ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জাবিতে পাখি সুরক্ষায় ছাত্রদলের ভিন্নধর্মী উদ্যোগ যে পাখি উড়ন্ত অবস্থায় ডিম পাড়ে, মাটিতে পড়ার আগে বাচ্চা ফুটে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্র-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন যারা প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের খাবার কর্মসূচি চালু করা হবে : উপদেষ্টা উপদেষ্টা ফারুকী-বশিরকে নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন মাহফুজ আলম নেতাকর্মীদের রেখে স্বার্থপরের মত পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা: রিজভী সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে থাকবে, তা অন্তর্বর্তী সরকারই নির্ধারণ করবে: সেনাসদর জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে এলডিসি’র বৈঠকে যা বললেন ড. ইউনূস ঊনপঞ্চাশে আমিশার জীবনে প্রেম আ.লীগ কি আগামী নির্বাচনে আসবে? যা বললেন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান

গায়ের রং কালো হওয়ায় দেওয়া হয়‌নি বিয়ের গাউন, ৯৪ বছরে স্বপ্নপূরণ

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ৯৪ বছরের বৃদ্ধা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তার পরনে সাদা গাউন। দেখে মনে হয় তিনি বিয়ের জন্য সেজেছেন। তবে এই বিয়েতে নেই কোনো পাত্রপক্ষ। তাহলে? বার্মিংহাম নিবাসী মার্থা মায় ওফেলিয়া মুন টাকারের স্বপ্ন ছিল তিনি বিয়ের গাউন পরে ছবি তুলবেন।
বয়স পরিণত হতে বিয়ে হলো ঠিকই। তবে সাদা গাউন পরা হলো না তার। অবশেষে ৯৪ বছর বয়সে এসে স্বপ্ন পূরণ হল মার্থার। আর তার এই ছবি এরই মধ্যে ভাইরাল হয়ে উঠেছে সামাজিক মাধ্যমে। ১৯৫২ সালে বিবাহ হয় মার্থার। বিয়ের সময় তার বয়স মাত্র ২৩ বছর। এই বিয়ের জন্য ছোটো থেকেই স্বপ্ন দেখেছেন তিনি। তাই সবকিছু ঠিকঠাক হতেই ছুটলেন ওয়েডিং গার্মেন্টসের দোকানে।

বার্মিংহাম নিবাসী মার্থা মায় ওফেলিয়া মুন টাকার
বার্মিংহাম নিবাসী মার্থা মায় ওফেলিয়া মুন টাকার
তবে তাকে দেখেই দোকান বন্ধ করে দিলেন মালিক। কারণ মার্থার গায়ের রং কালো। হ্যাঁ, এটুকুই ‘অপরাধ’ তার। আর সেই সময় ইংল্যান্ডে কোনো কালো চামড়ার নারী বিবাহে গাউন পরতে পারতেন না। ফলে ছেলেবেলার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। আরো প্রায় ৭০ বছর পাড় হয়ে গেল। তারপর মার্থার এক নাতনির দৌলতে স্বপ্নপূরণ হয়।

সারা পৃথিবীজুড়ে এই ৭০ বছরে অনেক পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীজুড়ে চলেছে সচেতনতার প্রচার। গত বছরই ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছিল আমেরিকা থেকে ইংল্যান্ডের বুকেও। মার্থাকে দেখলে এখন আর ওয়েডিং গার্মেন্টসের দোকানদাররা দরজা বন্ধ করে দেবেন না। তবে নতুন করে বিবাহ করার কোনো ইচ্ছা আর নেই তার।

নাতনির উদ্যোগে নতুন পোশাকে সেজে সত্যিই খুশি হয়েছেন তিনি
নাতনির উদ্যোগে নতুন পোশাকে সেজে সত্যিই খুশি হয়েছেন তিনি

তবে নাতনির উদ্যোগে নতুন পোশাকে সেজে সত্যিই খুশি হয়েছেন তিনি। হাসতে হাসতে বলেন, তিনি বিয়ে করতে চলেছেন। অথচ তার বিয়ের কোনো পাত্র নেই। মার্থার মুখের নির্মল হাসি অনেকেরই মন ছুঁয়ে গিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনেকেই।

