বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ স্বাদ, গন্ধ আর পাকা রঙে রসে টইটুম্বুর মঙ্গলবাড়িয়ার লিচুর জুড়ি নেই। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও বিখ্যাত কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে এবার মধু মাসের ফল লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রভাবে দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন লিচু চাষীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের প্রতিটি লিচু বাগানে প্রচুর লিচু ধরেছে। লিচু আকারে বড় ও পাকা রঙ ধারণ করতে শুরু করেছে। সপ্তাহ-দশ দিনের মধ্যে পুরোদমে লিচু সংগ্রহ শুরু হবে। পাখি ও কীটপতঙ্গ থেকে লিচু রক্ষার্থে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন চাষীরা।
মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের লিচু চাষী রিয়াদ বিন জামান (২৮) জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর তার বাগানের ৪৫টি গাছে প্রচুর লিচু এসেছে। রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যায় এ পর্যন্ত তার ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
গত বছর এ বাগানটি তিন লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু এ বছর করোনাভাইরাসের প্রভাবে ও পরিবহন সংকটে লিচুর প্রকৃত দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তিনি।
লিচু চাষী আল মাহমুদ বলেন, এবার লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু এ বছর করোনার কারণে বিভিন্ন জেলা থেকে লিচু ব্যবসায়ীরা না আসলে আমরা কাঙ্খিত দাম পাবো না। এ নিয়ে আমরা চিন্তায় আছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল আলামিন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। আমরা চাষীদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। মঙ্গলবাড়িয়ার লিচুর আকৃতি, রঙ ও স্বাদে ভিন্ন হওয়ায় এর চাহিদা বেশী।
তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে লিচুর দামের উপর করোনার প্রভাব তেমন পড়বে না।