বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ পৃথিবীবাসীর প্রোটিনের সবচেয়ে বড় উৎস মুরগি কোথা থেকে এসেছে, তা নিয়ে আলোচনা বহুদিনের। আন্তর্জাতিক জার্নাল সেল রিসার্চে প্রকাশিত নতুন একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চল এবং মিয়ানমারে প্রথম মুরগি পোষা হয়।
কয়েক বছর ধরে ভারত, চীন, থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারের গবেষকেরা ৮৬৩টি জেনোমের ডিএনএ সিকোয়েন্স করে এই তথ্য পাওয়ার দাবি করেছেন। এর আগের গবেষণায় বলা হয়েছিল উত্তর চীন এবং সিন্ধু উপত্যকায় প্রথম মুরগি পোষা শুরু হয়।
গবেষকেরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্যালাসের চারটি প্রজাতি, লাল বনমুরগির পাঁচটি উপ-প্রজাতি এবং বিভিন্ন গৃহপালিত মুরগির বাচ্চা সংগ্রহ করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, লাল বনমুরগির প্রতিটি প্রজাতি ৫০ হাজার বছর আগে (বাড়িতে পোষার আগে) একটি অপরটির থেকে জিনগতভাবে আলাদা হয়ে যায়।
রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ‘এই গবেষণায় বোঝা গেছে গৃহপালিত এই প্রাণী প্রথম এসেছে লাল বনমুরগির প্রজাতি থেকে।’
এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ভারতের প্রাণীবিজ্ঞান জরিপের বিজ্ঞানী মুকেশ ঠাকুর। তিনি দ্য হিন্দুকে বলেছেন, ‘মানব সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা মুরগি সম্পর্কে এই গবেষণা আমাদের নতুন ধারণা দিয়েছে। ভৌগলিক এবং অস্থায়ী উৎস সম্পর্কে আগে যত বিতর্ক ছিল এখন তার অবসান হবে।’
মুরগির উৎস নিয়ে বিজ্ঞানীদের আগ্রহ কয়েক শতকের। পরিবেশের ওপর এই প্রাণীদের যেমন প্রভাব রয়েছে, তেমনি মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে এটি বিশেষ ভূমিকা রাখে। এদের নতুন উৎস সম্পর্কে তথ্য পাওয়ায় ভবিষ্যৎ বিবর্তন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া সহজ হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।