেতু এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক বা টিকা আবিষ্কার হয়নি, তাই শেষ পর্যন্ত বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো।

ভাজা-পোড়া খাবার খাওয়া কারণে শরীরে বাধতে পারে নানাবিধ রোগ। কমে যেতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ অ্যাশলে কিচেঞ্জ বলেন, ভাজা খাবারের ক্যালরির মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। ফলে খাবারের বাইরের দিকের অংশ আর্দ্রতা হারায় আর ভেতরে শুষে নেয় তেল।

ভাজা খাবারের তেলে থাকে ট্রান্স ফ্যাট শরীরে এলডিএলের মাত্রা বাড়ায়।

এলডিএল বা ‘লো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন’ যা খারাপ কোলেস্টেরল হিসেবে চিহ্নিত। যে কারণে ধমনীতে বাধা তৈরি করে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি বিষয় প্রমাণিত যে, অতিরিক্ত ভাজা খাবার খেলে রক্তচাপও বৃদ্ধি পায়, যা হৃদরোগ হওয়ার আরেক কারণ।

তা ছাড়া ভাজা খাবার ওজনও বাড়ায়। তাই ভাজা খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।

ভাজা খাবারের নেশা কমাতে যা করবেন

এ ক্ষেত্রে কিচেঞ্জের পরামর্শ হলো ‘এয়ার ফ্রাইয়ার’ ব্যবহার করা।

তিনি বলেন, এয়ার ফ্রাইয়ারে রান্না করা খাবার তেলে ভাজার মতোই মচমচে হয়। আর এতে তেলও ব্যবহার করা হয় না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

সংক্রমণের এই সময়ে ভাজা-পোড়া খেলে যত ক্ষতি

আপডেট টাইম : ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুন ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি খাবারের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।

এখন বাইরের খাবার ও অতিরিক্ত ভাজা-পোড়া না খাওয়া ভালো। এসব খাবার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়।

এখনও যেহেতু এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক বা টিকা আবিষ্কার হয়নি, তাই শেষ পর্যন্ত বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো।

ভাজা-পোড়া খাবার খাওয়া কারণে শরীরে বাধতে পারে নানাবিধ রোগ। কমে যেতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ অ্যাশলে কিচেঞ্জ বলেন, ভাজা খাবারের ক্যালরির মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। ফলে খাবারের বাইরের দিকের অংশ আর্দ্রতা হারায় আর ভেতরে শুষে নেয় তেল।

ভাজা খাবারের তেলে থাকে ট্রান্স ফ্যাট শরীরে এলডিএলের মাত্রা বাড়ায়।

এলডিএল বা ‘লো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন’ যা খারাপ কোলেস্টেরল হিসেবে চিহ্নিত। যে কারণে ধমনীতে বাধা তৈরি করে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি বিষয় প্রমাণিত যে, অতিরিক্ত ভাজা খাবার খেলে রক্তচাপও বৃদ্ধি পায়, যা হৃদরোগ হওয়ার আরেক কারণ।

তা ছাড়া ভাজা খাবার ওজনও বাড়ায়। তাই ভাজা খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।

ভাজা খাবারের নেশা কমাতে যা করবেন

এ ক্ষেত্রে কিচেঞ্জের পরামর্শ হলো ‘এয়ার ফ্রাইয়ার’ ব্যবহার করা।

তিনি বলেন, এয়ার ফ্রাইয়ারে রান্না করা খাবার তেলে ভাজার মতোই মচমচে হয়। আর এতে তেলও ব্যবহার করা হয় না।