ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যে কারণে চাকরি ছাড়লেন শহিদ আবু সাঈদের ২ ভাই আইন উপদেষ্টাকে হেনস্তা জেনেভা মিশনের শ্রম কাউন্সেলরকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ ট্রাম্পের নতুন ‘সীমান্ত জার’ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কতটা কঠোর হবেন জাবিতে পাখি সুরক্ষায় ছাত্রদলের ভিন্নধর্মী উদ্যোগ যে পাখি উড়ন্ত অবস্থায় ডিম পাড়ে, মাটিতে পড়ার আগে বাচ্চা ফুটে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্র-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন যারা প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের খাবার কর্মসূচি চালু করা হবে : উপদেষ্টা উপদেষ্টা ফারুকী-বশিরকে নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন মাহফুজ আলম নেতাকর্মীদের রেখে স্বার্থপরের মত পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা: রিজভী সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে থাকবে, তা অন্তর্বর্তী সরকারই নির্ধারণ করবে: সেনাসদর

এই গ্রামের বাসিন্দা হলেই পাবেন ২৮ লাখ টাকা

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ জীবিকার তাগিদে মানুষ ছুটছে ইট পাথরের শহরের দিকে। উন্নত জীবনযাপনের কাছে এখন সুস্থ জীবনযাপনের কথা চিন্তা করার সময় নেই কারো। বিশ্বের সব দেশেই এখন একই চিত্র। তবে একটা সময় ছবির মতো সুন্দর বাড়ির। যেখানে চারদিকে সবুজ পাহাড় ও তার মাঝে সাজানো-গোছানো সারি সারি ভবন ও পথঘাট। পাশেই কোনো লেক কিংবা নদী থাকে। আপনার এই স্বপ্ন পূরণ করার সুবর্ণ সুযোগ দিচ্ছে ইতালি।

একই সঙ্গে পাবেন দুটি সুবিধা। একদিকে গ্রামের সবুজ পরিবেশে নিজেকে সতেজ করা। অন্যদিকে দেশটির সরকার আপনাকে দেবে বিপুল পরিমাণ অর্থ! ইতালির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ক্যালাবরিয়া অঞ্চলে অবিশ্বাস্য এই সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে এক্ষেত্রে সেখানে গিয়ে আগে আপনাকে রেস্তোরাঁ বা দোকান খুলতে হবে এবং আবাস গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই সরকারের পক্ষ থেকে তিন বছরে ৩৩ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ টাকা) পাওয়া যাবে।

টাকা পেতে আপনাকে পূরণ করতে হবে তাদের দেয়া শর্ত

টাকা পেতে আপনাকে পূরণ করতে হবে তাদের দেয়া শর্ত

মূলত অঞ্চলটির গ্রামগুলোতে জনসংখ্যা দ্রুত কমছে এবং ইতিমধ্যে অনেক গ্রাম জনশূন্য হয়ে পড়েছে। তাই বাহির থেকে মানুষ নিয়ে গিয়ে গ্রামগুলোর জীবন ও আর্থিক কাঠামো সচল রাখতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সিভিতা, বোভা, আলবিদোনা, সান্তা সেভেরিনা, সান দোনাতো দ্য নিয়েনাসহ ওই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম আপনাকে এই সুযোগ দিতে যাচ্ছে। বিশেষ করে তরুণদের আকৃষ্ট করতে এই পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

শর্তের মধ্যে বলা হয়েছে, সরকারের অনুমতি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যেই আবেদনকারীকে সেখানে যেতে হবে। এরপর রেস্তোরাঁ, বার, দোকান কিংবা খামার চালুর মাধ্যমে আবাস গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই প্রতি মাসে ৮০০ থেকে ১ হাজার ইউরো প্রণোদনা মিলবে। রিজিওনাল কাউন্সিলর জিয়ানলুকা গ্যাল্লো জানান, উদ্যোগটি সফল হলে আগামী বছরগুলোয় এমন আরও আকর্ষণীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। গত বছরও এমন সুযোগ পেয়েছে সে দেশের মানুষ। মাত্র ১০০ টাকায় বাড়ি কেনার সুযোগ ছিল তাদের। বাংলাদেশি টাকায় ১০০ টাকা। যা ইউরো হিসেবে মাত্র ১ ইউরো।