এর মধ্যেই উঠে আসছে বর্ণবিদ্বেষের দীর্ঘ ইতিহাসের কথাও। তবে সেই ইতিহাসকে পিছনে ফেলে আমরা কিছুটা এগোতে পেরেছি। এই এগিয়ে যাওয়ার ফলে হাসি ফুটেছে মার্থার মুখে। তবে এখনও অনেকটাই পথ হাঁটা বাকি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জাবিতে পাখি সুরক্ষায় ছাত্রদলের ভিন্নধর্মী উদ্যোগ

গায়ের রং কালো হওয়ায় দেওয়া হয়‌নি বিয়ের গাউন, ৯৪ বছরে স্বপ্নপূরণ

আপডেট টাইম : ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুলাই ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ৯৪ বছরের বৃদ্ধা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তার পরনে সাদা গাউন। দেখে মনে হয় তিনি বিয়ের জন্য সেজেছেন। তবে এই বিয়েতে নেই কোনো পাত্রপক্ষ। তাহলে? বার্মিংহাম নিবাসী মার্থা মায় ওফেলিয়া মুন টাকারের স্বপ্ন ছিল তিনি বিয়ের গাউন পরে ছবি তুলবেন।
বয়স পরিণত হতে বিয়ে হলো ঠিকই। তবে সাদা গাউন পরা হলো না তার। অবশেষে ৯৪ বছর বয়সে এসে স্বপ্ন পূরণ হল মার্থার। আর তার এই ছবি এরই মধ্যে ভাইরাল হয়ে উঠেছে সামাজিক মাধ্যমে। ১৯৫২ সালে বিবাহ হয় মার্থার। বিয়ের সময় তার বয়স মাত্র ২৩ বছর। এই বিয়ের জন্য ছোটো থেকেই স্বপ্ন দেখেছেন তিনি। তাই সবকিছু ঠিকঠাক হতেই ছুটলেন ওয়েডিং গার্মেন্টসের দোকানে।

বার্মিংহাম নিবাসী মার্থা মায় ওফেলিয়া মুন টাকার
বার্মিংহাম নিবাসী মার্থা মায় ওফেলিয়া মুন টাকার
তবে তাকে দেখেই দোকান বন্ধ করে দিলেন মালিক। কারণ মার্থার গায়ের রং কালো। হ্যাঁ, এটুকুই ‘অপরাধ’ তার। আর সেই সময় ইংল্যান্ডে কোনো কালো চামড়ার নারী বিবাহে গাউন পরতে পারতেন না। ফলে ছেলেবেলার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। আরো প্রায় ৭০ বছর পাড় হয়ে গেল। তারপর মার্থার এক নাতনির দৌলতে স্বপ্নপূরণ হয়।

সারা পৃথিবীজুড়ে এই ৭০ বছরে অনেক পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীজুড়ে চলেছে সচেতনতার প্রচার। গত বছরই ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছিল আমেরিকা থেকে ইংল্যান্ডের বুকেও। মার্থাকে দেখলে এখন আর ওয়েডিং গার্মেন্টসের দোকানদাররা দরজা বন্ধ করে দেবেন না। তবে নতুন করে বিবাহ করার কোনো ইচ্ছা আর নেই তার।

নাতনির উদ্যোগে নতুন পোশাকে সেজে সত্যিই খুশি হয়েছেন তিনি
নাতনির উদ্যোগে নতুন পোশাকে সেজে সত্যিই খুশি হয়েছেন তিনি

তবে নাতনির উদ্যোগে নতুন পোশাকে সেজে সত্যিই খুশি হয়েছেন তিনি। হাসতে হাসতে বলেন, তিনি বিয়ে করতে চলেছেন। অথচ তার বিয়ের কোনো পাত্র নেই। মার্থার মুখের নির্মল হাসি অনেকেরই মন ছুঁয়ে গিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনেকেই।

এর মধ্যেই উঠে আসছে বর্ণবিদ্বেষের দীর্ঘ ইতিহাসের কথাও। তবে সেই ইতিহাসকে পিছনে ফেলে আমরা কিছুটা এগোতে পেরেছি। এই এগিয়ে যাওয়ার ফলে হাসি ফুটেছে মার্থার মুখে। তবে এখনও অনেকটাই পথ হাঁটা বাকি।