শর্ত অনুযায়ী এখানে আপনাকে প্রথমেই রেস্তোরাঁ কিংবা দোকান খুলতে হবে এরপর স্থায়ী বসতি গড়তে হবে

শর্ত অনুযায়ী এখানে আপনাকে প্রথমেই রেস্তোরাঁ কিংবা দোকান খুলতে হবে এরপর স্থায়ী বসতি গড়তে হবে

সৈকতের ধারে পাহাড়ের উপরে ছোট্ট এক বাড়িতে প্রিয়জনের সঙ্গে জীবন কাটাবেন এমন স্বপ্ন অনেকেই দেখেন। কিন্তু সাধ থাকলেও সাধ্যের মধ্যে তা হয়ে ওঠে না।  নাম মাত্র দামে ইতালির দক্ষিণে মলিস অঞ্চলে এক ইউরো খরচ করলেই আস্ত একটা বাড়ি মালিক হয়েছেন অনেকে। এই সব কিছুর পেছনে একটাই উদ্দেশ্য তা হচ্ছে- গ্রামগুলোকে পরিত্যক্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা।

তবে এসব জায়গায় থাকার রয়েছে নানান অসুবিধা। যেমন- গ্রামের রাস্তাগুলো খুবই সংকীর্ণ তাই গাড়ি নিয়ে চলাচলের সুযোগ নেই। বাড়িগুলো এতো জরাজীর্ণ যে যে কোন মুহূর্তে তা ধসে পড়তে পারে। তাই সংস্কার ছাড়া বাড়িগুলোতে বসবাসের কোনো সুযোগ নেই। তবে একসময় এগুলো ছিল জমজমাট জায়গা।

ইতালির এমন বেশ কিছু শহরে জনসংখ্যা কমছে। নতুন প্রজন্ম সব বড় শহরে চলে যাচ্ছে। ফলে খালি হয়ে পড়ে থাকছে ছোট শহরের বাড়িগুলো। পুরনো বাড়ির জন্য কেউ কর দিতেও রাজি হচ্ছেন না। ফলে বাধ্য হয়ে বাসিন্দাদের পড়ে থাকা পুরনো, পরিত্যক্ত বাড়িগুলো নিলামে তুলতে হচ্ছে প্রশাসনকে। তবে এতশত অফারেও মিলছে না আশানুরূপ ফলাফল।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

যে কারণে চাকরি ছাড়লেন শহিদ আবু সাঈদের ২ ভাই

এই গ্রামের বাসিন্দা হলেই পাবেন ২৮ লাখ টাকা

আপডেট টাইম : ১০:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ জীবিকার তাগিদে মানুষ ছুটছে ইট পাথরের শহরের দিকে। উন্নত জীবনযাপনের কাছে এখন সুস্থ জীবনযাপনের কথা চিন্তা করার সময় নেই কারো। বিশ্বের সব দেশেই এখন একই চিত্র। তবে একটা সময় ছবির মতো সুন্দর বাড়ির। যেখানে চারদিকে সবুজ পাহাড় ও তার মাঝে সাজানো-গোছানো সারি সারি ভবন ও পথঘাট। পাশেই কোনো লেক কিংবা নদী থাকে। আপনার এই স্বপ্ন পূরণ করার সুবর্ণ সুযোগ দিচ্ছে ইতালি।

একই সঙ্গে পাবেন দুটি সুবিধা। একদিকে গ্রামের সবুজ পরিবেশে নিজেকে সতেজ করা। অন্যদিকে দেশটির সরকার আপনাকে দেবে বিপুল পরিমাণ অর্থ! ইতালির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ক্যালাবরিয়া অঞ্চলে অবিশ্বাস্য এই সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে এক্ষেত্রে সেখানে গিয়ে আগে আপনাকে রেস্তোরাঁ বা দোকান খুলতে হবে এবং আবাস গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই সরকারের পক্ষ থেকে তিন বছরে ৩৩ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ টাকা) পাওয়া যাবে।

টাকা পেতে আপনাকে পূরণ করতে হবে তাদের দেয়া শর্ত

টাকা পেতে আপনাকে পূরণ করতে হবে তাদের দেয়া শর্ত

মূলত অঞ্চলটির গ্রামগুলোতে জনসংখ্যা দ্রুত কমছে এবং ইতিমধ্যে অনেক গ্রাম জনশূন্য হয়ে পড়েছে। তাই বাহির থেকে মানুষ নিয়ে গিয়ে গ্রামগুলোর জীবন ও আর্থিক কাঠামো সচল রাখতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সিভিতা, বোভা, আলবিদোনা, সান্তা সেভেরিনা, সান দোনাতো দ্য নিয়েনাসহ ওই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম আপনাকে এই সুযোগ দিতে যাচ্ছে। বিশেষ করে তরুণদের আকৃষ্ট করতে এই পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

শর্তের মধ্যে বলা হয়েছে, সরকারের অনুমতি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যেই আবেদনকারীকে সেখানে যেতে হবে। এরপর রেস্তোরাঁ, বার, দোকান কিংবা খামার চালুর মাধ্যমে আবাস গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই প্রতি মাসে ৮০০ থেকে ১ হাজার ইউরো প্রণোদনা মিলবে। রিজিওনাল কাউন্সিলর জিয়ানলুকা গ্যাল্লো জানান, উদ্যোগটি সফল হলে আগামী বছরগুলোয় এমন আরও আকর্ষণীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। গত বছরও এমন সুযোগ পেয়েছে সে দেশের মানুষ। মাত্র ১০০ টাকায় বাড়ি কেনার সুযোগ ছিল তাদের। বাংলাদেশি টাকায় ১০০ টাকা। যা ইউরো হিসেবে মাত্র ১ ইউরো।

শর্ত অনুযায়ী এখানে আপনাকে প্রথমেই রেস্তোরাঁ কিংবা দোকান খুলতে হবে এরপর স্থায়ী বসতি গড়তে হবে

শর্ত অনুযায়ী এখানে আপনাকে প্রথমেই রেস্তোরাঁ কিংবা দোকান খুলতে হবে এরপর স্থায়ী বসতি গড়তে হবে

সৈকতের ধারে পাহাড়ের উপরে ছোট্ট এক বাড়িতে প্রিয়জনের সঙ্গে জীবন কাটাবেন এমন স্বপ্ন অনেকেই দেখেন। কিন্তু সাধ থাকলেও সাধ্যের মধ্যে তা হয়ে ওঠে না।  নাম মাত্র দামে ইতালির দক্ষিণে মলিস অঞ্চলে এক ইউরো খরচ করলেই আস্ত একটা বাড়ি মালিক হয়েছেন অনেকে। এই সব কিছুর পেছনে একটাই উদ্দেশ্য তা হচ্ছে- গ্রামগুলোকে পরিত্যক্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা।

তবে এসব জায়গায় থাকার রয়েছে নানান অসুবিধা। যেমন- গ্রামের রাস্তাগুলো খুবই সংকীর্ণ তাই গাড়ি নিয়ে চলাচলের সুযোগ নেই। বাড়িগুলো এতো জরাজীর্ণ যে যে কোন মুহূর্তে তা ধসে পড়তে পারে। তাই সংস্কার ছাড়া বাড়িগুলোতে বসবাসের কোনো সুযোগ নেই। তবে একসময় এগুলো ছিল জমজমাট জায়গা।

ইতালির এমন বেশ কিছু শহরে জনসংখ্যা কমছে। নতুন প্রজন্ম সব বড় শহরে চলে যাচ্ছে। ফলে খালি হয়ে পড়ে থাকছে ছোট শহরের বাড়িগুলো। পুরনো বাড়ির জন্য কেউ কর দিতেও রাজি হচ্ছেন না। ফলে বাধ্য হয়ে বাসিন্দাদের পড়ে থাকা পুরনো, পরিত্যক্ত বাড়িগুলো নিলামে তুলতে হচ্ছে প্রশাসনকে। তবে এতশত অফারেও মিলছে না আশানুরূপ ফলাফল।